প্রিন্স অ্যান্ড্রু-র বাড়িতে এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল-ওয়াইনস্টিনের আগমন—নতুন তথ্য প্রকাশ
নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ব্রিটেনের প্রিন্স অ্যান্ড্রু-এর বিরুদ্ধে, যখন জানা গেছে যে তিনি কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক জেফরি এপস্টেইন, তার সাবেক প্রেমিকা গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল এবং প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনকে নিজের বাড়ি রয়েল লজে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। রয়েল লজ হচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকারের মালিকানাধীন একটি বাসভবন, যেখানে প্রিন্স অ্যান্ড্রু দীর্ঘদিন অনেকটা বিনা ভাড়ায় বসবাস করেছেন।
২০০৬ সালে অ্যান্ড্রুর মেয়ে বিট্রিসের ১৮তম জন্মদিন উদ্যাপনের জন্য এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল ও ওয়াইনস্টিন উইন্ডসর ক্যাসেলে উপস্থিত হন। কিন্তু তার দুই মাস আগে, এপস্টেইনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে এক কিশোরীর ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। মূল অনুষ্ঠান ছাড়াও জানা গেছে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাদের তিনজনকে নিজের বাসভবনে অভ্যর্থনা দিয়েছিলেন।
এর আগে শুধু জানা ছিল, তারা উইন্ডসর ক্যাসেলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। নতুন তথ্য অনুযায়ী, এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল ও ওয়াইনস্টিন মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে রয়েল লজে গিয়েছিলেন। মূল অনুষ্ঠানটি রাজকীয় কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে বিবিসির ‘নিউজনাইট’ অনুষ্ঠানে অ্যান্ড্রু জানান, তিনি তখন যুক্তরাষ্ট্রে কী হচ্ছে তা জানতেন না। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সমালোচনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, প্রিন্স চলতি মাসে ‘ডিউক অব ইয়র্ক’সহ রাজকীয় পদবি ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অ্যান্ড্রু ২০২২ সালে জিউফ্রের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মামলাটি মীমাংসা করেছেন, তবে বারবারই তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জেফরি এপস্টেইনকে ২০০৮ সালে ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোরীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার চেষ্টা করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে যৌনপণ্য পাচারের মামলায় বিচারাধীন থাকাকালীন ২০১৯ সালে তিনি কারাগারে আত্মহত্যা করেন।
ম্যাক্সওয়েল বর্তমানে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন এবং অভিযোগ রয়েছে, তিনি কিশোরীদের এপস্টেইনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ওয়াইনস্টিনকেও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আদালতগুলো দোষী সাব্যস্ত করেছে, তবে কিছু রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন।
এই ঘটনা প্রিন্স অ্যান্ড্রু-র ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তির উপর প্রশ্ন তুলেছে। এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল ও ওয়াইনস্টিনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং তাদেরকে নিজের বাসভবনে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি



















