img

সফর শেষে আবেগাপ্লুত ডুয়া লিপা

প্রকাশিত :  ০৬:৪৭, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

সফর শেষে আবেগাপ্লুত ডুয়া লিপা

‘র‍্যাডিক্যাল অপটিমিজম’ ট্যুর নিয়ে টানা এক বছর ধরে বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন ডুয়া লিপা। আলোচিত এই সংগীত সফর শেষের পথে, আর এ কারণে আবেগাপ্লুত হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয় এই গায়িকা।

ট্যুরের শেষ ধাপে এখন লাতিন আমেরিকা সফরে আছেন তিনি। কলম্বিয়ার বোগোতায় শো করেছেন গত ২৮ নভেম্বর।

এদিন কনসার্ট শেষে নিজের ইনস্টাগ্রামে ডুয়া লিখেছেন, ‘এই অবিশ্বাস্য সফল শেষ হয়ে আসছে। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

আমি জানি, অনেক শহরে যেতে পারিনি। পরেরবার ঠিক দেখা হবে।’  

কলম্বিয়া হলো শাকিবার দেশ, তাই বোগোতার শোতে ডুয়া পরিবেশন করেন শাকিরার জনপ্রিয় গান ‘আন্তোলজিয়া’, যা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

গানের ক্লিপ শেয়ার করে ডুয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শাকিরা। ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘তোমার কণ্ঠে আমার গান হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। তুমি গানটি গেয়েছ সেই শহরে, যেখানে কয়েক বছর আগে এটা লিখেছিলাম। এভাবেই সংগীত আমাদের একত্র করে।’

গত বছরের ৩ মে প্রকাশিত হয় ডুয়ার তৃতীয় অ্যালবাম ‘র‍্যাডিক্যাল অপটিমিজম’; এরপরই একই নামের সংগীত সফরে বের হন ডুয়া। 

গায়িকা জানিয়েছেন, ৫ ডিসেম্বর মেক্সিকো সিটিতে সফর শেষ হওয়ার পর গান থেকে সাময়িক বিরতি নেবেন।

এর আগে ভ্যারাইটিকে তিনি বলেছিলেন, ‘দুনিয়ার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে টানা পারফর্ম করা খুব চ্যালেঞ্জের। শারীরিক ও মানসিকভাবে সবটা নিংড়ে নেয় এটা। এই সফরের শেষে কিছুদিন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব। নতুন বছরে, নতুন কিছু নিয়ে ফিরব।’


img

জীবনে আর কখনোই খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করবেন না এজাজ

প্রকাশিত :  ১০:২২, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

পর্দার জনপ্রিয় মুখ ডা. এজাজুল ইসলাম। যিনি ডা. এজাজ নামেই বেশি পরিচিত। বৈচিত্রময় চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয় জয় করেছেন তিনি। বিশেষ করে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বহু নাটক ও সিনেমায় তার চরিত্রগুলো এখনো দর্শকদের আনন্দ দেয়। সম্প্রতি এই অভিনেতা জানালেন বাজে এক অভিজ্ঞতার কথা। প্রকাশ করলেন ক্ষোভও।

খাঁটি-ঘি নামে একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে যুক্ত থাকার পর ভোক্তা অধিদপ্তরে তলব এবং গ্রাহকদের প্রতারণার অভিযোগে হতাশ হয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, জীবনে আর কখনও খাদ্যপণ্যের কোনো বিজ্ঞাপন করবেন না।

একজন ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতা গণমাধ্যমকে জানান, অনলাইনে নানা বিজ্ঞাপন দেখেও তিনি ভরসা পাননি। কিন্তু ডা. এজাজকে ঘিয়ের প্রচার করতে দেখে বিশ্বাস করে কিনেছিলেন। পরে পণ্যের মান নিম্নমানের হওয়ায় প্রতারণার শিকার হন। এমন অভিযোগ দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।

এই পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিদপ্তরে ডেকে পাঠায় ডা. এজাজকে। তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক তাকে পণ্যের গায়ে বিএসটিআই লোগো দেখান। তাই তিনি ধরে নিয়েছিলেন, পণ্যটি পরীক্ষিত ও মানসম্মত।

যদি প্রতিষ্ঠানটি সত্যিই ভেজাল পণ্য দিয়ে থাকে, তবে ভোক্তা অধিদপ্তর যেন তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়- বললেন এজাজ। এ বিষয়ে তিনি ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন।

তবে অভিযোগ দায়েরের পরও বিজ্ঞাপনটি এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে। বিষয়টি বন্ধে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কথা বলেও কোনো ফল পাননি তিনি।

তিনি বলেন, বলেছি যে বিজ্ঞাপন বন্ধ করুন, মানুষকে আর প্রতারণা করবেন না। কিন্তু তারা শুনছে না। বিষয়টি ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানিয়েছি।

সবশেষে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ডা. এজাজ বলেন, ‘এই ঘটনার পর স্থির সিদ্ধান্ত নিয়েছি-জীবনে আর কখনই খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করবো না। মানুষের ভরসাকে কেউ যেন আর ব্যবহার করতে না পারে।’