img

জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল মরক্কো : পুলিশ স্টেশনে আগুন, নিহত ২

প্রকাশিত :  ০৮:৪০, ০২ অক্টোবর ২০২৫

জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল মরক্কো : পুলিশ স্টেশনে আগুন, নিহত ২

জেনারেশন জেড বা জেন-জিদের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। বুধবার (১ অক্টোবর) দেশটির উপকূলীয় শহর আগাদিরের লাকলিয়া এলাকায় আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই বিক্ষোভকারী। তারা দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে।

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার লাকলিয়ার একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায় একদল বিক্ষোভকারী। উদ্দেশ্য ছিল অস্ত্র লুটপাট। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত এবং কয়েক জন আহত হন।

বিক্ষোভকারীদের অনেকেরই হাতে ছুরি ছিল। তবে পুলিশ সমানে গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়তে থাকা তা ব্যবহারের সুযোগ পাননি তারা। তবে তারা থানা এবং পুলিশের যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছেন।

ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের অবসান, দুর্নীতি দমন এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার মান বৃদ্ধির দাবিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে রাবাতে বিক্ষোভ শুরু করেছে তরুণ প্রজন্ম। জেনজি ২১২ নামের একটি অখ্যাত এবং কম পরিচিত সংগঠন এই বিক্ষোভের প্রধান সংঘঠক। তরুণ-তরুণীদের বিক্ষোভে নামার আহ্বান জানিয়ে গত কয়েক দিন ধরে টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং গেমিং অ্যাপগুলোতে প্রচারণা চলাচ্ছে জেনজি ২১২।

এদিকে গতকাল থানায় হামলার পাশাপাশি আগাদিরের বিয়ৌগ্রা এলাকায় একটি ব্যাংক এবং কয়েকটি দোকান লুটপাট করেছে জেন জি বিক্ষোভকারীরা। আবদেস্লাম চেগ্রি নামের এক প্রত্যাক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, “আমি একটি ক্যাফেতে বসে পিএসজি বনাম রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ দেখছিলাম। হঠাৎ দেখলাম বেশ কয়েকজন তরুণ পাশের একটি দোকানে পাথর ছুড়ছে। তারপর তাদেরকে দোকনের দরজা ভেঙে প্রবেশ করতে দেখেছি আমি।”

মরক্কোর পর্যটন শহর মারাকেশেও একটি পুলিশ স্টেশনে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভবন ও দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে জেন জি বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীরা মরক্কোর প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখান্নৌচের পদত্যাগ দাবি করেছেন জেন জি বিক্ষোভকারীরা।

মরক্কোয় বেকারত্বের হার ১২ দশমিট ৮ শতাংশ এবং এটি ক্রমশ বাড়ছে। দেশটির তরুণদের মধ্যে ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং স্নাতক সম্পন্নকারীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ বর্তমানে বেকার।

 শুরুর পর্যায়ে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও সময় গড়ানো সঙ্গে সঙ্গে তা সহিংস হয়ে উঠতে থাকে। তবে দেশটির অর্থনৈতিক রাজধানী ক্যাসাব্লাঙ্কা, উত্তরাঞ্চলীয় শহর ওউজদা এবং তাজায় এখনও কোনো সহিংসতা ঘটেনি।

এদিকে বিক্ষোভের গত ৪ দিনে ব্যাপক উল্লম্ফন ঘটেছে জেন জি ২১২-এর। বিক্ষোভ শুরুর দিকে এই সংগঠনটির সদস্য ছিল মাত্র ৩ হাজার; বর্তমানে তা বেড়ে পৌঁছেছে ১ লাখ ৩০ হাজারে।

সূত্র : রয়টার্স

img

দুর্ঘটনার কবলে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাস, নিহত ৪২

প্রকাশিত :  ০৬:৪২, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:১০, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

সৌদি আরবের মদিনার কাছে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ডিজেলভর্তি ট্যাংকারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীবাহী বাসটিতে থাকা ৪২ জন ওমরাহযাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি মক্কা থেকে মদিনার পথে যাচ্ছিল।বাংলাদেশি সময় দিবাগত রাত ২টার দিকে মুফরিহাত এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাসটির বেশিরভাগ যাত্রীই ভারতের তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ থেকে ছিলেন। তারা মক্কায় ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে মদিনার পথে ফিরছিলেন। 

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় অনেক যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন, যার ফলে সংঘর্ষের পর বাসে আগুন ধরে গেলে তারা বেরিয়ে আসার খুব কম সুযোগ পেয়েছেন। 

এতে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১১ জন নারী ও ১০টি শিশু রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখনো সঠিক সংখ্যা যাচাই করছে।

উদ্ধারকারী দলের মতে, বাসটি সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যাওয়ায় মৃতদের শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।

রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, মোহাম্মদ আব্দুল শোয়াইব নামে একজন ব্যক্তি বেঁচে আছেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

তেলেঙ্গানা সরকার জানিয়েছে, তারা রিয়াদের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি দিল্লির কর্মকর্তাদের দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর