img

প্রিন্স অ্যান্ড্রু-র বাড়িতে এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল-ওয়াইনস্টিনের আগমন—নতুন তথ্য প্রকাশ

প্রকাশিত :  ১০:৪৪, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৭, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

প্রিন্স অ্যান্ড্রু-র বাড়িতে এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল-ওয়াইনস্টিনের আগমন—নতুন তথ্য প্রকাশ

নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ব্রিটেনের প্রিন্স অ্যান্ড্রু-এর বিরুদ্ধে, যখন জানা গেছে যে তিনি কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক জেফরি এপস্টেইন, তার সাবেক প্রেমিকা গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল এবং প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনকে নিজের বাড়ি রয়েল লজে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। রয়েল লজ হচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকারের মালিকানাধীন একটি বাসভবন, যেখানে প্রিন্স অ্যান্ড্রু দীর্ঘদিন অনেকটা বিনা ভাড়ায় বসবাস করেছেন।

২০০৬ সালে অ্যান্ড্রুর মেয়ে বিট্রিসের ১৮তম জন্মদিন উদ্‌যাপনের জন্য এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল ও ওয়াইনস্টিন উইন্ডসর ক্যাসেলে উপস্থিত হন। কিন্তু তার দুই মাস আগে, এপস্টেইনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে এক কিশোরীর ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। মূল অনুষ্ঠান ছাড়াও জানা গেছে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাদের তিনজনকে নিজের বাসভবনে অভ্যর্থনা দিয়েছিলেন।

এর আগে শুধু জানা ছিল, তারা উইন্ডসর ক্যাসেলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। নতুন তথ্য অনুযায়ী, এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল ও ওয়াইনস্টিন মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে রয়েল লজে গিয়েছিলেন। মূল অনুষ্ঠানটি রাজকীয় কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে বিবিসির ‘নিউজনাইট’ অনুষ্ঠানে অ্যান্ড্রু জানান, তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্রে কী হচ্ছে তা জানতেন না। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সমালোচনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, প্রিন্স চলতি মাসে ‘ডিউক অব ইয়র্ক’সহ রাজকীয় পদবি ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

অ্যান্ড্রু ২০২২ সালে জিউফ্রের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মামলাটি মীমাংসা করেছেন, তবে বারবারই তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জেফরি এপস্টেইনকে ২০০৮ সালে ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোরীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার চেষ্টা করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে যৌনপণ্য পাচারের মামলায় বিচারাধীন থাকাকালীন ২০১৯ সালে তিনি কারাগারে আত্মহত্যা করেন।

ম্যাক্সওয়েল বর্তমানে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন এবং অভিযোগ রয়েছে, তিনি কিশোরীদের এপস্টেইনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ওয়াইনস্টিনকেও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আদালতগুলো দোষী সাব্যস্ত করেছে, তবে কিছু রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন।

এই ঘটনা প্রিন্স অ্যান্ড্রু-র ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তির উপর প্রশ্ন তুলেছে। এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল ও ওয়াইনস্টিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং তাদেরকে নিজের বাসভবনে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ব্রিটেনে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হচ্ছে ‘গোল্ডেন টিকিট’

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

ব্রিটিশ সরকার আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ দিয়েছে। দেশটি বিদ্যমান সুরক্ষা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি ব্যাপক নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। অনিয়মিত অভিবাসন কমানো এবং ডানপন্থি রাজনীতির উত্থান মোকাবিলাই এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য বলে জানানো হয়েছে।

আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেনমার্কের কঠোর আশ্রয়নীতির আদলে তৈরি এ পরিকল্পনা শনিবার রাতে প্রকাশ করেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার নেতৃত্বাধীন সরকারটি বর্তমানে অভিবাসনবিরোধী দল রিফর্ম ইউকের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির চাপে রয়েছে।

মাহমুদ বলেন, আমি যুক্তরাজ্যের আশ্রয়প্রার্থীদের ‘গোল্ডেন টিকিট’ ব্যবস্থা শেষ করব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘আধুনিক সময়ের সবচেয়ে বড় আশ্রয়নীতির সংস্কার’ বলে বর্ণনা করেছে। আগামী সোমবার সংসদে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে, রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান এনভার সলোমন এই পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কঠোর নীতি মানুষকে যুক্তরাজ্যে আসা থেকে বিরত করতে পারবে না। যেসব শরণার্থী কঠোর পরিশ্রম করে ব্রিটেনের জন্য অবদান রাখেন, তাদের নিরাপদ ও স্থায়ী জীবন গড়ার সুযোগ থাকা উচিত।

বর্তমানে শরণার্থীরা পাঁচ বছরের জন্য অনুমোদন পায়। এরপর তারা স্থায়ীভাবে দেশে থাকার অনুমতি ও পরে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে। নতুন নীতিতে এই অনুমতি কমিয়ে ৩০ মাস করার কথা বলা হয়েছে। এর নিয়মিত পুনর্মূল্যায়ন হবে এবং পরিস্থিতি নিরাপদ হলে তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করা হবে।

এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদি আবাসনের আবেদন করতে শরণার্থীদের ২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ব্রিটেনে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে এক লাখ ৯ হাজার ৩৪৩ জন আশ্রয়ের আবেদন করেছে। এ সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।

সরকার বলেছে, নতুন সংস্কার অনিয়মিত অভিবাসনের আকর্ষণ কমাবে এবং যারা দেশে অবস্থান করছে তাদের সরানো সহজ হবে। ২০০৫ সালের আইনে থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের আবাসন ও সাপ্তাহিক আর্থিক সহায়তা প্রদানের আইনগত বাধ্যবাধকতা বাতিল করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ফলে সহায়তা দেওয়া হবে ‘বিবেচনার ভিত্তিতে’, অর্থাৎ কাজ করতে সক্ষম বা নিজেদের খরচ বহন করতে পারা ব্যক্তিদের সহায়তা নাও পেতে পারে।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর