img

ইতালিতে হেনস্তার শিকার, বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন সোহা

প্রকাশিত :  ১৩:৫৭, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইতালিতে হেনস্তার শিকার, বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন সোহা

বলিউড অভিনেত্রী সোহা আলি খান ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন । ইতালিতে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে পতৌদি কন্যার সঙ্গে। 

অভিনেত্রী জানান, বিষয়টি এতটাই সংবেদনশীল ছিল, যেন রীতিমতো তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। 

সম্প্রতি একটি পডকাস্টে সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন সোহা। এতে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কখনো তাকে প্রকাশ্যে ‘ফ্ল্যাশ’ করা হয়েছে কি না। উত্তরে সোহা জানান, প্রকাশ্যে তাকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দেখানো হয়েছিল। 

তিনি বলেন, এটা ইতালিতে ঘটেছিল। এটি প্রায়ই ঘটে। আর সেটি ঘটেছিল প্রকাশ্যে। এ ঘটনায় একরকম বাকরুদ্ধও হয়ে পড়েছিলাম।  

অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি তখন ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কি হলো এটা! তাদের উদ্দেশ্য কী, আমি আর বুঝতেও চাইনি।’ 

সোহা বলেন, আমার পরিচয় ও পেছনের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি আমাকে অনেক অনিরাপদ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেছে। যা অনেক নারী প্রতিদিনের জীবনে মুখোমুখি হন। 

অভিনেত্রী বলেন, আমি জানি আমার জীবন আমাকে নিরাপদ রেখেছে। আমার সঙ্গে এমন অভিজ্ঞতা ঘটেনি যা সাধারণভাবে গণপরিবহন ব্যবহারকারী নারীদের হয়।

img

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত :  ০৯:২১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবার আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন। পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মেহজাবীন এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেবো কালকে দেবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব। এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন।