img

সালমান শাহ হত্যা মামলায় নতুন আসামি হলেন যারা

প্রকাশিত :  ০৯:০৭, ২১ অক্টোবর ২০২৫

সালমান শাহ হত্যা মামলায় নতুন আসামি হলেন যারা

চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর আদালতের নির্দেশে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ মোট ১১ জনকে। সোমবার (২১ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মাজহারুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এজাহার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মামলার এজাহারে আসামিরা হলেন- সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হক। এছাড়াও আসামির তালিকায় আছেন ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ আরও কয়েকজন। মোট অভিযুক্ত ১১ জনের পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের নাম।

অভিনেতা সালমান শাহ হত্যা মামলা পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তার মা নীলা চৌধুরীর রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে এ হত্যা মামলা চলবে বলে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দিয়েছেন।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর শুরু হয় দীর্ঘ তদন্তযাত্রা, যা প্রায় তিন দশক ধরে অপমৃত্যু মামলা হিসেবেই চলতে থাকে। পরবর্তী সময় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে মত দেয়।

তবে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী শুরু থেকেই ওই প্রতিবেদন মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং দাবি করে আসেন, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।


img

কীভাবে জনপ্রিয় হলেন হানিয়া আমির

প্রকাশিত :  ১২:১৩, ২০ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫০, ২০ অক্টোবর ২০২৫

নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন পাকিস্তানি জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির। তার চোখের চাহনি, প্রাণবন্ত হাসি আর স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে তুলেছেন তিনি। অভিনেত্রী খুব অল্প সময়েই সবচেয়ে প্রিয় মুখগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছেন। হানিয়ার অভিনয়ে আছে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, বাস্তবতার ছোঁয়া আর আবেগের গভীরতা। তার প্রতিটি সাহসী নারী চরিত্র যেন জীবনের গল্প বলে, তাই দর্শকও তাকে খুঁজে পায় নিজেদের মধ্যে।

হানিয়া আমিরের কিছু নাটক হয়ে উঠেছে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানোর একটি অধ্যায়। যে নাটকগুলো শুধু জনপ্রিয়তাই এনে দেয়নি, বরং প্রতিষ্ঠিত করেছে তাকে এক অনন্য অভিনেত্রী হিসেবে। হানিয়া আমিরের জনপ্রিয়তা শুধু তার সৌন্দর্যে সীমাব্ধ থাকেনি; বরং প্রতিটি চরিত্রে প্রাণ ঢেলে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল। কখনো ভালোবাসায় ভরা মেয়ে, কখনো বঞ্চিত নারী, আবার কখনো প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর— সব ভূমিকাতেই নিজের অভিনয়কে ভিন্নমাত্রায় উপস্থাপন করেন তিনি। তার নাটকগুলো প্রমাণ করে, হানিয়া আমির শুধু এক উদীয়মান অভিনেত্রী নন, বরং টেলিভিশনের ভুবনে একজন শক্তিশালী অভিনেত্রী। সেই স্মরণীয় নাটকগুলো নিয়েই আজকের কথামালা।

ইশকিয়া

হানিয়া আমির এখানে রুমি চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যে পরিবার, প্রেম আর বিশ্বাসঘাতকতার টানাপোড়েনে পড়ে যায়। ফারহান সাঈদ ও ফিরোজ খানের সঙ্গে অভিনয়ে তার রসায়ন নাটকটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। প্রেম, ঈর্ষা আর প্রতিশোধের মিশ্রণে তৈরি নাটকটি ছিল টিআরপি তালিকার শীর্ষে।

ভিসাল

এই নাটকে হানিয়া আমির ছিলেন পারি চরিত্রে, যে সরল-সাদামাটা স্বভাবের হলেও ভাগ্যের খেলায় জড়িয়ে পড়ে এক জটিল সম্পর্কে। হাসান খান ও সাবা হামিদের সঙ্গে তার অভিনয় রসায়ন নাটকটিকে করেছে প্রাণবন্ত। রোমান্স, ট্র্যাজেডি ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব— সব মিলিয়ে নাটকটি দর্শকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।

মেরে হমসফর

রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার এই নাটকটি হানিয়া আমিরকে এনে দিয়েছে বিশাল পরিচিতি। এখানে তিনি হালা চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে জাত  চিনিয়েছেন, যাকে ছোটবেলা থেকেই পরিবারে অবহেলা করা হয়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে অবজ্ঞা আর কষ্ট সয়ে বড় হওয়া হালা শেষমেশ খুঁজে পায় সত্যিকারের ভালোবাসা। হানিয়ার অভিনয়ে হালার দুর্বলতা, লড়াই আর মানসিক শক্তি দর্শককে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।

সাঙ এ মাহ

এটি একটি সামাজিক ইস্যুভিত্তিক নাটক, যেখানে উপজাতীয় সংস্কৃতির নানা দিক উঠে এসেছে। হানিয়া এখানে ঘাগ চরিত্রের ভুক্তভোগী এক নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তার চরিত্রের যন্ত্রণা ও প্রতিবাদী মানসিকতা নাটকটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। হানিয়ার চোখের ভাষা আর সংলাপ-উচ্চারণ দর্শকের মনে আজও গেঁথে রয়েছে ।

ফির ওয়াজুদ

এখানে হানিয়া হামির এক দৃঢ়চেতা ও আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন একজন  নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সমাজ ও পরিবারে নারীর অবস্থান, ভালোবাসার জন্য লড়াই এবং ব্যক্তিত্ব ধরে রাখার গল্প এই নাটককে বিশেষ করে তুলেছে। তার অভিনয়ে একাধারে কোমলতা ও দৃঢ়তার মিশেল দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে।