img

সুদানে ভয়াবহ হামলা-সংঘাতে নিহত অন্তত ৬৫

প্রকাশিত :  ০৪:০৪, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩২, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সুদানে ভয়াবহ হামলা-সংঘাতে নিহত অন্তত ৬৫

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে ভয়াবহ হামলা ও সংঘাতে কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৩০ জনেরও বেশি।  

আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, দক্ষিণ ও পশ্চিম সুদানে ভয়াবহ লড়াইয়ে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত এবং আরও ১৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এরমধ্যে দেশটির সাউথ কর্ডোফান প্রদেশের রাজধানী কাদুগলিতে কামানের গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে দুটি চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে।

সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এই শহরটিতে হামলার জন্য আবদেল আজিজ আল-হিলুর নেতৃত্বাধীন সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ (এসপিএলএম-এন) এর একটি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন গভর্নর মোহাম্মদ ইব্রাহিম।  তিনি এএফপিকে বলেন, ‘কাদুগলিতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হিলুর হামলার উদ্দেশ্য’ হচ্ছে এলাকাটিকে অস্থিতিশীল করা। 

মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছেন, স্থানীয় একটি বাজারকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণের এই ঘটনা ঘটেছে। এসপিএলএম-এন তাদের যুদ্ধের সময় সাউথ কর্ডোফানের বিভিন্ন অংশে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) উভয়ের সঙ্গেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। 

সুদান ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সংঘাতে জর্জরিত হয়েছে, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে।

img

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা, নিহত ২৪

প্রকাশিত :  ০৬:৫৬, ১৬ মার্চ ২০২৫

ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বড় পরিসরে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ২৪ জন নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুসারে এ হামলা চালানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে পুনরায় জাহাজে হামলা শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিল। খবর রয়টার্সের।

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর হুতিদের ওপর চালানো যুক্তরাষ্ট্রের এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। এমন এক সময়ে এই হামলা শুরু হলো, যখন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে তেহরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুতিদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বলেন, তোমাদের সময় শেষ, আজ থেকে অবশ্যই হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি তোমরা এটা না করো তাহলে তোমাদের নরকের বৃষ্টি নেমে আসবে। যা আগে কখনও দেখনি।

হুতি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে মার্কিন হামলায় ১৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯ জন। এছাড়া ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য সাদে মার্কিন হামলায় শিশু ও নারীসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। হুতি পরিচালিত আল মারিশাহ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হুতি রাজনৈতিক ব্যুরো যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে। এক বিবৃতিতে হুতি জানায়, আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী উসকানিকে উসকানি দিয়ে জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া নামের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামলার কারণে পুরো মহল্লা ভূমিকম্পের মতো কেঁপেছে। এতে করে আমাদের নারী ও শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।