img

আর্নেস্ট এন্ড ইয়াং (ইওয়াই) রিপোর্টে চিহ্নিত সমস্যা ও উন্নতির অবস্থান নিয়ে কাউন্সিলের বিবৃতি

প্রকাশিত :  ১৮:২৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আর্নেস্ট এন্ড ইয়াং (ইওয়াই) রিপোর্টে চিহ্নিত সমস্যা ও  উন্নতির অবস্থান নিয়ে কাউন্সিলের বিবৃতি
* প্রতিবেদনটি ২০ থেকে ৮ মাস আগের, এটি কাউন্সিলের বর্তমান অবস্থার প্রতিফলিত নয়
* এই সমস্যার অনেকগুলোই পুরনো ও ঐতিহাসিক, কিছু সমস্যা ২০১৭ সাল থেকে চলে আসা
* গত সপ্তাহে লোকাল গভর্নমেন্ট এসোসিয়েশনের রিপোর্টে কাউন্সিলের ‘উচ্চমানের সেবা’ ও ‘দৃঢ় আর্থিক ব্যবস্থাপনা’র প্রশংসা করা হয়েছে

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল তার নিরীক্ষক আর্নেস্ট এন্ড ইয়াং (ই ওয়াই) এর বার্ষিক প্রতিবেদন গত ৩ ডিসেম্বর প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনটিতে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতা এবং চারটি আইনগত সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।
কাউন্সিল ই ওয়াই রিপোর্টের সুপারিশগুলোকে স্বাগত জানায় এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তা বাস্তবায়নে কাজ করছে। তবে উল্লেখযোগ্য যে, এই প্রতিবেদনটি ২০ থেকে ৮ মাস আগের সময়কালকে কভার করে, ফলে এটি কাউন্সিলের বর্তমান অবস্থাকে প্রতিফলিত করে না, কারণ এই সময়ের পর থেকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
এই সমস্যাগুলোর অনেকগুলোই পুরনো ও ঐতিহাসিক সমস্যা, যার কিছু ২০১৭ সাল থেকে চলে আসা পুরনো বিষয়। উদাহরণস্বরূপ, কাউন্সিলের ২০১৭ সালের হিসাব ২০২৩/২৪ পর্যন্ত অনুমোদিত হয়নি, এবং সোশ্যাল হাউজিং সংক্রান্ত অনেক সমস্যা ২০১৭ সাল থেকে চলে আসছে, যা ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে কাউন্সিল যখন হাউজিং ম্যানেজমেন্ট নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ বা ব্যবস্থাপনায় নেয়, তখন সেগুলো চিহ্নিত হয়।
কাউন্সিল এসব দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও সমাধানের জন্য বিনিয়োগ করেছে এবং এগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে লোকাল গভর্নমেন্ট এসোসিয়েশন (এল জি এ) এবং সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের অগ্রগতিসমূহ স্বীকৃতি পেয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এল জি এ (লোকাল গভর্নমেন্ট এসোসিয়েশন) -এর কর্পোরেট পিয়ার চ্যালেঞ্জ রিভিউ রিপোর্টে কাউন্সিলের ‘উচ্চমানের সেবা’, ‘নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নের প্রতি অঙ্গিকার’ এবং ‘দৃঢ় আর্থিক ব্যবস্থাপনা’র প্রশংসা করা হয়েছে।
আমরা লোকাল অডিট এ্যান্ড এ্যাকাউন্টিবিলিটি এ্যাক্ট ২০১৪ এবং কোড অব অডিট প্র্যাক্টিস অনুযায়ী বহিঃনিরীক্ষকের আইনগত দায়িত্ব ও কর্তব্য স্বীকার করি।
নিরীক্ষকের প্রতিবেদনের প্রতি আমাদের প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, কাউন্সিল অতীতের অর্থাৎ ঐতিহাসিক দুর্বলতাগুলো মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে অতিরিক্ত প্রেক্ষাপট ও তথ্য প্রদান করছে এবং একই সঙ্গে ই ওয়াই-এর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে গঠনমূলকভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ঐতিহাসিক সমস্যাসমূহ ও কাউন্সিলের উন্নয়নসমূহ
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল তার বহিঃনিরীক্ষক দ্বারা চিহ্নিত দশটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতা সমাধানের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে। এই উন্নয়নগুলোকে কাউন্সিলের ‘নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা’ (কন্টিনিউয়াস ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান বা সিআইপি)-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং এটি একটি শক্তিশালী ‘ভ্যালু ফর মানি রেসপন্স মোবিলাইজেশন প্ল্যান’ দ্বারা সমর্থিত। এই পদক্ষেপগুলো কাউন্সিলের স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং বাসিন্দাদের জন্য সর্বোত্তম সেবা (বেস্ট ভ্যালু) প্রদানে অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।
১. আর্থিক প্রতিবেদন (ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং)
সমস্যা: 
২০১৭ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কাউন্সিলের একাউন্ট বা হিসাবপত্র অনুমোদিত না হওয়ায় একটি বড় ব্যাকলগ বা জট তৈরি হয়, যা আর্থিক সুশাসনের (ফিনান্সিয়াল গভর্নেন্স) ওপর আস্থা ক্ষুন্ন করে। ২০১৬–১৭ থেকে ২০২২–২৩ অর্থবছরের একাউন্টগুলো (হিসাবপত্রগুলো) অডিটররা ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর-এর মধ্যে অনুমোদন দেন।
