img

ব্রিটেনের রাজনীতিতে অস্থিরতা, অপসারণের আশঙ্কায় স্টারমার

প্রকাশিত :  ০৮:২০, ১২ নভেম্বর ২০২৫

ব্রিটেনের রাজনীতিতে অস্থিরতা, অপসারণের আশঙ্কায় স্টারমার

ব্রিটেনের লেবার পার্টিতে প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্ব বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। স্টারমারের অনুগতদের আশঙ্কা, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজেট ঘোষণার পরপরই তার নেতৃত্ব টিকে থাকবে কি না, সেই আশঙ্কা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে ফের শুরু হয়েছে নেতৃত্ব সংকটের আলোচনা, এবং স্টারমারকে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব আনার গুঞ্জন ছড়িয়েছে ওয়েস্টমিনস্টারে। 

স্টারমারের ঘনিষ্ঠ মহল মনে করছে, বাজেট ঘোষণার পরই নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার তৎপরতা শুরু হতে পারে। তবে স্টারমারের সহযোগীরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তার পদ ছাড়বেন না এবং যেকোনো অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের মুখেও লড়াই চালিয়ে যাবেন।

স্টারমারবিরোধী গোষ্ঠী বিকল্প নেতৃত্বের জন্য মন্ত্রিসভারই কয়েকজন প্রভাবশালী সদস্যের নাম আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে। সম্ভাব্য নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব ওয়েস স্ট্রিটিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ, জ্বালানি মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড এবং সাবেক পরিবহনমন্ত্রী লুইস হেইগ। তবে স্ট্রিটিংয়ের পক্ষ থেকে সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে জানানো হয়েছে যে, তার মনোযোগ কেবল স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে। 

বর্তমানে ডাউনিং স্ট্রিটের অভ্যন্তরে চলছে অস্থিরতা ও পারস্পরিক অভিযোগ। একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দল নিজস্ব সহযোগীদের বিরুদ্ধেই নেতিবাচক প্রচারে নেমেছে, যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাশাপাশি প্রশাসনিক স্থিতিও দুর্বল করছে।

একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, স্টারমারের জনপ্রিয়তা লেবার পার্টির ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। দলীয় কিছু মন্ত্রী মনে করছেন, এই অবস্থায় মে মাস পর্যন্ত সরকার টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। 

তবে স্টারমারের সমর্থকরা সতর্ক করছেন, এই মুহূর্তে নেতৃত্ব পরিবর্তন মানে হবে লেবার পার্টির জন্য ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’, ‘বাজারের অস্থিতিশীলতা’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অর্জিত সম্পর্কের ঝুঁকি। তাদের মতে, এখন নেতৃত্ব বদল একটি ‘আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’

সূত্র: বিবিসি, স্কাই নিউজ


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

বাংলাদেশে কারাদণ্ডের রায়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপের প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত :  ১৩:৩৫, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের একটি আদালত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রচলিত আইনে এই দণ্ড কার্যকর হবে।

এই রায়ের পর ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, তিনি আশা করেন এই রায়কে যথাযথ অবজ্ঞার সঙ্গে দেখা হবে। তিনি এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক বলে অভিহিত করেছেন।

রায় নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই তথাকথিত ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’-এর রায় যেমন অনুমেয় ছিল, তেমনই এটি অন্যায়। আমি আশা করি এই তথাকথিত রায়কে অবজ্ঞার সঙ্গে দেখা হবে, যা এর প্রাপ্য। আমার মনোযোগ সব সময় আমার হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের দিকেই ছিল এবং আমি বাংলাদেশের এই নোংরা রাজনীতিতে মনোযোগ দিতে চাচ্ছি না।

এর আগে সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত। এই রায়ের মাধ্যমে দেশের আদালতে প্রথম কোনো ব্রিটিশ এমপির সাজা ঘোষণা করা হলো।

আজকের রায়ের আগে প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনার ৭ বছর করে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া এক মামলায় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আজকের মামলার রায়ে নতুন করে সাজা পেলেন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক।

দেশে ফেরাতে চায় দুদক

প্লট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফেরানো হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মুহাম্মদ মইনুল হাসান।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলম মামলার রায় ঘোষণা করলে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দুদকের পিপি মইনুল হাসান বলেন, এ রায় আমাদের প্রত্যাশামতো হয়নি। আমরা সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন চেয়েছিলাম। দুদকের সাথে কথা বলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

পিপি আরও বলেন, যেসব দেশে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপসহ অন্য আসামিরা পলাতক আছে সেসব দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করব। ইন্টারপোলের সহায়তায় তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা নেব আমরা। টিউলিপ একদিকে বাংলাদেশের নাগরিক, আবার যুক্তরাজ্যের নাগরিক। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা টিউলিপের সাজার বিষয়টি অবহিত করব। আইনের যেসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরানো যায় সেসব প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করব।

তিনি আরও বলেন, টিউলিপ কখনো ফোন কল, কখনো অ্যাপস ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে প্লট বরাদ্দের জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারীরা এসে এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। আমরা মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় হয়নি।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর