img

ব্রিটেনগামী ফ্রিজ লরি হতে ১৩ অবৈধ অভিবাসী উদ্ধার

প্রকাশিত :  ০৯:১৯, ১৪ আগষ্ট ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩৫, ১৪ আগষ্ট ২০২৫

ব্রিটেনগামী ফ্রিজ লরি হতে ১৩ অবৈধ অভিবাসী উদ্ধার

ব্রিটেনগামী এক ফ্রিজ লরি থেকে অন্তত ১৩ জন অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই নাবালক। শনিবার সকালে সেন্ট-হিলেয়ার-কটেস বিশ্রামস্থলে এই ঘটনা ঘটে, যা ক্যালাইস থেকে প্রায় ৪৫ মাইল দূরে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইরিত্রিয়ান নাগরিকরা লরির পিছনের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে, যখন চালক ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি মরক্কো থেকে চেরি টমেটো নিয়ে ইংল্যান্ডে যাচ্ছিলেন এবং দীর্ঘ যাত্রার কারণে ক্লান্ত ছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চরম ঠান্ডায় অবৈধ অভিবাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়লেও লক করা দরজার কারণে বের হতে পারেনি।

জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুরের দিকে অন্য এক চালক লরি থেকে চাপা শব্দ ও চিৎকার শুনতে পান। খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে জরুরি সেবা, প্যারামেডিক এবং ১০ জন জেন্ডার্ম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবাইকে উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে একটি ফিল্ড হাসপাতালে নেওয়ার পর চারজনকে হাইপোথারমিয়াসহ বিভিন্ন জটিলতায় আরাস ও সাঁ-ওমেয় জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়।

প্রাপ্তবয়স্কদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে নিয়েছে, আর নাবালকদের সামাজিক সেবা বিভাগ ও একটি অভিবাসী সহায়তা সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পা-দে-ক্যালাইস প্রিফেকচারের চিফ অব স্টাফ ক্রিশ্চিয়ান ভেদেলাগো বলেন, “তাদের শরীরের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তারা কয়েক ঘণ্টা ধরে সেখানে ছিল।”

ফ্রিজ লরিতে প্রাণঘাতী যাত্রার ইতিহাস নতুন নয়। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের গ্রেজ শহরে ৩৯ জন ভিয়েতনামি নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল একটি ফ্রিজ লরি থেকে। ২০০০ সালে ডোভার বন্দরে ৫৮ জন চীনা অভিবাসী একইভাবে প্রাণ হারান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও এখন অধিকাংশ অভিবাসী ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পার হয়, তবুও লরির মাধ্যমে পাচারের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

লন্ডনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি আপসানা নতুন বিতর্কে

প্রকাশিত :  ০৫:৪১, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৫, ০২ নভেম্বর ২০২৫

আবারও নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত পপলার–অ্যান্ড–লাইমহাউস এলাকার সংসদ সদস্য আপসানা বেগম । প্রচুর আয় থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনও কাউন্সিলের ঘরে থাকেন—এমন অভিযোগ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে স্থানীয় রাজনীতি ও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী একজন অভিযোগ করেন, এলাকার হাজারো মানুষ এখনও সরকারি বাসস্থানের জন্য অপেক্ষায়, গৃহহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে; অথচ একজন উচ্চ আয়ের জনপ্রতিনিধি দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ঘর ব্যবহার করছেন।

পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ার পর একদল নাগরিক এই অভিযোগকে সমর্থন দিয়ে আপসানা বেগমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে আরেকদল তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা বলেন, তিনি ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যে দাঁড়িয়েও সমাজের বঞ্চিত শ্রেণির পক্ষে কাজ করছেন।

তারা আরও বলছেন, তিনি ঘরোয়া নির্যাতনের শিকার ছিলেন। সংখ্যালঘু নারী হিসেবে রাজনীতিতে বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। সাধারণ মানুষের মতো সরকারি সুবিধা নেওয়ায় আপসানা বেগমের ভুল নেই বলেও মস্তব্য করেছেন তারা।

সমালোচকরা বলছেন, উচ্চ আয়ের ব্যক্তি হয়েও দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ বাসায় থাকা অনৈতিক।

প্রসঙ্গত, আপসানা বেগম বেড়ে উঠেছেন টাওয়ার হ্যামলেটসে। তার প্রয়াত বাবা এলাকাটির সাবেক জনপ্রতিনিধি ছিলেন। চলতি বছর পারিবারিক সহিংসতা নিয়ে সংসদে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। সমাজে নির্যাতিত নারীদের পক্ষে তার অবস্থান প্রশংসিত হয়।

আপসানা বেগমের পারিবারিক শিকড় সিলেটের সুনামগঞ্জে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর