img

শিশুবেলায় মা-বাবার বিচ্ছেদ নিয়ে যা বললেন ঋতাভরী

প্রকাশিত :  ০৮:৪১, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

শিশুবেলায় মা-বাবার বিচ্ছেদ নিয়ে যা বললেন ঋতাভরী

টালিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী শুধু ছোট পর্দা ও ওয়েব সিরিজের জগতে নয়ম বড় পর্দাতেও নিজের অভিনয় দক্ষতায় জায়গা করে নিয়েছেন। কাজের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবন, বিশেষ করে মা শতরূপা সান্যাল ও বাবার বিচ্ছেদ নিয়ে নেটদুনিয়ায় আলোচনা থামেনি কখনও। এবার সে প্রসঙ্গেই খোলাখুলি কথা বললেন অভিনেত্রী।

ঋতাভরীর যখন বয়স মাত্র চার, তখন আলাদা হয়ে যান বাবা উৎপলেন্দু চক্রবর্তী ও মা শতরূপা সরকার। সম্প্রতি ‘স্টে আপ উইথ শ্রী’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতী জানান, বাবা-মায়ের আলাদা হয়ে যাওয়া তাঁর ছোটবেলার বাস্তবতা ছিল। কিন্তু সেই সময়ও তিনি নিজেকে মানিয়ে নেন।

ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন, ‘যখন দাদুর বাড়িতে থাকতে শুরু করলাম, আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। কারণ, ছোটবেলা থেকেই সেই বাড়িতে ঘন ঘন যেতাম, তাই পরিবেশটা আমার কাছে নতুন ছিল না। মাকে কখনও হাউমাউ করে কাঁদতে দেখিনি, তবে দুই ঘরের বাড়িতে কতটা লুকিয়ে কষ্ট পাওয়া যায়? যা শোনার ছিল, তা কানে এসেছে, যা বুকে লাগার, তা লেগেছে।’

অভিনেত্রী আরও জানান, ছোটবেলায় একজন তাকে সহানুভূতির সুরে জিজ্ঞেস করেছিলেন- ‘বাবার কথা মনে হয় না?’ উত্তরে ছোট্ট ঋতাভরী বলেছিলেন, ‘আমার মায়ের নামও শতরূপা সান্যাল, আমার বাবার নামও শতরূপা সান্যাল।’

এই বক্তব্য নিয়ে অনেকেই ধরে নেন, ঋতাভরী তার বাবাকে অস্বীকার করছেন। কিন্তু সেই ধারণা একেবারে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও আমার বাবাকে অস্বীকার করিনি। আমি মায়ের কষ্টকে অস্বীকার করতে পারি না। কেউ যদি মাকে কষ্ট দেয়, তাকে আমি মাথায় করে রাখতে পারব না।’

ব্যক্তিগত জীবনের এই খোলামেলা প্রকাশে অনুরাগীরা নতুন করে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রীকে। অনেকের মতে, ঋতাভরীর এই পরিণত মন্তব্যই তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।


img

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত :  ০৯:২১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবার আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন। পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মেহজাবীন এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেবো কালকে দেবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব। এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন।