img

ব্রিটেনের ক্যাম্ব্রিজশায়ারে চলন্ত ট্রেনে ছুরি হামলা, গুরুতর আহত ৯

প্রকাশিত :  ০৪:৩৩, ০২ নভেম্বর ২০২৫

ব্রিটেনের ক্যাম্ব্রিজশায়ারে চলন্ত ট্রেনে ছুরি হামলা, গুরুতর আহত ৯

ব্রিটেনের ক্যাম্ব্রিজশায়ারে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে ছুরিকাঘাতে অন্তত ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে অন্তত দুজনকে গ্রেফতার করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। 

গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্যাম্ব্রিজশায়ার শহরে হান্টিংডন স্টেশনের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে।  খবর বিবিসির। 

দেশটির পরিবহন পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে ইংল্যান্ডের সাউথ ইয়র্কশায়ার জেলার ডঙ্কস্টার শহর থেকে রাজধানী লন্ডনের কিংসক্রসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। যাত্রা শুরুর এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর ক্যাম্ব্রিজশায়ার শহরের হান্টিংডন স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর এ ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি তবে আহতদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ট্রেনের একজন যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে বলেন, ‘ট্রেন যখন হান্টিংডন স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছালো, সে সময় (আমি যে কামরায় ছিলাম, সেখানে) একজন যাত্রী ঢুকলেন। তিনি টলতে টলতে আসছিলেন। কামরায় ঢুকে কোনো রকমে তিনি বললেন, ‘তাদের কাছে ছুরি আছে। আমাকে ছুরি মেরেছে তারা’; তারপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। পরে জানা গেলো আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। ’

বিবিসিকে ওই যাত্রী জানান, হান্টিংডন স্টেশনে থামা মাত্র পরিবহন পুলিশের দল ট্রেনে ঢোকে। সেখানে তাৎক্ষণিক তল্লাশি চালিয়ে হামলা ঘটনোর অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আহতদের হাসপাতালে পাঠানোরও ব্যবস্থা করে।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

লন্ডনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি আপসানা নতুন বিতর্কে

প্রকাশিত :  ০৫:৪১, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৫, ০২ নভেম্বর ২০২৫

আবারও নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত পপলার–অ্যান্ড–লাইমহাউস এলাকার সংসদ সদস্য আপসানা বেগম । প্রচুর আয় থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনও কাউন্সিলের ঘরে থাকেন—এমন অভিযোগ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে স্থানীয় রাজনীতি ও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী একজন অভিযোগ করেন, এলাকার হাজারো মানুষ এখনও সরকারি বাসস্থানের জন্য অপেক্ষায়, গৃহহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে; অথচ একজন উচ্চ আয়ের জনপ্রতিনিধি দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ঘর ব্যবহার করছেন।

পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ার পর একদল নাগরিক এই অভিযোগকে সমর্থন দিয়ে আপসানা বেগমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে আরেকদল তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা বলেন, তিনি ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যে দাঁড়িয়েও সমাজের বঞ্চিত শ্রেণির পক্ষে কাজ করছেন।

তারা আরও বলছেন, তিনি ঘরোয়া নির্যাতনের শিকার ছিলেন। সংখ্যালঘু নারী হিসেবে রাজনীতিতে বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। সাধারণ মানুষের মতো সরকারি সুবিধা নেওয়ায় আপসানা বেগমের ভুল নেই বলেও মস্তব্য করেছেন তারা।

সমালোচকরা বলছেন, উচ্চ আয়ের ব্যক্তি হয়েও দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ বাসায় থাকা অনৈতিক।

প্রসঙ্গত, আপসানা বেগম বেড়ে উঠেছেন টাওয়ার হ্যামলেটসে। তার প্রয়াত বাবা এলাকাটির সাবেক জনপ্রতিনিধি ছিলেন। চলতি বছর পারিবারিক সহিংসতা নিয়ে সংসদে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। সমাজে নির্যাতিত নারীদের পক্ষে তার অবস্থান প্রশংসিত হয়।

আপসানা বেগমের পারিবারিক শিকড় সিলেটের সুনামগঞ্জে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর