img

ঈদে মুক্তি পাবে পরীমনির সিনেমা ডোডোর গল্প

প্রকাশিত :  ০৭:১১, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

ঈদে মুক্তি পাবে পরীমনির সিনেমা ডোডোর গল্প

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি দীর্ঘ দুই বছরের বিরতির পর ফের বড় পর্দায় কাজ শুরু করেছিলেন। মাতৃত্ব ও পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে দুই বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন তিনি। সেই বিরতি ভাঙে ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার মাধ্যমে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হয় সিনেমাটির শুটিং। চলতি বছরের শুরুতে এক ভিডিওবার্তায় পরীমণি জানান, এক বছর চার মাস ২৩ দিন পর তিনি সিনেমাটির শুটিং শেষ করেছেন। এরপর সিনেমাটি নিয়ে আর কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। অবশেষে জানা গেল, নতুন খবর– আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে ‘ডোডোর গল্প’।

সিনেমাটির সহ-প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া সমকালকে জানান, ‘আমাদের সিনেমার ডাবিং ও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক (বিজিএম) শেষ হয়েছে। এখন কেবল বাকি আছে কালার গ্রেডিং ও এডিটিংয়ের কাজ। ইনশাআল্লাহ সব শেষ করেই আমরা আগামী রোজার ঈদে ছবিটি মুক্তি দিতে পারব।’

ডোডোর গল্পে পরীমণি অভিনয় করেছেন কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘কাজল চৌধুরী’র ভূমিকায়। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন সাইমন সাদিক, যিনি ‘রায়হান’ নামের এক ফটোগ্রাফারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পরীমণি বলেন, ‘এই সিনেমাটি আমার কাছে খুব স্পেশাল। কারণ, মাতৃত্বকালীন বিরতির পর এই ছবির মাধ্যমেই আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। তাই নিজের সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি কাজই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তবে “ডোডোর গল্প”-এর সঙ্গে এক ধরনের আবেগ জড়িয়ে আছে। আশা করি, দর্শকরা ছবিটি ভালোবাসবেন।’

সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রেজা ঘটক। তিনিই লিখেছেন এর কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ। নির্মাতা বলেন, ‘একজন মায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি ও সমাজজীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছি এই ছবিতে। কাজল চৌধুরীর প্রায় বিশ বছরের জীবনের জার্নি তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়।’

‘ডোডোর গল্প’ ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পায়। এতে অভিনয় করেছেন ৮৭ জন শিল্পী এবং দৃশ্যধারণ হয়েছে ২৫টিরও বেশি লোকেশনে। প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া জানান, ‘এটা এক আত্মনির্ভরশীল মায়ের দীর্ঘ দুই দশকের সংগ্রামের গল্প। যেখানে মায়ের নিরন্তর অনুসন্ধান শেষে সে খুঁজে পায় তাঁর হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে। আমরা সিনেমাটিকে অনেক যত্ন নিয়ে তৈরি করেছি। আশা করি এটি দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেবে।’

এদিকে জন্মদিনে উদযাপন করতে মালয়েশিয়া রয়েছেন পরীমণি। এই মুহূর্তে তাঁর হাতে নতুন কোনো সিনেমার খবর নেই। অন্যদিকে সাইমন সাদিক রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। গত বছর ৫ আগস্টের পর দেশে ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। 

img

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত :  ০৯:২১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবার আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন। পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মেহজাবীন এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেবো কালকে দেবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব। এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন।