img

লন্ডনে চিত্রশিল্পী বাইস কাদিরের দেড় মাসব্যাপী ১৬তম একক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন

প্রকাশিত :  ১৭:০৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০৯, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

লন্ডনে চিত্রশিল্পী বাইস কাদিরের দেড় মাসব্যাপী ১৬তম একক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন

লন্ডন, ১৫ ডিসেম্বর : লন্ডনে জমকালো আয়োজনে উদ্বোধন হলো প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী বাইস কাদিরের ১৬তম একক চিত্রপ্রদর্শনী। মানবিক বার্তাধর্মী এই প্রদর্শনীর শিরোনাম ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’। গত ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকেল ৬টায় লন্ডনের ব্রাডি আর্ট অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার গ্যালারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন। কমিউনিটি সংগঠক আব্দুল বাছির এবং লেখক-সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকবৃন্দ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন - আতাউর রহমান আঙুর, মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন লেবু, আবজল হোসেন, আব্দুল লতিফ নিজাম, সেলিম উদ্দিন চাকলাদার, সায়াদ আহমদ সাদ, সুহেল আহমদ চৌধুরী, "ভয়েস অব পিপল" এর সম্পাদক ও কলামিসট সিদ্দিকুর রহমান নির্ঝর, আব্দুল কাদির, জাকির হোসেন, সৈয়দ জহুরুল হক, শাহ মুস্তাফিজুর রহমান বেলাল, আব্দুল খালিক ফখর, মারুফ আহমদ, কিশোয়ার এনাম লিটন, ফারহান মোহাম্মদ বাইস, আবুল হোসেন, রুমানা এনাম, রেবেকা চেস্টার, ক্যাথেলিন প্রমুখ।

উপস্থিত অতিথিগন বাইস কাদিরের শিল্পকর্মের মানবিক বার্তা ও সৃজনশীলতার প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে শিল্পী নিজেই অতিথিদের সঙ্গে গ্যালারির প্রতিটি চিত্রকর্ম ঘুরে দেখান এবং প্রতিটি ছবির পেছনের ভাবনা, রঙ ও রেখার ব্যবহার ও শিল্পীসত্তার অন্তর্নিহিত দর্শন ব্যাখ্যা করেন, যা দর্শকদের মধ্যে গভীর আগ্রহ ও আলোচনা সৃষ্টি করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লন্ডনের শিল্প-অনুরাগী, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিত্ব এবং গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে পুরো আয়োজনটি প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। গ্যালারিতে দিনভর দর্শনার্থীদের আগ্রহ ও কৌতূহল লক্ষ্য করা যায়।

প্রদর্শনীটি সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ১২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। এ সময়ের মধ্যে দর্শকরা বাইস কাদিরের সৃষ্টিশীল শিল্পভাষা, রঙের ব্যবহার ও বিষয়বস্তুর গভীরতা কাছ থেকে উপভোগ করতে পারবেন।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় চিত্রশিল্পী বাইস কাদির বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিপীড়িত, যুদ্ধবিধ্বস্ত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনবাস্তবতা, স্বপ্ন ও সংগ্রাম এই প্রদর্শনীর চিত্রকর্মগুলোর মূল অনুপ্রেরণা। প্রতিটি ছবিতে শিশুদের অসহায়ত্বের পাশাপাশি ভবিষ্যতের সম্ভাবনা ও মানবিক দায়বদ্ধতার বার্তাও প্রতীকী রূপে ফুটে উঠেছে।

আয়োজকদের মতে, এই প্রদর্শনী কেবল একটি শিল্প প্রদর্শনী নয়, এটি একটি মানবিক আহ্বান, যেখানে শিল্পের ভাষায় শিশুদের অধিকার, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্ববাসীর সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়াস রয়েছে। লন্ডনের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বাইস কাদিরের এই একক প্রদর্শনী ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সাড়া ফেলেছে।

উল্লেখ্য যে, চিত্রকলায় অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাইস কাদির বহু দেশি-বিদেশি সম্মাননা অর্জন করেছেন। সম্প্রতি তিনি স্টার পারফরমার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫, এক্সেলেন্স অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫, পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক সম্মাননা লাভ করেছেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

তারেক রহমান একজন রাজনৈতিক অভিভাবক

প্রকাশিত :  ০৭:৩৭, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

আসসালামু আলাইকুম ।

মাননীয় নেতা, শ্রদ্ধেয় বড় ভাই,-

আজ কোটি কোটি মানুষ আপনার প্রতিক্ষায়, আপনাকে ঘিরে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ আজ একটি গণতান্ত্রিক সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, আপনাকে ঘিরে এক নতুন সুর্যের আলোকবর্তিকার প্রত‍্যাশায় বাংলাদেশে আজ অগনিত অসংখ্য মানুষ আপনার অপেক্ষার প্রহর গুনে ।

আপনি বাংলাদেশে যাবেন, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে হতভাগা এই দেশটির কান্ডারী হবেন, আপনাকে অবলম্বন করে দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত হতভাগ্য মানুষগুলো আবারো নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখা শুরু করবে,- এমন স্বপ্ন নিয়েই আমরা আপনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছি ।

আজ আমাদের স্বপ্ন যখন বাস্তবের একেবারেই কাছাকাছি সকলের মতো আমিও আজ আনন্দে উদ্বেলিত, খুশিতে আত্মহারা । কিন্তু আপনার বাংলাদেশে যাওয়ার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কেনো জানি শুধু অনুভব করছি হৃদয়টা যেনো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে, কেবলি মনে হচ্ছে মাথার উপর বট গাছের ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকা অন্তরের সবচেয়ে আপন জনকে হারিয়ে যেনো আমি নিঃস্ব হতে চলেছি ।

শ্রদ্ধেয় ভাই, রাজনীতির কঠিন দাবা খেলায় আমার এই ছোট্ট জীবনে কতো ষড়যন্ত্র কতো প্রতিকুল পরিস্থিতি আমার রাজনৈতিক জীবনকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আপনি আপনার বিচক্ষণতা ও স্নেহের পরশ দিয়ে প্রতিবারই আমার মতো একজন ক্ষুদ্র কর্মীকে সকল ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করেছেন । আপনার বিদায়ের ক্ষণে আজ এই স্মৃতিগুলো আমার চলার গতি স্তব্ধ করে দেয় । আপনার স্নেহের ঋণে আপনার কাছে আমি এক মহাঋণী মানুষ ।

শ্রদ্ধেয় ভাই- আমি আপনার অনেক বিরক্তির কারণ হয়েছি, আপনাকে অনেক জ্বালিয়েছি । আপনার কাছে আমার অপরাধের শেষ নেই । আমার পাহাড়সম অপরাধ নিয়ে আমি আপনার কাছে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন ।

ভাই, আপনি কখনো কখনো আদর করে আমাকে \" আমার আবুল \" বলে ডাকতেন । আপনার স্নেহভরা এই আবুল ডাকটি আমার কাছে এক অমূল্য সম্পদ হয়ে রইলো । এটা আমার মতো ক্ষুদ্র একজন মানুষের জন্য এক বিশাল পাওয়া ছিল । এই স্মৃতি আমি আমৃত্যু লালন করবো ।

ভাই- আপনি লন্ডনে থাকবেন না, আর কখনো আপনার সংস্পর্শে যাওয়া হবেনা এই বিষয়টি আমাকে অনেক কষ্ট দেয়, চোখের জল আটকাতে পারিনা । ভাই, আমার মতো একজন নগণ্য মানুষ দীর্ঘদিন আপনার মতো এক বিশাল ব‍্যক্তিত্বের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ পেয়েছিলাম এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন ।

আমি অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করি আপনি আপনার মেধা, নেতৃত্ব গুন ও সততা দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মা বেগম খালেদা জিয়ার মতো- দলের গন্ডি পেরিয়ে আপনি একদিন বাংলাদেশের সকল মানুষের নেতা হয়ে উঠবেন । আর সেদিন আমিও এই ভেবে অহংকার করবো যে, একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে আমিও কোনো একদিন এই মহান মানুষটির সংগে ছিলাম ।

শ্রদ্ধেয় ভাই, এই কয়দিন নিজের সাথে  যুদ্ধ করেছি আপনাকে আমার এই কথাগুলো লিখবো কি লিখবো না এই ভেবে । শেষ পর্যন্ত অনুভব করেছি, যদি এই কথাগুলো আমি আপনাকে না বলতে পারি হতেও পারে হয়তো আমি দম আটকে মারাও যেতে পারি । আমার এই কথা গুলো আপনাকে লিখার কারণে যদি আমার কোনো অনধিকার চর্চা হয়ে থাকে এর জন্যে আমি আবারো আপনার পা ছুঁয়ে ক্ষমা চাচ্ছি । দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন ।

দোয়া করি আল্লাহ যেনো সব সময় আপনার সহায় হন, আপনার মঙ্গল করেন । পৃথিবীর সকল ষড়যন্ত্র থেকে আল্লাহ যেনো সব সময় আপনাকে রক্ষা করেন । আল্লাহ হাফেজ।


বিনীত

আপনার একান্ত অনুগত

মোঃ আবুল হোসেন ॥


কমিউনিটি এর আরও খবর