img

টাওয়ার হ্যামলেটসে জ্বালানী—সাশ্রয়ী বাড়ি ঘরের জন্য ৩.১৭ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ

প্রকাশিত :  ২১:২২, ০৮ জুন ২০২৫

টাওয়ার হ্যামলেটসে জ্বালানী—সাশ্রয়ী বাড়ি ঘরের জন্য ৩.১৭ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল বরোর সবচেয়ে কম এনার্জী এফিশিয়েন্ট বা শক্তি-সক্ষম ১২২টি বাড়িকে আধুনিকায়নের জন্য ৩.১৭ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে একটি রেট্রোফিট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাড়িভাড়ার উচ্চ জ্বালানী বিলের চাপ কমানোবসবাসের পরিবেশ উন্নত করা এবং ২০৪৫ সালের মধ্যে নেট—জিরো কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্য অর্জন করা হবে।
এই প্রকল্পের অর্থায়নে কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়ার্ম হোমঃ সোশ্যাল হাউজিং ফান্ড থেকে ৮০০,০০০ পাউন্ড অনুদান দেওয়া হয়েছেএবং কাউন্সিল অতিরিক্ত ২.৩ মিলিয়ন পাউন্ড যোগ করেছে। এই তহবিল ব্যবহার করে প্রতিটি বাড়ির প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসুলেশনড্রাফট—প্রম্নফিংডাবল—গ্লেজিংসোলার প্যানেল এবং হিট পাম্পের মতো জ্বালানী সাশ্রয়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়াওকাউন্সিল বাড়িগুলোর বাহ্যিক মেরামতের কাজ করবে যাতে সেগুলো ডিসেন্ট হোমস স্ট্যান্ডার্ড পূরণ করে এবং বাসিন্দাদের জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক হয়।
রিজেনারেশনইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ও হাউজবিল্ডিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর কবির আহমেদ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো বাসিন্দাদের জন্য সুসংরক্ষিত ও আরামদায়ক বাড়ি নিশ্চিত করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা একদিকে যেমন বাড়ির মান উন্নত করছিঅন্যদিকে যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনতাদের জ্বালানি খরচ কমাতে সাহায্য করছি। বারার সবাইকে নিরাপদ ও উষ্ণ আবাসন দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
পরিবেশ ও জলবায়ু জরুরি অবস্থা বিভাগের কাউন্সিলর শফি আহমেদ যোগ করেন, “শক্তি সাশ্রয়ে বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা শুধু বাসিন্দাদের জ্বালানি বিলই কমাচ্ছি নাবরং নেট—জিরো লক্ষ্য অর্জনের দিকেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা টাওয়ার হ্যামলেটসকে আরও সবুজ ও টেকসই একটি জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
হোম এনার্জি অ্যাডভাইস প্রোগ্রামঃ বাসিন্দারা বাড়ির শক্তি সাশ্রয় ও বিল কমানোর জন্য হোম এনার্জি অ্যাডভাইস প্রোগ্রাম থেকে সহায়তা নিতে পারেন। ব্রোমলি বাই বো সেন্টার এই পরিষেবা পরিচালনা করেএবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এটির অর্থায়ন করে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ www.bbbc.org.uk/services/energy/
এই উদ্যোগের মাধ্যমে টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা হবে।

 

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

স্বাদ, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনে ব্রিটেনের কার্ডিফে বিগ-হালাল ফুড ফেস্টিভ্যাল সম্পন্ন

প্রকাশিত :  ১৬:৫৬, ১৭ জুন ২০২৫

কার্ডিফ থেকে সাজেল আহমেদ: হালাল খাবার হলো সেই সব খাদ্য, যা কোরআন ও হাদিসে নিষিদ্ধ করা হয়নি এবং যা পবিত্র ও উপকারী। গণতন্ত্রের মাতৃভূমি খ্যাত মাল্টিকালচারাল ও মাল্টিন্যাশনাল শহর  ব্রিটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ শহরের কার্ডিফে-বে ওয়েলস মেলোনিয়াম সেন্টারে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিবছরের মতো গত ১৪ জুন ( শনিবার) ও ১৫ জুন (রোববার) দু\'দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিগ-হালাল ফুড ফেস্টিভ্যাল ২০২৫।

মুসলিম জনগোষ্ঠীর জীবনাচার ও সংস্কৃতি সবার কাছে তুলে ধরতে তৃতীয়  বছরের মতো এবারকার চমৎকার  আয়োজনে বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে প্রচুর লোকের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। 

স্বাদ, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির মিলনমেলার মূল আয়োজক ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটির অন্যতম কো-অর্ডিনেটর, ব্রিটেনে বেড়ে উঠা নব প্রজন্মের সন্তান সাজ হারিছ মেলা সফল করতে সহযোগিতাকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই  উৎসব শুধু খাবারের স্বাদ নয়, বরং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনও দৃঢ় করেছে। 

আগামী বছর ও এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকরা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। 

ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান ও ওয়েলস বাংলা নিউজ এর সম্পাদক, কমিউনিটি লিডার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের বৃহত্তম হালাল খাবার উৎসব যুব সংগঠক সাজ হারিছ এর  টিমের সাবিক ব্যাবস্থাপনায় আয়োজিত এই হালাল উৎসবটি শুধু বাংলাদেশ ও মুসলিম কমিউনিটি নয়, সকল ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ হালাল খাবারের স্বাদ নেওয়া সহ সব কমিউনিটিকে একত্র হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এ যেনো এক প্রাণের বন্ধন বলে উল্লেখ করে এই সব ইভেন্টে আগামীতেও কমিউনিটির সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। 

উল্লেখ্য যে, বিগ -হালাল ফুড  ফেস্টিভ্যাল হলো ব্রিটেনের কার্ডিফের একটি বার্ষিক খাদ্য উৎসব, যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক হালাল রেস্তোরাঁ, ফুড ট্রাক এবং শেফদের তৈরি সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। এই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন সংস্কৃতির হালাল ডিশ যেমন বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান কুজিন, পাকিস্তানি, আরবি, তুর্কি, দক্ষিণ এশীয়, উত্তর আফ্রিকান এবং কানাডিয়ান ফিউজন  হালাল খাবারের প্রেমিকরা একত্রিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের রান্নার স্বাদ উপভোগ করেন।

এছাড়াও মেলায় রকমারী স্টলের পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনের সুযোগসহ শিশুদের জন্য গেমস ও ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কশপ, হস্তশিল্প ও ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী সহ এই ফেস্টিভ্যালের একটি অংশ দান ও স্থানীয় চ্যারিটিকে সমর্থন করে। অনেক সময় ফুড ড্রাইভ বা অনাথ আশ্রমের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়। 


কমিউনিটি এর আরও খবর