img

অশান্ত নেপাল, মাতৃভূমির জন্য যা লিখলেন মনীষা

প্রকাশিত :  ১০:৫০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫১, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অশান্ত নেপাল, মাতৃভূমির জন্য যা লিখলেন মনীষা

কে পি শর্মা অলির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজপথে নেমেছে নেপালের তরুণসমাজ। সেই বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, দেশটির বিনোদনজগতের খ্যাতনামা তারকারাও সমর্থন জানিয়েছেন। আর তাতে আন্দোলনের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায়। 

অন্য তারকাদের মতো সম্মতি জানিয়েছেন নেপালিকন্যা বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা।  সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে রক্তাক্ত জুতার ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন— নেপালের জন্য ব্ল্যাক ডে।

অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা ছাড়াও অভিনেতা-পরিচালক নিসচল বসনেত একটি ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতায় যাওয়ার পর নাগরিকদের ভুলে যান। তিনি বলেন, অতীতের বিক্ষোভের চেয়ে এবারকার আন্দোলন ভিন্ন। কারণ দেশের ভেতরের তরুণ নেপালিরাই নেতৃত্ব দিচ্ছে জবাবদিহির দাবি তোলায়।

এদিকে গায়ক ও অভিনেতা প্রকাশ সাপুতও আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন— তার দুই ভাইকে তিনি ২৫ হাজার রুপি করে পাঠিয়েছেন বিক্ষোভকারীদের জন্য পানি এবং খাবার সরবরাহের জন্য। তরুণদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার এবং ক্লান্ত না হওয়ার পরামর্শ দেন এ গায়ক।

এ ছাড়া অভিনেত্রী কেকি অধিকারী, বর্ষা রাউত, অনমোল কেসি, প্রদীপ খাড়কা, ভোলারাজ সাপকোটা, বর্ষা শিবাকোটি এবং গায়িকা এলিনা চৌহান, রচনা রিমাল ও সমীক্ষা আধিকারীও আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তারা সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


img

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত :  ০৯:২১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবার আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন। পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মেহজাবীন এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেবো কালকে দেবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব। এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন।