img

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলায় তীব্র নিন্দা লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের

প্রকাশিত :  ০৭:০০, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলায় তীব্র নিন্দা লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের

যুক্তরাজ্যের বাংলা মিডিয়ার প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার অফিস ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ডেইলি নিউ এজ–এর সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রেস ক্লাব প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ জুবায়ের, জেনারেল সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ ও ট্রেজারার সালেহ আহমেদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার অফিসে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের ওপর সাম্প্রতিক ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের হামলা স্বাধীন গণমাধ্যম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং জনগণের তথ্য জানার অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত এবং দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথে একটি গুরুতর বাধা।

বিবৃতিতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, এই দুঃসময়ে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব তাদের পাশে রয়েছে । একই সঙ্গে হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তারা।

একই বিবৃতিতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার ঘটনায় গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন । তারা বলেন, ‘ওসমান হাদি গণতন্ত্রের জন্য নিবেদিত এক সাহসী সৈনিক ছিলেন এবং সেই সংগ্রামী পথেই তিনি শহীদ হয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’ নেতৃবৃন্দ ওসমান হাদির হত্যাকারী ও নেপথ্যের কারিগরদের, তথা নির্দেশদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করারও দাবি জানান।

তবে বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ  ‘বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে সবাইকে কোনো উস্কানিতে পা না দিয়ে সংযম, ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, হামলা বা অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নয়, বরং তা তাদের প্রতি অশ্রদ্ধারই শামিল।’

তারা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে নানা মতাদর্শের গণমাধ্যম রয়েছে। ভিন্নমতের সঙ্গে যুক্তি ও তর্কের মাধ্যমে মত প্রকাশের সুযোগ ও অধিকার থাকবে; কিন্তু সহিংস আক্রমণ কোনোভাবেই সমাধান হতে পারে না\'।


কমিউনিটি এর আরও খবর

নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা

img

দেশের উদ্দেশে আজ লন্ডন ছাড়বেন তারেক রহমান

প্রকাশিত :  ০৫:৪৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেড় দশকের বেশি সময় পর দেশে ফিরছেন। নেতার দেশে ফেরা ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বসিত দলের নেতাকর্মীরা।

আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য সময়  সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে তার। সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা নাগাদ দেশের মাটিতে পা রাখবেন তারেক রহমান। 

এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।

এদিকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। 

দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাকে বরণ করে নিতে ঢাকায় স্মরণকালের অন্যতম বড় গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজধানীর কুড়িল সংলগ্ন পূর্বাচল হাইওয়ে এক্সপ্রেস এলাকায় যাবেন তিনি। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

বিএনপি নেতাদের আশা, এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হবেন। 

ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসছেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বলা যায়, তারেক রহমানের ঘরে ফেরা নিয়ে চারদিকে সাজ সাজ রব।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। তার আগমনকে কেন্দ্র করে পূর্বাচল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করতে কাজ করছেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতিও পেয়েছে বিএনপি। মঞ্চ নির্মাণসহ সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে দফায় দফায় দলের শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করে প্রস্তুতির অগ্রগতি দেখছেন।

ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান।

এরপর দীর্ঘ সময় তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন। তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান একাধিকবার দেশে এলেও এতদিন তার দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। 

দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার সেই প্রত্যাবর্তন বাস্তব হতে যাচ্ছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর