img

প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে অন্যরা সাড়া দিলে আমরাও আলোচনায় বসতে রাজি: তাহের

প্রকাশিত :  ১১:৩২, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে অন্যরা সাড়া দিলে আমরাও আলোচনায় বসতে রাজি: তাহের

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তবে সরকার উদ্যোগী না হলে রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে- এমন আশঙ্কাও জানিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) আট দলের সাথে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় দলগুলোর নেতারা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন৷ সমাবেশ ও গণমিছিলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তারা৷

দাবি আদায়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কার্যালয়ে জরুরি সভা করেন আন্দোলনরত দলগুলোর প্রতিনিধিরা৷ সভা শেষে করা হয় যৌথ সংবাদ সম্মেলন৷

যৌথ সংবাদ সম্মেলন সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘উচ্চকক্ষে পিআরের ব্যাপারে আট দলের সবাই, জনগণ ও সরকার একমত। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে এ চাওয়া পূরণ হবে না। প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে অন্যরা সাড়া দিলে আমরাও আলোচনা বসতে রাজি৷’

তাহের আরও বলেন, ‘যদি উপদেষ্টা পরিষদ কিছু না করে আমাদের ওপরই ছেড়ে দেয়, তবে রেফারির দায়িত্ব পালন করবে কে? ’

তাহের বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা করে একমত হওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারকে রেফারির ভূমিকা পালন করতে হবে। সমমনা আটদল সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করতে চায়। ’

বিএনপির এক এক নেতা এক এক বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন-এ কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিনে গণভোট হলে সেই ভোটের কোনো মূল্যায়ন থাকবে না৷

বিএনপির একেকজন সংস্কার নিয়ে একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছেন-সনদের জন্য গণভোট অপরিহার্য বলেও জানান তিনি। একই অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি না পেলে পরবর্তী নির্বাচন বৈধতা পাবে না৷ একই দিনে গণভোট ও নির্বাচন হলে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পড়বে। একই দিনে গণভোট ও নির্বাচনের ইতিহাস নেই। ’

img

২৮ নেতাকে ‘সুখবর’ দিল বিএনপি

প্রকাশিত :  ১৩:০৯, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৮ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর আহম্মেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. ছবদের হাসান, সাবেক সদস্য মো. আবুল হাশেম, খায়রুল আলম, মো. মনির হোসেন (মাটি মুনির); গাজীপুর মহানগরের বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন মনির, বাসন থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা, বাসন থানার অন্তর্গত ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম রাতা, গাজীপুর মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক সদস্য আনোয়ার সরকার, ১১, ১২, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফিরোজা আক্তার এবং ২৮, ২৯ ও ৩০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিনা আক্তার বীথি, ৩৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. মাহাফুজুর রহমান, ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি এ্যাড. আলম; বরিশাল দক্ষিণ জেলাধীন বাকেরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম মৃধা, দিনাজপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু, কুমিল্লা উত্তর জেলাদীন মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন লন্ডনি, যুগ্ম আহ্বায়ক দিলারা শিরিন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহসভাপতি এস এম আসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক টি এইচ তোফা, হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান, সিরাজগঞ্জ জেলাধীন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, টাঙ্গাইল জেলাধীন মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন সিদ্দিকী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাধীন ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দিন, ছাতক উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. ইজাজুল হক রনিকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান স্বেচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য দিনাজপুর জেলাধীন ফুলবাড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. খুরশিদ আলমের (মতি) স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বিএনপির স্বপদে বহাল করা হয়েছে।

এর আগেও বেশ কয়েকজন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিএনপি।