img

অস্থায়ী ওয়ার্কপারমিট ভিসা চালু করছে যুক্তরাজ্য, ৮২ পেশায় কাজের সুযোগ

প্রকাশিত :  ১৮:৪৫, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

 অস্থায়ী ওয়ার্কপারমিট ভিসা চালু করছে যুক্তরাজ্য, ৮২ পেশায় কাজের সুযোগ

সারাদেশে কর্মী সংকট নিরসন ও অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে নতুন অভিবাসন উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। দেশটির অভিবাসন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি (এমএসি) মধ্যম দক্ষতার মোট ৮২টি পেশাকে অস্থায়ী কর্মী ভিসার আওতায় আনার সুপারিশ করেছে। এই তালিকায় ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে ওয়েল্ডার, অনুবাদক ও ফটোগ্রাফার পর্যন্ত নানা পেশা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইংলিশ চ্যানেলে অনিয়মিত পথে নৌকায় অভিবাসী আগমন নিয়ে দেশটির ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। মতামত জরিপে পপুলিস্ট দল রিফর্ম ইউকের চেয়ে লেবার পার্টির পিছিয়ে থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও চাপে পড়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত ভোটারদের মন জয়ের লক্ষ্যেই অভিবাসনের বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করছেন স্টারমার।

পাশাপাশি মন্থর অর্থনীতি এবং কিছু খাতে কর্মী ঘাটতি সংকটও দেশটিতে তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে। ব্রিটেনে যেসব কাজে অস্থায়ী ঘাটতি রয়েছে, সেই তালিকার ৮২টি পেশার সুপারিশ করেছে অভিবাসন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি (এমএসি)। প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় যোগ্যতায় ছাড় দিয়ে এসব চাকরিতে বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাজ্যে সীমিত প্রবেশাধিকার প্রদান করার সুপারিশ করা হয়েছে।

কমিটি বলেছে, এমএসি যেসব পেশার সুপারিশ করবে, সেগুলোতে অভিবাসী শ্রমের প্রয়োজনীয়তা কমানো এবং স্থানীয় কর্মীদের সর্বাধিক ব্যবহারে গৃহীত পরিকল্পনাও উপস্থাপন করতে হবে। প্রস্তাবিত পেশার তালিকায় ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনিশিয়ান, ওয়েল্ডার, ফটোগ্রাফার, অনুবাদক এবং লজিস্টিক ম্যানেজারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, যোগ্য অভিবাসী কর্মীদের তিন থেকে পাঁচ বছরের ভিসা দেওয়া যেতে পারে। তবে সরকার নীতি পরিবর্তন না করলে তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি না দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

আবেদনকারীদের ইংরেজি ভাষায় ন্যূনতম দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ এবং নিয়োগকর্তাদের স্থানীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং নিয়োগের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। ২০২৬ সালের জুলাই মাসে পর্যালোচনার দ্বিতীয় ধাপে এই পেশার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় একই ধরনের পরিকল্পনা বিদ্যমান রয়েছে। এসব দেশে স্বাস্থ্যসেবা, প্রকৌশল এবং দক্ষ বাণিজ্যে শ্রমঘাটতি পূরণের জন্য ভিসা প্রকল্প কার্যকর রয়েছে। এদিকে, দুই দিনের ভারত সফরে স্টারমার ভারত সরকারের সঙ্গে ভিসা চুক্তির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এর আগে এই ইস্যুর কারণে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

বাংলাদেশে কারাদণ্ডের রায়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপের প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত :  ১৩:৩৫, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের একটি আদালত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রচলিত আইনে এই দণ্ড কার্যকর হবে।

এই রায়ের পর ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, তিনি আশা করেন এই রায়কে যথাযথ অবজ্ঞার সঙ্গে দেখা হবে। তিনি এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক বলে অভিহিত করেছেন।

রায় নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই তথাকথিত ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’-এর রায় যেমন অনুমেয় ছিল, তেমনই এটি অন্যায়। আমি আশা করি এই তথাকথিত রায়কে অবজ্ঞার সঙ্গে দেখা হবে, যা এর প্রাপ্য। আমার মনোযোগ সব সময় আমার হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের দিকেই ছিল এবং আমি বাংলাদেশের এই নোংরা রাজনীতিতে মনোযোগ দিতে চাচ্ছি না।

এর আগে সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত। এই রায়ের মাধ্যমে দেশের আদালতে প্রথম কোনো ব্রিটিশ এমপির সাজা ঘোষণা করা হলো।

আজকের রায়ের আগে প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনার ৭ বছর করে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া এক মামলায় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আজকের মামলার রায়ে নতুন করে সাজা পেলেন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।

দেশে ফেরাতে চায় দুদক

প্লট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফেরানো হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মুহাম্মদ মইনুল হাসান।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলম মামলার রায় ঘোষণা করলে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দুদকের পিপি মইনুল হাসান বলেন, এ রায় আমাদের প্রত্যাশামতো হয়নি। আমরা সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন চেয়েছিলাম। দুদকের সাথে কথা বলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

পিপি আরও বলেন, যেসব দেশে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপসহ অন্য আসামিরা পলাতক আছে সেসব দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করব। ইন্টারপোলের সহায়তায় তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা নেব আমরা। টিউলিপ একদিকে বাংলাদেশের নাগরিক, আবার যুক্তরাজ্যের নাগরিক। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা টিউলিপের সাজার বিষয়টি অবহিত করব। আইনের যেসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরানো যায় সেসব প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করব।

তিনি আরও বলেন, টিউলিপ কখনো ফোন কল, কখনো অ্যাপস ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে প্লট বরাদ্দের জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারীরা এসে এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। আমরা মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় হয়নি।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর