img

‘আমার ১২টা বিয়ে করার ইচ্ছে’

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩৪, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

‘আমার ১২টা বিয়ে করার ইচ্ছে’

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনিকে জড়িয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। তবে গুঞ্জন খুব একটা গায়ে মাখেন না তিনি। প্রেম-বিয়ে নিয়ে একাধিকবার খবরের শিরোনামও হয়েছেন তিনি। শোবিজে আসার পর পরীর বিয়ের খবরগুলো প্রকাশ্যে আসলেও আড়ালে ছিল তার আগের জীবনের নানা কথা। অবশেষে নায়িকা সেই কথা বললেন একটি পডকাস্টে।

কখনো চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ, কখনো তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন; সিনেমায় ক্যারিয়ার গড়ার আগে খালাতো ভাই ইসমাইলকে বিয়ে নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়নি তাঁকে।

মাছরাঙা টেলিভিশনের ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’ অনুষ্ঠানে এসব গুঞ্জন নিয়ে অকপটে কথা বলেছেন পরীমনি; সচরাচর তাঁকে গুঞ্জন নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় না। সেখানে প্রথম বিয়ের বিষয়টিও খোলাসা করলেন আলোচিত এই নায়িকা।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালক রুম্মান রশীদ খান প্রশ্ন করেন, শেখ সাদি তোমার বয়ফ্রেন্ড (প্রেমিক)? পরীমনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘ও আমার ছোট ভাই। ও আমার ছোট ভাইয়ের মতো।’

এই মুহূর্তে তুমি কি সিঙ্গেল? পরীমনি বলেন, ‘না।’ কারও সঙ্গে সম্পর্কে আছ—জানতে চাইলে পরীমনির উত্তর, ‘জানি না। শোনেন, আমি যদি নিজেকে সিঙ্গেল বলি, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ কেন করবে না? ‘আমি নিজেই বিশ্বাস করি না। আমার সামহাউ সারাক্ষণ প্রেম প্রেম ফিল হয় এবং এটা থাকা ভালো।’

মোট কতবার বিয়ে করেছ—এমন প্রশ্নের উত্তরে পরীমনি বলেন, ‘একবার’। সঞ্চালক বলেন, শরীফুল রাজের কথা বলছ, তাহলে বাকি বিয়ের কথা কেন আমরা শুনি? পরীমনি বলেন, ‘জানি না। ওরা মনে হয় সৎস্বামী। (হা হা) যাদের সঙ্গে ডিভোর্সটা দেখা যায়নি।’

শরীফুল রাজের সঙ্গে পরীমনির বিচ্ছেদ ঘটেছে। শরীফুল রাজের সঙ্গে বিয়েটা ভুল ছিল—জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘না। আমার জীবনে কিছুই ভুল না। সবকিছুই একটা অভিজ্ঞতা।’

অভিনয়ে ক্যারিয়ার শুরুর আগে খালাতো ভাই ইসমাইলকে বিয়ে করেছিলেন পরীমনি—গত বছরের নভেম্বরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় ইসমাইলের মৃত্যুর পর এমন গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। ইসমাইলের সঙ্গে পরীমনির ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়।

ইসমাইল কি তোমার স্বামী ছিলেন—এমন প্রশ্নের জবাবে পরীমনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার সৎস্বামী ছিল।’ এরপর সঞ্চালক জানতে চান, তুমি কতবার বিয়ে করতে চাও? পরীমনি বলেন, ‘আমার না আসলে ১২টা বিয়ে করার (ইচ্ছা আছে)। ছোটবেলা থেকে আমি মজা করে বলতাম, আমি এক ডজন বিয়ে করব। এটা আসলে রিউমারটা (গুঞ্জন) এভাবে স্টাবলিশ (প্রতিষ্ঠিত) হবে—সেটা আমি বুঝি নাই। তাহলে আমি কোনো দিনই বলতাম না।’

এর বাইরে চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদের সঙ্গেও পরীমনির গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। সিয়ামের সঙ্গে তোমার গুঞ্জন উঠল কেন? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের উত্তরে পরীমনি বলেন, ‘আমি জানি না। বিশ্বাস করেন, এই একটামাত্র মানুষের সঙ্গে আমার সবচেয়ে কোজি রিলেশনশিপ আছে না, ওটাই আছে। সারাক্ষণ যে ফোনে কথা হয়, ওই রকমও না।’

প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো চিত্রনায়িকা পরীমনির জন্য নতুন কোনো ঘটনা নয়। আবার এ সম্পর্ক নিয়ে কোনো রাখঢাক রাখেন না আলোচিত এই চিত্রনায়িকা। প্রেমিকসহ কাছের কয়েকজনকে নিয়ে যখন খুশি ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। হইহুল্লোড়ে থাকতে পছন্দ করেন পরীমনি। শোনা যায়, অভিনেত্রীর প্রথম বিয়ে হয় কৈশোর পেরোনোর পরপরই। তবে সেই সংসার টিকেছিল অল্প সময়। আলোচনায় খুব বেশি না এলেও এটি তাঁর জীবনের এক অপ্রকাশিত অধ্যায় ছিল এত দিন। পরে ২০১২ সালে পরিচালক কামরুজ্জামান রনির সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের খবর শোনা যায়। তবে এ সম্পর্কও বেশি দিন টেকেনি। ব্যক্তিগত মতভেদের কারণে তাঁদের পথ আলাদা হয়ে যায়।

চার বছর আগে ‘গুণিন’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে নায়ক শরীফুল রাজের পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে প্রণয়। এরপর এই দম্পতির একটি ছেলেসন্তান হয়। পরে তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। পরীমনি তাঁর সন্তান ও কাজ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত আছেন। অন্যদিকে রাজও তাঁর মতো করে ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঝেমধ্যে সন্তানের কারণে চলচ্চিত্রের এই দুই তারকার দেখা হয় বলে জানা গেছে।

   

img

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত :  ০৯:২১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবার আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন। পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মেহজাবীন এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেবো কালকে দেবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব। এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন।