লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত :
১১:০৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সর্বস্তরের কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
সভায় বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন এর পক্ষ থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে নেতৃবৃন্দকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে গুরুত্বসহকারে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অন্যান্য কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সাথে ইউকে জমিয়তেরসহ সভাপতি মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ, ইউকে জমিয়তের সহ-সভাপতি হাফিজ হুসাইন আহমদ বিশ্বনাথী, ইউকে জমিয়তের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, ইউকে জমিয়তের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান ও ইউকে জমিয়তের সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হাই আল-হাদী অতিথি হিসেবে হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
সভায় দলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন ইউকে জমিয়তের সহ সভাপতি মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ।
আজ কোটি কোটি মানুষ আপনার প্রতিক্ষায়, আপনাকে ঘিরে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ আজ একটি গণতান্ত্রিক সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, আপনাকে ঘিরে এক নতুন সুর্যের আলোকবর্তিকার প্রত্যাশায় বাংলাদেশে আজ অগনিত অসংখ্য মানুষ আপনার অপেক্ষার প্রহর গুনে ।
আপনি বাংলাদেশে যাবেন, মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে হতভাগা এই দেশটির কান্ডারী হবেন, আপনাকে অবলম্বন করে দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত হতভাগ্য মানুষগুলো আবারো নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখা শুরু করবে,- এমন স্বপ্ন নিয়েই আমরা আপনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করেছি ।
আজ আমাদের স্বপ্ন যখন বাস্তবের একেবারেই কাছাকাছি সকলের মতো আমিও আজ আনন্দে উদ্বেলিত, খুশিতে আত্মহারা । কিন্তু আপনার বাংলাদেশে যাওয়ার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে কেনো জানি শুধু অনুভব করছি হৃদয়টা যেনো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে, কেবলি মনে হচ্ছে মাথার উপর বট গাছের ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকা অন্তরের সবচেয়ে আপন জনকে হারিয়ে যেনো আমি নিঃস্ব হতে চলেছি ।
শ্রদ্ধেয় ভাই, রাজনীতির কঠিন দাবা খেলায় আমার এই ছোট্ট জীবনে কতো ষড়যন্ত্র কতো প্রতিকুল পরিস্থিতি আমার রাজনৈতিক জীবনকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আপনি আপনার বিচক্ষণতা ও স্নেহের পরশ দিয়ে প্রতিবারই আমার মতো একজন ক্ষুদ্র কর্মীকে সকল ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করেছেন । আপনার বিদায়ের ক্ষণে আজ এই স্মৃতিগুলো আমার চলার গতি স্তব্ধ করে দেয় । আপনার স্নেহের ঋণে আপনার কাছে আমি এক মহাঋণী মানুষ ।
শ্রদ্ধেয় ভাই- আমি আপনার অনেক বিরক্তির কারণ হয়েছি, আপনাকে অনেক জ্বালিয়েছি । আপনার কাছে আমার অপরাধের শেষ নেই । আমার পাহাড়সম অপরাধ নিয়ে আমি আপনার কাছে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন ।
ভাই, আপনি কখনো কখনো আদর করে আমাকে \" আমার আবুল \" বলে ডাকতেন । আপনার স্নেহভরা এই আবুল ডাকটি আমার কাছে এক অমূল্য সম্পদ হয়ে রইলো । এটা আমার মতো ক্ষুদ্র একজন মানুষের জন্য এক বিশাল পাওয়া ছিল । এই স্মৃতি আমি আমৃত্যু লালন করবো ।
ভাই- আপনি লন্ডনে থাকবেন না, আর কখনো আপনার সংস্পর্শে যাওয়া হবেনা এই বিষয়টি আমাকে অনেক কষ্ট দেয়, চোখের জল আটকাতে পারিনা । ভাই, আমার মতো একজন নগণ্য মানুষ দীর্ঘদিন আপনার মতো এক বিশাল ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে থাকার সুযোগ পেয়েছিলাম এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন ।
আমি অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করি আপনি আপনার মেধা, নেতৃত্ব গুন ও সততা দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মা বেগম খালেদা জিয়ার মতো- দলের গন্ডি পেরিয়ে আপনি একদিন বাংলাদেশের সকল মানুষের নেতা হয়ে উঠবেন । আর সেদিন আমিও এই ভেবে অহংকার করবো যে, একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে আমিও কোনো একদিন এই মহান মানুষটির সংগে ছিলাম ।
শ্রদ্ধেয় ভাই, এই কয়দিন নিজের সাথে যুদ্ধ করেছি আপনাকে আমার এই কথাগুলো লিখবো কি লিখবো না এই ভেবে । শেষ পর্যন্ত অনুভব করেছি, যদি এই কথাগুলো আমি আপনাকে না বলতে পারি হতেও পারে হয়তো আমি দম আটকে মারাও যেতে পারি । আমার এই কথা গুলো আপনাকে লিখার কারণে যদি আমার কোনো অনধিকার চর্চা হয়ে থাকে এর জন্যে আমি আবারো আপনার পা ছুঁয়ে ক্ষমা চাচ্ছি । দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন ।
দোয়া করি আল্লাহ যেনো সব সময় আপনার সহায় হন, আপনার মঙ্গল করেন । পৃথিবীর সকল ষড়যন্ত্র থেকে আল্লাহ যেনো সব সময় আপনাকে রক্ষা করেন । আল্লাহ হাফেজ।