img

ধর্মের কারণে অভিনয় ছাড়েন, এবার বিয়ের খবর দিলেন জায়রা

প্রকাশিত :  ১০:৩২, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ধর্মের কারণে অভিনয় ছাড়েন, এবার বিয়ের খবর দিলেন জায়রা

‘দঙ্গল’খ্যাত অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম অভিনয় ছাড়ার পাঁচ বছর পর বিয়ে করলেন। অভিনেত্রী বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট অভিনেতা আমির খানের সঙ্গে। সেই সিনেমায় আমিরকন্যার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বড়পর্দায় অভিনয় শুরু করে নিজেকে পরিচিত করেন অভিনেত্রী। 

দুটি হিট সিনেমায় অভিনয় করে এবার বলিউডকে বিদায় জানালেন জায়রা ওয়াসিম। ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই পরপর দুটি সিনেমায় অভিনয় করে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়া জায়রা সাফল্যের স্বাদ পেতে না পেতেই অভিনয়জগৎ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ধর্মে মন দিতে চান, এমন খবরই সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে নেন অভিনেত্রী।

সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায়, কনের পরনে লাল রঙের বিয়ের পোশাক। বর বেছে নিয়েছিলেন ঘিয়ে রং। কিন্তু দুজনেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন পেছন ফিরে। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, মেহেন্দি করা নববধূর হাত বিয়ের কাগজে সই করছেন।  ক্যাপশনে লিখেছেন— \'কবুল হ্যায়।\' জায়রা ওয়াসিমকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। তবে কাকে বিয়ে করেছেন তা প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী। 

উল্লেখ্য, ‘দঙ্গল’ সিনেমায় একটি দৃশ্যে জায়রাকে কেশহীন অবস্থায় দেখা যায়। সেই দৃশ্যে অভিনয়ের কারণে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেই দৃশ্যে অভিনয় করে নাকি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। তবে সিনেমাটি বক্স অফিসে আলোড়ন ফেলেছিল। ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন জায়রা। সেই সিনেমাতে আমিরের সঙ্গে অভিনয় করেন তিনি। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক’ সিনেমার শুটিং শেষ করেন জায়রা। সেই বছর অক্টোবর মাসে মুক্তি পায় সিনেমাটি।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জায়রা লিখেছিলেন, আমি নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করতে চাই। তাই অভিনয়জগৎ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।




img

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত :  ০৯:২১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবার আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন। পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মেহজাবীন এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেবো কালকে দেবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব। এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন।