img

টাওয়ার হ্যামলেটসে লিঙ্গ বিভেদ দূর করতে নারীর অংশগ্রহণ জরুরি: জরিপে অংশ নিন

প্রকাশিত :  ২১:২৯, ০৮ জুন ২০২৫

টাওয়ার হ্যামলেটসে লিঙ্গ বিভেদ দূর করতে নারীর অংশগ্রহণ জরুরি: জরিপে অংশ নিন

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের উইমেনস কমিশন নারীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান ও নেতৃত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত জানার জন্য একটি জরিপ চালু করেছে, যেখানে টাওয়ার হ্যামলেটসে বসবাসকারী বা কর্মরত সব নারী তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও মতামত জানাতে পারবেন। এই জরিপের তথ্যগুলো গোপন রাখা হবে এবং ভবিষ্যতে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে সুপারিশ ও পদক্ষেপ গ্রহণে তা ব্যবহার করা হবে।
এই জরিপের মাধ্যমে নারীরা চাইলে যেকোনো একটি বা একাধিক বিষয়ে কথা বলতে পারবেন। অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়, বরং স্বতঃস্ফূর্ত মত প্রকাশের সুযোগ। জরিপে অংশ নেওয়া সকলেই একটি ড্রতে অন্তর্ভুক্ত হবেন, যেখানে পাঁচজন বিজয়ীর প্রত্যেকে পাবেন ২০ পাউন্ড মূল্যের ভাউচার।
এ প্রসঙ্গে উইমেন্স কমিশনের চেয়ারপারসন মনজিলা উদ্দিন বলেন, “আমরা, কমিশনার হিসেবে, আমাদের বারার সব স্তরের নারীদের সম্মান করি এবং তাদের মতামত শুনতে চাই। আপনার অভিজ্ঞতাগুলো স্পষ্টতা ও দৃঢ়তার সাথে উপস্থাপন করা হবে এবং আপনার কণ্ঠস্বর সঠিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করা হবে — এটা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ।”
তিনি এই জরিপে অংশ নিতে এবং টাওয়ার হ্যামলেটসের নারীদের জন্য পরিবর্তন আনতে উইমেন্স কমিশনের সাথে একযোগে কাজ করতে বারার নারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের বারাতে লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবেলা করা একটি অগ্রাধিকার এবং আমরা সকল পটভূমির নারীদের জন্য একটি সমতাপূর্ণ টাওয়ার হ্যামলেটস গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উইমেন্স কমিশন নারীদের বাস্তব জীবন—অভিজ্ঞতা বোঝার জন্য সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করছে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদান করছে।”
তিনি বলেন, “টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দা বা কর্মজীবী নারী হিসেবে, আপনার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। জরিপে আপনার মতামত ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন — অর্থবহ পরিবর্তন নিশ্চিত করতে আপনার কণ্ঠস্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এই জরিপে অংশ নিতে অনলাইনে ভিজিট করতে হবে—

এদিকে যারা অনলাইনে অংশ নিতে পারবেন না, তারা কাগজে ছাপানো কপি বা অনুবাদকৃত কপির অনুরোধ করতে পারবেন। এজন্য ইমেইল করতে হবে:
womenscommission@towerhamlets.gov.uk
জরিপটি চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। অংশগ্রহণকারীদের অভিমত ও অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের পরিবর্তনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে উইমেনস কমিশন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

স্বাদ, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনে ব্রিটেনের কার্ডিফে বিগ-হালাল ফুড ফেস্টিভ্যাল সম্পন্ন

প্রকাশিত :  ১৬:৫৬, ১৭ জুন ২০২৫

কার্ডিফ থেকে সাজেল আহমেদ: হালাল খাবার হলো সেই সব খাদ্য, যা কোরআন ও হাদিসে নিষিদ্ধ করা হয়নি এবং যা পবিত্র ও উপকারী। গণতন্ত্রের মাতৃভূমি খ্যাত মাল্টিকালচারাল ও মাল্টিন্যাশনাল শহর  ব্রিটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ শহরের কার্ডিফে-বে ওয়েলস মেলোনিয়াম সেন্টারে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিবছরের মতো গত ১৪ জুন ( শনিবার) ও ১৫ জুন (রোববার) দু\'দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিগ-হালাল ফুড ফেস্টিভ্যাল ২০২৫।

মুসলিম জনগোষ্ঠীর জীবনাচার ও সংস্কৃতি সবার কাছে তুলে ধরতে তৃতীয়  বছরের মতো এবারকার চমৎকার  আয়োজনে বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে প্রচুর লোকের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। 

স্বাদ, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির মিলনমেলার মূল আয়োজক ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটির অন্যতম কো-অর্ডিনেটর, ব্রিটেনে বেড়ে উঠা নব প্রজন্মের সন্তান সাজ হারিছ মেলা সফল করতে সহযোগিতাকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই  উৎসব শুধু খাবারের স্বাদ নয়, বরং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনও দৃঢ় করেছে। 

আগামী বছর ও এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকরা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। 

ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান ও ওয়েলস বাংলা নিউজ এর সম্পাদক, কমিউনিটি লিডার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের বৃহত্তম হালাল খাবার উৎসব যুব সংগঠক সাজ হারিছ এর  টিমের সাবিক ব্যাবস্থাপনায় আয়োজিত এই হালাল উৎসবটি শুধু বাংলাদেশ ও মুসলিম কমিউনিটি নয়, সকল ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ হালাল খাবারের স্বাদ নেওয়া সহ সব কমিউনিটিকে একত্র হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এ যেনো এক প্রাণের বন্ধন বলে উল্লেখ করে এই সব ইভেন্টে আগামীতেও কমিউনিটির সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। 

উল্লেখ্য যে, বিগ -হালাল ফুড  ফেস্টিভ্যাল হলো ব্রিটেনের কার্ডিফের একটি বার্ষিক খাদ্য উৎসব, যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক হালাল রেস্তোরাঁ, ফুড ট্রাক এবং শেফদের তৈরি সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। এই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন সংস্কৃতির হালাল ডিশ যেমন বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান কুজিন, পাকিস্তানি, আরবি, তুর্কি, দক্ষিণ এশীয়, উত্তর আফ্রিকান এবং কানাডিয়ান ফিউজন  হালাল খাবারের প্রেমিকরা একত্রিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের রান্নার স্বাদ উপভোগ করেন।

এছাড়াও মেলায় রকমারী স্টলের পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনের সুযোগসহ শিশুদের জন্য গেমস ও ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কশপ, হস্তশিল্প ও ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী সহ এই ফেস্টিভ্যালের একটি অংশ দান ও স্থানীয় চ্যারিটিকে সমর্থন করে। অনেক সময় ফুড ড্রাইভ বা অনাথ আশ্রমের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়। 


কমিউনিটি এর আরও খবর