img

জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে: ডা. শফিকুর রহমান

প্রকাশিত :  ১৪:৩৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৮:৩৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে: ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী বিজয়ী হলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে দুটি শর্ত মানতে হবে—
১) কোনো ধরনের দুর্নীতিতে জড়ানো যাবে না এবং
২) রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে পূর্ব লন্ডনের মাইদা গ্রিল ব্যাঙ্কুয়েটিং হলে আয়োজিত এক ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন ও পরিচালনা করেন জামায়াতে ইসলামী ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা।

ডা. শফিকুর রহমান দুই দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান। সফরের অংশ হিসেবে তিনি যুক্তরাজ্য সরকারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন, যা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এরপর বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের একটি হলে লন্ডনে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতে তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমির বলেন, দেশের জনগণ সরকার গঠনে পরিবর্তন চায় এবং একটি সুস্থ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছে। জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, জামায়াত বিজয়ী হলে জাতি ও ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ‘মদিনা সনদের’ আদলে রাষ্ট্র পরিচালনা করা হবে। বাংলাদেশ সবার দেশ—কোনো ধর্মের মানুষকে দমন করা যাবে না; সকল ধর্মের মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র, তবে দেশটির কাছে আশ্রয় নেওয়া পলাতক ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে হবে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রবাসীদের পোস্টাল ভোটে নিবন্ধন করে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি নির্বাচনকালে প্রবাসীদের দেশে গিয়ে ভোট দেওয়ারও অনুরোধ করেন।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানে ভালো ও যোগ্য মানুষ নির্বাচিত হবেন। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে জুলাই বিপ্লব সার্থক হবে এবং যুব সমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা, সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যারিস্টার সালেহীন, সাংবাদিক মো. আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারলসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ডা. শফিকুর রহমান কমনওয়েলথের একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিতে দুই দিনের সফরেও লন্ডনে অবস্থান করেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা

img

দেশের উদ্দেশে আজ লন্ডন ছাড়বেন তারেক রহমান

প্রকাশিত :  ০৫:৪৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেড় দশকের বেশি সময় পর দেশে ফিরছেন। নেতার দেশে ফেরা ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বসিত দলের নেতাকর্মীরা।

আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য সময়  সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে তার। সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা নাগাদ দেশের মাটিতে পা রাখবেন তারেক রহমান। 

এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।

এদিকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। 

দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাকে বরণ করে নিতে ঢাকায় স্মরণকালের অন্যতম বড় গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজধানীর কুড়িল সংলগ্ন পূর্বাচল হাইওয়ে এক্সপ্রেস এলাকায় যাবেন তিনি। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

বিএনপি নেতাদের আশা, এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হবেন। 

ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসছেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বলা যায়, তারেক রহমানের ঘরে ফেরা নিয়ে চারদিকে সাজ সাজ রব।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। তার আগমনকে কেন্দ্র করে পূর্বাচল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করতে কাজ করছেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতিও পেয়েছে বিএনপি। মঞ্চ নির্মাণসহ সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে দফায় দফায় দলের শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করে প্রস্তুতির অগ্রগতি দেখছেন।

ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান।

এরপর দীর্ঘ সময় তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন। তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান একাধিকবার দেশে এলেও এতদিন তার দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। 

দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার সেই প্রত্যাবর্তন বাস্তব হতে যাচ্ছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর