img

কর ফাঁকির অভিযোগ স্বীকার করে ব্রিটেনের উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

প্রকাশিত :  ১২:৫৯, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কর ফাঁকির অভিযোগ স্বীকার করে ব্রিটেনের উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেনার কর ফাঁকির অভিযোগ স্বীকার করার পর শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেছেন । তিনি লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার পদও ছেড়ে দিয়েছেন।

এ পদত্যাগ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের জন্য একটি নতুন ধাক্কা। ৪৫ বছর বয়সী রেনার হলেন মন্ত্রীপরিষদের অষ্টম সদস্য, যিনি স্টারমারের সরকার থেকে বিদায় নিলেন।

স্টারমারকে লেখা চিঠিতে রেনার কর ফাঁকির কথা স্বীকার করে বলেছেন, \'আমার ভুলের জন্য আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছি।\'

সাম্প্রতিক জরিপে লেবার পার্টি ব্রিটেনের জনপ্রিয় রিফর্ম ইউকে\'র চেয়ে পিছিয়ে থাকায় স্টারমার তার কর্তৃত্ব এবং দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। এই সময় ডেপুটি হারানো তার জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর, বিশেষ করে রেনার।

উপ-প্রধানমন্ত্রী একজন শ্রমিক শ্রেণীর কিশোরী মা থেকে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পদে উন্নীত হয়েছেন। তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য লেবারের বাম এবং মধ্যপন্থী শাখার মধ্যে মধ্যস্থতা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বলতে গেলে দলে স্টারমারের চেয়েও তার আবেদন ব্যাপক বিস্তৃত ছিল।

স্টারমারের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে পরিচিত রেনার এর আগে গত বুধবার কর পরিশোধের ক্ষেত্রে ভুল স্বীকার করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, স্টারমারের সরকার যে ৮ জন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যকে হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে পাঁচ জনই অন্যায় কাজের জন্য পদত্যাগ করেছেন। ১৯৭৯ সালের পর থেকে ব্রিটেনে স্টারমারের সরকারেই সবচেয়ে বেশি মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

লন্ডনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি আপসানা নতুন বিতর্কে

প্রকাশিত :  ০৫:৪১, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৫, ০২ নভেম্বর ২০২৫

আবারও নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত পপলার–অ্যান্ড–লাইমহাউস এলাকার সংসদ সদস্য আপসানা বেগম । প্রচুর আয় থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনও কাউন্সিলের ঘরে থাকেন—এমন অভিযোগ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে স্থানীয় রাজনীতি ও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী একজন অভিযোগ করেন, এলাকার হাজারো মানুষ এখনও সরকারি বাসস্থানের জন্য অপেক্ষায়, গৃহহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে; অথচ একজন উচ্চ আয়ের জনপ্রতিনিধি দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ঘর ব্যবহার করছেন।

পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ার পর একদল নাগরিক এই অভিযোগকে সমর্থন দিয়ে আপসানা বেগমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে আরেকদল তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা বলেন, তিনি ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যে দাঁড়িয়েও সমাজের বঞ্চিত শ্রেণির পক্ষে কাজ করছেন।

তারা আরও বলছেন, তিনি ঘরোয়া নির্যাতনের শিকার ছিলেন। সংখ্যালঘু নারী হিসেবে রাজনীতিতে বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। সাধারণ মানুষের মতো সরকারি সুবিধা নেওয়ায় আপসানা বেগমের ভুল নেই বলেও মস্তব্য করেছেন তারা।

সমালোচকরা বলছেন, উচ্চ আয়ের ব্যক্তি হয়েও দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ বাসায় থাকা অনৈতিক।

প্রসঙ্গত, আপসানা বেগম বেড়ে উঠেছেন টাওয়ার হ্যামলেটসে। তার প্রয়াত বাবা এলাকাটির সাবেক জনপ্রতিনিধি ছিলেন। চলতি বছর পারিবারিক সহিংসতা নিয়ে সংসদে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। সমাজে নির্যাতিত নারীদের পক্ষে তার অবস্থান প্রশংসিত হয়।

আপসানা বেগমের পারিবারিক শিকড় সিলেটের সুনামগঞ্জে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর