img

বায়তুল মোকাররমে হবে ঈদুল আজহার ৫ জামাত

প্রকাশিত :  ০৬:৫৩, ০৩ জুন ২০২৫

বায়তুল মোকাররমে হবে ঈদুল আজহার ৫ জামাত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমিনের সই করা ওই বার্তায় বলা হয়েছে, আগামী আরবি ১০ জিলহজ (১৪৪৬ হিজরি) এবং ইংরেজি ৭ জুন (শনিবার) সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাতগুলো পরিচালনায় দায়িত্বে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও দেশের খ্যাতনামা আলেমরা।

প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমামতি করবেন যাত্রাবাড়ীর তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. খলিলুর রহমান মাদানী। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতির দায়িত্বে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির হবেন মো. নাসির উল্লাহ।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মো. বিল্লাল হোসেন।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মো. আব্দুল্লাহ এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মো. আমির হোসেন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন। মুকাব্বির হবেন মো. জহিরুল ইসলাম।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, কোনো জামাতে নির্ধারিত ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম। পাশাপাশি, বিকল্প মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন খাদেম মো. রুহুল আমীন।

img

তাজিয়া মিছিল শুরু, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ০৬ জুলাই ২০২৫

শিয়া সম্প্রদায় আশুরা উপলক্ষে ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল শুরু করেছে । আজ রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১০টার পর পুরান ঢাকার হোসেনী দালান থেকে এ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পল্টন, লালবাগ, আজিমপুর, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত ঘুরে, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় হয়ে ধানমন্ডিতে শেষ হবে।

ভোর থেকেই ঢাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারও মুসলিম জড়ো হতে থাকেন। এ সময় শোকের মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য পরনে কালো পোশাক, মাথায় কালো পট্টি, কারও হাতে আবার ঝালর দেওয়া লাল-কালো ও সোনালি রংঙের ঝান্ডা দেখা যায়। তাজিয়া মিছিলে কারবালার স্মরণে কালো মখমলের চাঁদোয়ার নিচে কয়েকজন বহন করেন ইমাম হোসাইনের (রা.) প্রতীকী কফিন। মিছিলের সামনে ছিল ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের দুটি প্রতীকী ঘোড়াও।

পবিত্র আশুরায় তাজিয়া মিছিলটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী পুরান ঢাকার লালবাগের হোসেনী দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়ার আশপাশের শিয়া সম্প্রদায়কেন্দ্রিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া (শোক) মিছিল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে।

একই সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তাজিয়া মিছিলে ধারালো অস্ত্র, লাঠি, আতশবাজি ও পটকা বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপি অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় এসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।