img

তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও নেতাদের সম্মাননা দিলো টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল

প্রকাশিত :  ১৮:২৮, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও নেতাদের সম্মাননা দিলো টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল

টাওয়ার হ্যামলেটসে অনুষ্ঠিত হলো ‘ইয়ুথ লিডার্স ও ইয়ুথ ভলান্টিয়ার্স অ্যাওয়ার্ড’। এতে কমিউনিটির ৩৫ জন তরুণকে তাদের নেতৃত্ব, স্বেচ্ছাসেবী ভূমিকা ও সামাজিক অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয়।  গত ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ১২ সপ্তাহব্যাপী  অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া \"ভয়েস অব ইয়ুথ ক্রিয়েটিং এমপাওয়ারমেন্ট\" প্রোগ্রামে অংশগ্রহনকারী তরুণ স্বেচ্ছাসেবক বা ভলান্টিয়ারদের। পাশাপাশি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়, সারা বছর বিভিন্ন ইয়ুথ সেন্টারে কাজ করা আটটি বিভাগের মধ্যে নেতৃত্ব, নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা এবং ইয়াং লিভিং কেয়ার থেকে বেরিয়ে আসা তরুণদের অবদান।
অসাধারণ সামাজিক কাজে জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় ১২ বছর বয়সী ক্যাথলিন উডস্টককে । শিশু অবস্থায় চোখের ক্যান্সার জয় করার পরও তিনি এলাকার যুব কেন্দ্রে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ক্যাথলিন উডস্টক।  
অনুষ্ঠানে বরোর তরুন, ইয়ুথ ওয়ার্কার, পরিবার ও বন্ধু-স্বজনদের পাশাপাশি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র ও এডুকেশন, ইয়ুথ এন্ড লাইফলং লার্নিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার মাইয়ুম মিয়া তালুকদার ।
তিনি বলেন, “কমিউনিটির ইতিবাচক কাজে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহন সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। ভলান্টিয়ারিংয়ে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে নিজের মধ্যে শক্তিশালী ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। তরুণদের এসব ইতিবাচক কাজ সত্যিই অসাধারণ।”
তিনি বলেন, “তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের নেতৃত্বে হওয়া নানান প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পেরে আমি আনন্দিত। ভবিষ্যতে \'ভয়েস অব ইয়ুথ ক্রিয়েটিং এমপাওয়ারমেন্ট\' প্রোগ্রাম আর কী অর্জন করে, তা দেখার অপেক্ষায় আছি। সময়, শ্রম ও শক্তি দিয়ে যারা ভলান্টিয়ারিং করেছে, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।”
অনুষ্ঠানে তরুন ভলান্টিয়ারদের নাচ ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যসহ নানা পরিবেশনা উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করে।  পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন \"ভয়েস অব ইয়ুথ ক্রিয়েটিং এমপাওয়ারমেন্ট\" প্রোগ্রামের এরা খান এবং যুব কাউন্সিলের সদস্য ড্যানি মোহাম।
\"ভয়েস অব ইয়ুথ ক্রিয়েটিং এমপাওয়ারমেন্ট\"-এর ১২ সপ্তাহের এই কর্মসূচিতে ১৬ থেকে ২১ বছর এবং ২৫ বছর বয়সী পর্যন্ত সেন্ড তরুণরা প্রতি সপ্তাহে তিন ঘণ্টা করে বরোর বিভিন্ন ইয়ুথ সেন্টারে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন।
প্রোগ্রামটিতে তরুণদের নিজস্ব প্রকল্প, ক্যাম্পেইন বা যুব–নেতৃত্বাধীন সেশন পরিচালনা করা হয় । মানসিক স্বাস্থ্য, অনলাইন নিরাপত্তা বা সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে সেশন পরচিালনা করা হয়।
কাউন্সিলের £১৩.৭ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের অংশ হিসেবে এই প্রজেক্ট পরিচালনা করে ইয়ং টাওয়ার হ্যামলেটস। এতে তরুণদের জন্য সুযোগ, সহায়তা ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে।
\"ভয়েস অব ইয়ুথ ক্রিয়েটিং এমপাওয়ারমেন্ট\" প্রোগ্রামে অংশ নিতে আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন: hayley.mullin@towerhamlets.gov.uk

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

তারেক রহমান একজন রাজনৈতিক অভিভাবক

প্রকাশিত :  ০৭:৩৭, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

আসসালামু আলাইকুম ।

মাননীয় নেতা, শ্রদ্ধেয় বড় ভাই,-

আজ কোটি কোটি মানুষ আপনার প্রতিক্ষায়, আপনাকে ঘিরে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ আজ একটি গণতান্ত্রিক সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, আপনাকে ঘিরে এক নতুন সুর্যের আলোকবর্তিকার প্রত‍্যাশায় বাংলাদেশে আজ অগনিত অসংখ্য মানুষ আপনার অপেক্ষার প্রহর গুনে ।

