img

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ৫ ব্রিটিশ এমপির গভীর উদ্বেগ

প্রকাশিত :  ১৯:১৯, ০৪ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ৫ ব্রিটিশ এমপির গভীর উদ্বেগ

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ পাঁচজন এমপি। এছাড়াও জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন  ব্রিটিশ এই আইনপ্রণেতারা।

আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমসের চিঠিপত্র পাতায় তারা বাংলাদেশ নিয়ে এমন উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।

চিঠিতে বব ব্ল্যাকম্যান, জাস অ্যাথওয়াল, নিল কোয়েল, গুরিন্দর সিং ও লিউক একহার্স্ট এমপির নাম রয়েছে।

টাইমসের এই পাতায় ‘বাংলাদেশিদের অধিকার’ শিরোনামে নিজেদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন পাঁচ আইনপ্রণেতা, এক আইনজীবী এবং একজন রাজনীতিক।

চিঠিতে তারা লেখেন, “এক বছরের বেশি সময় আগে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। আমরা সেখানকার অবনতি ঘটতে থাকা মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”

আইনপ্রণেতারা বলেন, “এমন অনেক নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন রয়েছে, যেগুলোতে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ব্যর্থতা, জামিন দিতে অস্বীকৃতি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ধরপাকড়, আসন্ন নির্বাচনে কিছু দলকে নিষিদ্ধ করা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালানোসহ ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।”

চিঠিতে বলা হয়, “আমরা ব্রিটিশ সরকার, বিশেষ করে পররাষ্ট্র দপ্তর, সেই সঙ্গে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাই, তারা যেন ন্যায়বিচার ও নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিতে এবং দায়মুক্তির অবসান ঘটাতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দেয়।

তারা আরও বলেন, “আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন এবং একটি স্থিতিশীল বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বানও জানাচ্ছি, যা দেশটিতে আস্থা ও জবাবদিহিতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত জরুরি।”

চিঠিতে নাম থাকা বাকি দুজনের একজন স্টিভেন পাওলস। আন্তর্জাতিক অপরাধ, প্রত্যর্পণ ও মানবাধিকার নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে এ ফৌজদারি আইনজীবীর বেশ পরিচিতি রয়েছে।

আরেকজন ব্যারোনেস স্মিথ অব লানফায়েস। তিনি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের সদস্য। তিনি ওয়েলসের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল–প্লাইড কামরির রাজনীতিক।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

বাংলাদেশে কারাদণ্ডের রায়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপের প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত :  ১৩:৩৫, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের একটি আদালত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রচলিত আইনে এই দণ্ড কার্যকর হবে।

এই রায়ের পর ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, তিনি আশা করেন এই রায়কে যথাযথ অবজ্ঞার সঙ্গে দেখা হবে। তিনি এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক বলে অভিহিত করেছেন।

রায় নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই তথাকথিত ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’-এর রায় যেমন অনুমেয় ছিল, তেমনই এটি অন্যায়। আমি আশা করি এই তথাকথিত রায়কে অবজ্ঞার সঙ্গে দেখা হবে, যা এর প্রাপ্য। আমার মনোযোগ সব সময় আমার হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের দিকেই ছিল এবং আমি বাংলাদেশের এই নোংরা রাজনীতিতে মনোযোগ দিতে চাচ্ছি না।

এর আগে সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত। এই রায়ের মাধ্যমে দেশের আদালতে প্রথম কোনো ব্রিটিশ এমপির সাজা ঘোষণা করা হলো।

আজকের রায়ের আগে প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনার ৭ বছর করে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া এক মামলায় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আজকের মামলার রায়ে নতুন করে সাজা পেলেন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।

দেশে ফেরাতে চায় দুদক

প্লট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফেরানো হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মুহাম্মদ মইনুল হাসান।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলম মামলার রায় ঘোষণা করলে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দুদকের পিপি মইনুল হাসান বলেন, এ রায় আমাদের প্রত্যাশামতো হয়নি। আমরা সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন চেয়েছিলাম। দুদকের সাথে কথা বলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

পিপি আরও বলেন, যেসব দেশে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপসহ অন্য আসামিরা পলাতক আছে সেসব দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করব। ইন্টারপোলের সহায়তায় তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা নেব আমরা। টিউলিপ একদিকে বাংলাদেশের নাগরিক, আবার যুক্তরাজ্যের নাগরিক। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা টিউলিপের সাজার বিষয়টি অবহিত করব। আইনের যেসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরানো যায় সেসব প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করব।

তিনি আরও বলেন, টিউলিপ কখনো ফোন কল, কখনো অ্যাপস ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে প্লট বরাদ্দের জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারীরা এসে এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। আমরা মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় হয়নি।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর