img

‘ধুরন্ধর’ চলাকালীন ধুন্ধুমার কাণ্ড! কেন এত বিতর্ক এই সিনেমা নিয়ে

প্রকাশিত :  ০৬:৫০, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

‘ধুরন্ধর’ চলাকালীন ধুন্ধুমার কাণ্ড! কেন এত বিতর্ক এই সিনেমা নিয়ে

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) মুক্তি পেয়েছে বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংয়ের সিনেমা ‘ধুরন্ধর’। এ সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে ঝড় তুললেও শুরু হয়েছে পাক-ভারত বিতর্ক। আদিত্য ধর পরিচালিত এ সিনেমাটি মুক্তির পর দিন থেকেই তরতর করে আয় বেড়ে চলেছে। এ ক্ষেত্রে রণবীর সিংয়ের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমাটি আয়ের দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা। সেই পাল্লা দিয়ে চলেছে সমালোচনা। 

এ সিনেমার আয় যেমন দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে, ঠিক তেমনই সামাজিক মাধ্যমে চলছে বিতর্কও। কেউ সিনেমার সঙ্গে খুঁজে পেয়েছেন বাস্তব চরিত্রের মিল। আবার কোনো সমালোচকের সিনেমাটি পছন্দ হয়নি। যাদের পছন্দ হয়নি, তারা অন্তর্জালে প্রবল বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন। এমনকি রিভিউ পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে। কিন্তু কী আছে সেই সময়ের ব্যাপক আলোচিত সিনেমাটিতে?

সিনেমাটি মুক্তির পর অনেকেই দাবি করেছেন— রণবীর সিং অভিনীত ‘হামজা’ চরিত্রটি তৈরি হয়েছে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা মোহিত শর্মার আদলে। মুক্তির আগেই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল— পরিচালক আদিত্য ধরের এই সিনেমার গল্প নাকি প্রয়াত মেজর মোহিত শর্মার জীবনের সঙ্গে অনেকটাই মিল। অথচ তাকে যথাযথ কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি— এমন অভিযোগ তুলেছিলেন মেজর শর্মার মা। 

এর আগে ২০০৪ সালে এক গোপন অভিযানে হিজবুল মুজাহিদীনের দলে ‘ইফতিখার ভাট’ নামে ছদ্মবেশে মোহিত শর্মা ঢুকে দুই জঙ্গিকে নির্মূল করেন। সেই বীরত্বের জন্য তিনি পান সেনা মেডেল। মেজর শর্মার পরিবার নাকি দিল্লি হাইকোর্টে সিনেমার উপস্থাপন নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে। পরে ভারতের সার্টিফিকেশন বোর্ড ও পরিচালক জানান, সিনেমাটি তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি নয়।

এ সিনেমা রেহমান ডাকাত চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় খান্না। সত্যিই কি ‘ধুরন্ধর’-এ কুখ্যাত পাকিস্তানি মাফিয়া রেহমান ডাকাতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি? এমন দাবিও তোলা হয়েছে। এ নিয়ে সিনেমার নির্মাতাদের পক্ষ থেকে কোনো কিছু আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে রেহমান ডাকাতের আসল নাম ছিল সর্দার আবদুল রেহমান বালুচ। খুব কম বয়সেই অপরাধজগতে জড়িয়ে পড়েন।রেহমান ডাকাত লটারির অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। 

সিনেমায় রেহমান ডাকাতকে এক বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে, যা আসলে বাস্তবতাবিবর্জিত। এ জন্য পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো দেশটির নির্মাতাদেরও দায়ী করেছেন। কারণ তারা কেবল পর্দায় রোমান্টিক ড্রামাই বানান, সত্যিকারের অপরাধের ঘটনাগুলো নিয়ে সিনেমা-সিরিজ বানান না।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা চৌধুরী আসলাম নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে এসব গ্যাং ভাঙার জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিলেন। এর পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছেন। তিনি এ ঘটনাগুলোর কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন, কোনো বিদেশি নায়কের সহায়ক নয়, যা হয়তো এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে।

এদিকে মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এই অ্যাকশন-ড্রামা পেরিয়ে গেছে ২০০ কোটির রুপির মাইলফলক। যদিও আদিত্য ধর ২০১৯ সালে তার প্রথম পরিচালিত সিনেমা উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক  রেকর্ড ভাঙার দিকেই তাকিয়ে আছেন, যার আয় ছিল ২৪৪ কোটি রুপি। বক্স অফিস–বিশ্লেষক সংস্থা স্যাকনিকের হিসাব অনুযায়ী, সাত দিনে ভারতেই সিনেমাটি সংগ্রহ করেছে ২০৭ কোটি রুপি।

‘ধুরন্ধর’-এ অতি জাতীয়তাবাদ, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব দেখানো হয়েছে—এমন অনেক কারণে এটা পছন্দ করেননি কোনো কোনো সমালোচক। কিন্তু সিনেমাটিকে যারা নেতিবাচক রেটিং দিয়েছেন, তাদের বিদ্রূপ ও কটাক্ষ করা হয়েছে অন্তর্জালে। কেবল তা–ই নয়, তাদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে। সেটা এতটাই যে প্রখ্যাত সমালোচক অনুপমা চোপড়া দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়া থেকে তার ‘ধুরন্ধর’-এর ভিডিও রিভিউ সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

অনুপমা চোপড়ার রিভিউয়ের সমালোচকদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। অনুপমা চোপড়া নিজের রিভিউতে লিখেছিলেন, ‘পরিচালক বাস্তব ঘটনাগুলো যেমন কান্দাহার হাইজ্যাক, ২০০১ সালের পার্লামেন্ট হামলা ও ২৬/১১-এর মুম্বাই হামলার আসল রেকর্ডিং-ব্যবহার করেছেন গল্পে উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য। তবে বাস্তব আর কল্পনার মিশ্রণ উভয়ই ঝুঁকিপূর্ণ এবং কিছুটা অগোছালো প্রমাণিত হয়েছে।’ তবে সমালোচনার মুখে রিভিউ প্রত্যাহার করা হলেও অনুপমা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এভাবেই ট্রলের মুখে পড়েছেন সুচারিতা ত্যাগী, রাহুল দেশাইয়ের মতো পরিচিত সমালোচকও।

এবার ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন অভিনেতা হৃতিক রোশন। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে হৃতিক লিখেছেন— ‘আমি সিনেমা ভালোবাসি। আমি তাদের ভালোবাসি যারা গল্পের মধ্যে নিজেকে সঁপে দেয়, যা আপনাকে ঝাঁকুনি দেয়। \'ধুরন্ধর\'  এমনই একটি উদাহরণ। গল্প বলার ধরন অসাধারণ, এটি সত্যিকারের সিনেমা।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি হয়তো এর রাজনৈতিক দিকের সঙ্গে একমত নই। চলচ্চিত্রকার হিসেবে আমাদের এটা নিয়ে বিতর্ক করতে পারি। এরপরেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ট্রলের শিকার হন হৃতিক রোশান। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে এমনও বলেছেন, ‘রাজনৈতিক বিষয়ের সঙ্গে একমত নন। তবে কি আপনি পাকিস্তানপন্থি? অনেকে আবার যশরাজের স্পাই ইউনিভার্সের সিনেমায় হৃতিকের অভিনয় প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন, যেখানে পাকিস্তানি এজেন্টের সঙ্গে ভারতীয় এজেন্টের প্রেম দেখানো হয়। প্রবল বিতর্কের মধ্যে গতকাল আরেকটি পোস্ট করে ক্ষতকে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন হৃতিক রোশান কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে।

এটা সমালোচনা শুধু ভারতের মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ নয়; পাকিস্তানেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেক পাকিস্তানি বিশ্লেষক ও দর্শক মনে করছেন, সিনেমার চরিত্রগুলোতে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। বলি সিনেমায় বরাবরই ভারতীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের নায়কোচিতভাবে দেখানো হয়। \'ধুরন্ধর\' সিনেমাতেও হয়তো সেটাই করা হয়েছে। 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে— করাচির গ্যাংস্টারের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল একেবারেই স্থানীয় ঘটনা। যার মূল কারণ ছিল দারিদ্র্য, রাজনৈতিক উদাসীনতা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্য।

‘ধুরন্ধর’ সিনেমার গল্প ঠিক এমন—

১৯৯৯ সালে কান্দাহারে একটি বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা দিয়ে শুরু হয় সিনেমা। এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে ভারতের পার্লামেন্ট ভবন ও মুম্বাই হামলাও। সব মিলিয়ে দেখানো হয়, পাকিস্তানের মদদে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ভারতে হামলা চালাচ্ছে। ভারতীয় সংস্থা র ঠিক করে, প্রচলিত ব্যবস্থায় এসব হামলা ঠেকানো যাবে না। সংস্থাটি নিজেদের চৌকস এজেন্ট হামজাকে (রণবীর সিং) পাকিস্তানের করাচির লিয়ারে শহরে পাঠায় সিস্টেমের ভেতরে ঢুকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে। কিন্তু কাজটা সহজ নয়, একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তিনি।— এই হলো সিনেমার গল্প।

 সিনেমাটিতে টান টান রোমাঞ্চ ও অ্যাকশন আর দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছে সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। অনেক সমালোচকও মনে করেন, মূল ধারার বাণিজ্যিক সিনেমার আড়ালে ‘ধুরন্ধর’-এ যেভাবে ভূরাজনীতির বিভিন্ন বিষয় সবিস্তারে তুলে ধরা হয়েছে, সেটি তারিফ করার মতো।

এ সিনেমায় অভিনেতা রণবীর সিং ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন অক্ষয় খান্না, সঞ্জয় দত্ত, অর্জুন রাজপাল, সারা অর্জুন, আর মাধবন প্রমুখ।


img

ইয়াশের \'টক্সিক\'-এ কিয়ারা আদভানির নতুন রূপ

প্রকাশিত :  ১০:২০, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশের পরবর্তী সিনেমা নিয়ে দর্শকের প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া। সেই প্রত্যাশার মাঝেই নতুন মাত্রা যোগ করলেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’। এই সিনেমার সবচেয়ে আলোচিত দিকগুলোর একটি– প্রথমবার ইয়াশের বিপরীতে দেখা যাবে বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানিকে। শুধু নায়িকা হিসেবে নয়; বরং তাঁর অভিনীত চরিত্রটি এক জটিল, বহুস্তরবিশিষ্ট। 

টক্সিকে কিয়ারা অভিনীত চরিত্রের নাম নাদিয়া। সদ্য প্রকাশ হওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারেই যা স্পষ্ট। এমন চরিত্র কিয়ারার আগের কোনো কাজের সঙ্গে মেলে না। আলো ঝলমলে সার্কাসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকা নাদিয়ার চোখেমুখে নেই সাফল্যের আত্মতৃপ্তি, নেই শিল্পীর গর্ব; বরং সেখানে জমে আছে ক্লান্তি, বিষণ্নতা আর একরাশ না-বলা গল্প।

সার্কাসের সবই যেন দর্শকের চোখে আনন্দ, রং, উত্তেজনা। কিন্তু সেই মঞ্চের পেছনের বাস্তবতা প্রায়ই থাকে অদৃশ্য। নাদিয়া ঠিক সেই অদেখা জীবনের প্রতিনিধি। অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউনে, আলোয় মোড়া সেটে দাঁড়িয়ে থাকা নাদিয়া যেন এক জীবন্ত বৈপরীত্য-বাইরে হাসি, ভেতরে ক্ষত।

গিতু মোহনদাসের নির্মাণ বরাবরই মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করেই হয়। টক্সিকেও তিনি সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রেখেছেন। নাদিয়া এমন এক নারী, যিনি দর্শকের সামনে প্রতিদিন নিজেকে ভাঙেন, আবার সেই ভাঙা টুকরো দিয়েই পরদিন নতুন করে মঞ্চে দাঁড়ান। কিয়ারার অভিনয়ে এই দ্বৈত সত্তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং আকর্ষণ।

২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু করা কিয়ারা আদভানি প্রায় এক যুগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মূলধারার সফল নায়িকা হিসেবে। প্রেম, পারিবারিক গল্প, অ্যাকশন, কমার্শিয়াল ড্রামা সবখানেই তাঁর উপস্থিতি ছিল সাবলীল। কিন্তু টক্সিক যেন সেই পরিচিত বৃত্ত ভাঙার ঘোষণা।

তিনি বলেন, ‘নাদিয়া এমন একটি চরিত্র, যেখানে গ্ল্যামার আছে, কিন্তু তা আড়াল তৈরি করে না; বরং চরিত্রের বেদনা আরও তীব্র করে তোলে। এখানে নায়িকা কিয়ারা নন, এখানে একজন শিল্পী নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে থাকা একজন নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছি। এখন আমি সিনেমাটি বড় পর্দায় দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।’

কিয়ারার অভিনয় প্রসঙ্গে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় সীমাবদ্ধ থাকে না, শিল্পীর জীবনেও প্রভাব ফেলে। টক্সিকে কিয়ারা যা করেছে, তার তুলনা হয় না। তিনি শুধু নাদিয়াকে অভিনয় করেননি, চরিত্রটিকে নিজের ভেতর বাঁচিয়েছেন।’ নির্মাতার এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়– টক্সিক কিয়ারার ক্যারিয়ারে শুধুই আরেকটি সিনেমা নয়; বরং একটি মানসিক ও শৈল্পিক রূপান্তরের অভিজ্ঞতা।

অন্যদিকে ভারতীয় সিনেমায় ইয়াশের শক্তিশালী, রুক্ষ পর্দা-ইমেজের বিপরীতে কিয়ারার অভিনয় নিয়েই দর্শকের কৌতূহল সবচেয়ে বেশি। দুজনের রসায়ন যে শুধুই রোমান্টিক সমীকরণে আটকে থাকবে না; বরং গল্পের গভীর স্তরে গিয়ে ধাক্কা দেবে সেই ইঙ্গিত ইতোমধ্যেই মিলেছে। এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয়সহ আরও অনেকে।

ভিএন প্রোডাকশন ও মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত এই বিগ-বাজেট সিনেমা মুক্তি পাবে ১৯ মার্চ ২০২৬। ইংরেজি ও কন্নড় ভাষায় শুটিং হওয়া টক্সিক মুক্তি পাবে হিন্দি, তেলুগু, তামিল ও মালয়ালমসহ একাধিক ভাষায়।

এদিকে চলতি বছরটাও ব্যক্তিগত জীবনেও কিয়ারার জন্য ছিল বিশেষ। চলতি বছরের ১৫ জুলাই মা হয়েছেন তিনি। আপাতত সন্তানকে ঘিরেই কাটছে তাঁর সময়।