আপনি বাংলাদেশে যাবেন, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে হতভাগা এই দেশটির কান্ডারী হবেন, আপনাকে অবলম্বন করে দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত হতভাগ্য মানুষগুলো আবারো নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখা শুরু করবে,- এমন স্বপ্ন নিয়েই আমরা আপনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছি ।

আজ আমাদের স্বপ্ন যখন বাস্তবের একেবারেই কাছাকাছি সকলের মতো আমিও আজ আনন্দে উদ্বেলিত, খুশিতে আত্মহারা । কিন্তু আপনার বাংলাদেশে যাওয়ার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কেনো জানি শুধু অনুভব করছি হৃদয়টা যেনো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে, কেবলি মনে হচ্ছে মাথার উপর বট গাছের ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকা অন্তরের সবচেয়ে আপন জনকে হারিয়ে যেনো আমি নিঃস্ব হতে চলেছি ।

শ্রদ্ধেয় ভাই, রাজনীতির কঠিন দাবা খেলায় আমার এই ছোট্ট জীবনে কতো ষড়যন্ত্র কতো প্রতিকুল পরিস্থিতি আমার রাজনৈতিক জীবনকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আপনি আপনার বিচক্ষণতা ও স্নেহের পরশ দিয়ে প্রতিবারই আমার মতো একজন ক্ষুদ্র কর্মীকে সকল ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করেছেন । আপনার বিদায়ের ক্ষণে আজ এই স্মৃতিগুলো আমার চলার গতি স্তব্ধ করে দেয় । আপনার স্নেহের ঋণে আপনার কাছে আমি এক মহাঋণী মানুষ ।

শ্রদ্ধেয় ভাই- আমি আপনার অনেক বিরক্তির কারণ হয়েছি, আপনাকে অনেক জ্বালিয়েছি । আপনার কাছে আমার অপরাধের শেষ নেই । আমার পাহাড়সম অপরাধ নিয়ে আমি আপনার কাছে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন ।

ভাই, আপনি কখনো কখনো আদর করে আমাকে \" আমার আবুল \" বলে ডাকতেন । আপনার স্নেহভরা এই আবুল ডাকটি আমার কাছে এক অমূল্য সম্পদ হয়ে রইলো । এটা আমার মতো ক্ষুদ্র একজন মানুষের জন্য এক বিশাল পাওয়া ছিল । এই স্মৃতি আমি আমৃত্যু লালন করবো ।

ভাই- আপনি লন্ডনে থাকবেন না, আর কখনো আপনার সংস্পর্শে যাওয়া হবেনা এই বিষয়টি আমাকে অনেক কষ্ট দেয়, চোখের জল আটকাতে পারিনা । ভাই, আমার মতো একজন নগণ্য মানুষ দীর্ঘদিন আপনার মতো এক বিশাল ব‍্যক্তিত্বের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ পেয়েছিলাম এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন ।

আমি অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করি আপনি আপনার মেধা, নেতৃত্ব গুন ও সততা দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মা বেগম খালেদা জিয়ার মতো- দলের গন্ডি পেরিয়ে আপনি একদিন বাংলাদেশের সকল মানুষের নেতা হয়ে উঠবেন । আর সেদিন আমিও এই ভেবে অহংকার করবো যে, একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে আমিও কোনো একদিন এই মহান মানুষটির সংগে ছিলাম ।

শ্রদ্ধেয় ভাই, এই কয়দিন নিজের সাথে  যুদ্ধ করেছি আপনাকে আমার এই কথাগুলো লিখবো কি লিখবো না এই ভেবে । শেষ পর্যন্ত অনুভব করেছি, যদি এই কথাগুলো আমি আপনাকে না বলতে পারি হতেও পারে হয়তো আমি দম আটকে মারাও যেতে পারি । আমার এই কথা গুলো আপনাকে লিখার কারণে যদি আমার কোনো অনধিকার চর্চা হয়ে থাকে এর জন্যে আমি আবারো আপনার পা ছুঁয়ে ক্ষমা চাচ্ছি । দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন ।

দোয়া করি আল্লাহ যেনো সব সময় আপনার সহায় হন, আপনার মঙ্গল করেন । পৃথিবীর সকল ষড়যন্ত্র থেকে আল্লাহ যেনো সব সময় আপনাকে রক্ষা করেন । আল্লাহ হাফেজ।


বিনীত

আপনার একান্ত অনুগত

মোঃ আবুল হোসেন ॥


কমিউনিটি এর আরও খবর