img

পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৬:৫০, ১৪ জুন ২০২৫

পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করতে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকার এই প্রয়াসে ‘অত্যন্ত সহায়ক’ ভূমিকা পালন করছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এ বিষয়ে তারা যে দ্রুততা দেখিয়েছেন, আমি তার জন্য অনেক প্রশংসা করি।’

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ সমন্বয় কেন্দ্র (আইএসিসিসি) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও যুক্তরাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাজে সহায়তার সুযোগ খুঁজছে। বিশেষ করে হাসিনা সরকারের আমলের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে।

বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের ধারণা, হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার (১৭৪ বিলিয়ন পাউন্ড) দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, এসব অর্থের বেশির ভাগই যুক্তরাজ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে অথবা খরচ করা হয়েছে।

লন্ডনে আইএসিসিসিকে জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ) আমন্ত্রণ জানায়।

এনসিএর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রকৃতি সম্পর্কে নিয়মিত মন্তব্য করি না। যদি কোনো তদন্ত শুরু হয়ে থাকে বা কোনো অংশীদারের তদন্তে সহায়তা দেওয়া হয়—তা নিশ্চিত করি না।’

অধ্যাপক ইউনূস সম্প্রতি বাকিংহাম প্যালেসে কিং চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দেশটির পার্লামেন্টে বাণিজ্য সচিব জনাথন রেনল্ডসের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

রেনল্ডস এক টুইট বার্তায় জানান, তারা ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির ও সমৃদ্ধির জন্য তাদের পারস্পরিক যৌথ আকাঙ্ক্ষা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যবস্থা করতে পারেননি। টিউলিপ সিদ্দিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং একই নির্বাচনী এলাকার প্রতিবেশী প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।’

তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি জানি না আমার হতাশ হওয়া উচিত, নাকি দুঃখিত হওয়া উচিত। এটি একটি হারানো সুযোগ।’

স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। সম্ভবত তিনি অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত ছিলেন।’

অর্থনীতি এর আরও খবর

img

৫ আগস্ট সারাদেশে বন্ধ থাকবে ব্যাংক

প্রকাশিত :  ১৪:৩২, ১৭ জুলাই ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আগামী ৫ আগস্ট সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ কারণে সেদিন সারা দেশের তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রবল গণআন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। দিনটিকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবস’ ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির দিন হিসেবে দেশের সব তফশিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। অতএব, সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে এবং আর্থিক লেনদেন পরিকল্পনা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রবল গণআন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। দিনটিকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবস’ ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির দিন হিসেবে দেশের সব তফশিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। অতএব, সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে এবং আর্থিক লেনদেন পরিকল্পনা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া ছাত্রদের আন্দোলন শেষমেশ সরকার উৎখাতের ইতিহাস গড়ে। ৩৬ দিনের সেই আন্দোলনে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন সাড়ে ১৫ বছর দোর্দণ্ড প্রতাপে দেশ চালিয়ে আসা শেখ হাসিনা।

শুরুতে এ আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে তা দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

সরকারের পক্ষে জবাব ছিল- গুলি, টিয়ারশেল আর লাঠি; এককথায় কেবলই বলপ্রয়োগ। প্রথমে ফেসবুক, পরে ইন্টারনেট বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চায় সরকার। তাতে হিতে বিপরীত হয়।

আন্দোলনে রক্তপাত শুরু হওয়ার ২০ দিনের মধ্যেই লাশ আর রক্তের বোঝা মাথায় নিয়ে পতন হয় দেড় দশকের আওয়ামী লীগ সরকারের। পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা আর তার অমাত্যরা।