উন্নয়ন: উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী ওয়ার্কিং পেপার তৈরি, প্রতি দুই সপ্তাহে নিরীক্ষা সমন্বয় সভা আয়োজন এবং ২০২৫/২৬ সালের জন্য মূল‍্যায়নকারীদের (ভ‍্যালুয়ার) সঙ্গে আগাম যোগাযোগ। এই পদক্ষেপগুলো সময়মতো নির্ভরযোগ্য আর্থিক প্রতিবেদন নিশ্চিত করে এবং নিরীক্ষা মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে।এই কাজটি এলজিএ স্বীকৃতি দিয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিশেষজ্ঞদের একটি দল কাউন্সিল পুনরায় পরিদর্শন করার পর তারা কাউন্সিলকে ‘শক্তিশালী আর্থিক ব্যবস্থাপনা’ সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্ণনা করেছে।
২. অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (ইন্টারনাল কন্ট্রোলস্ এন্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট)
সমস্যা: 
২০১৮ সাল থেকে অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা বিদ্যমান।
উন্নয়ন: একটি নতুন কর্পোরেট ঝুঁকি কৌশল (কর্পোরেট রিস্ক স্ট্রাটেজি) কার্যকর করা হয়েছে, যা ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দ্বারা সমর্থিত। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার ফলো-আপ বা অনুসরণ হার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে (২০২৩/২৪ সালের জন্য ৮২ শতাংশ)। আমাদের সক্রিয় পদক্ষেপের (প্রোএক্টিভ এপ্রোচ) স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৫ সালে পাবলিক সেক্টর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে, যা সেক্টরের নেতৃত্বস্থানীয় অগ্রগতিকে প্রতিফলিত করে।
৩. ক্রয় ও চুক্তি ব্যবস্থাপনা (প্রোকিউরমেন্ট এন্ড কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট)
সমস্যা: 
২০১৭ সাল থেকে ক্রয় ও চুক্তি ব্যবস্থাপনায় শাসনগত ফাঁক (গভর্নেন্স গ্যাপ) বিদ্যমান।
উন্নয়ন: কাউন্সিল একটি বিস্তৃত ক্রয় উন্নয়ন কর্মসূচি (কম্প্রিহেন্সিভ প্রকিউরমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম) বাস্তবায়ন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে নতুন ছাড় (ওয়েভার) মনিটরিং সিস্টেম, স্বচ্ছতার জন্য পাওয়ার বিআই ড্যাশবোর্ড এবং ত্রৈমাসিক ক্যাবিনেট রিপোর্টিং। ৫০০-এরও বেশি কর্মী চুক্তি ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ (কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং) সম্পন্ন করেছে, এবং বর্তমানে সিস্টেমেটিক সংস্কারের ফলে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ২০২৩ সালের প্রোকিউরমেন্ট অ্যাক্টের পূর্ণ মান নিশ্চিত হচ্ছে।
৪. অভ্যন্তরীণ তদন্ত (ইন্টারনাল ইনভেস্টিগেশনস্)
সমস্যা:
 তদন্ত প্রক্রিয়াগুলোতে ধারাবাহিকতা এবং সক্ষমতার অভাব ছিল।
উন্নয়ন: একজন নতুন টিম লিডার তদন্ত ফাংশনের পূর্ণ পর্যালোচনা পরিচালনা করছেন, যা শক্তিশালী শাসন ব্যবস্থা এবং অডিট কমিটিকে ত্রৈমাসিক রিপোর্টিং দ্বারা সমর্থিত। নীতিমালা ও প্রক্রিয়াগুলো আপডেট করা হচ্ছে, এবং ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে একটি বাহ্যিক পর্যালোচনা (এক্সট্রারন‍্যাল রিভিউ) স্বচ্ছ ও স্বাধীন  নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
৫. অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কার্যক্রম (ইন্টারনাল অডিট ফাংশান)
সমস্যা: 
অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং পূর্ববর্তী বছরের প্রতারণা বা জালিয়াতি মামলার ব্যাকলগ বিদ্যমান ছিল।
উন্নয়ন: একটি স্বাধীন বাহ্যিক গুণমান মূল্যায়ন (এক্সটার্নাল কোয়ালিটি এসেসমেন্ট) নিশ্চিত করেছে যে আমরা পেশাদার মানদণ্ড মেনে চলছি, উন্নতিসাধন করেছি এবং ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে আরও একটি পর্যালোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। নতুন কো-সোর্স চুক্তি আমাদের দ্রুত ও দৃঢ়ভাবে কাজ করার সক্ষমতা বাড়িয়েছে।
৬. বার্ষিক শাসন বিবৃতি (এনুয়্যাল গভর্নেন্স স্ট্যাটমেন্ট - এজিএস)
সমস্যা: 
২০২২/২৩ সালের আগে সাত বছর ধরে এজিএস প্রকাশিত হয়নি।
উন্নয়ন: আমরা নতুন সিআইপিএফএ নির্দেশিকা আগেভাগে গ্রহণ করেছি এবং এজিএস-এর দায়িত্ব স্ট্র্যাটেজি টিমকে দেওয়া হয়েছে যাতে স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। সংশোধিত ব্যবস্থাগুলো ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে অডিট কমিটিতে উপস্থাপন করা হবে।
৭. গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল (স্ট‍্যাচুটারি লিডারশীপ বা আইন দ্বারা নির্ধারিত)
সমস্যা: 
নেতৃত্বের অস্থিতিশীলতার কারণে আইনগত দায়িত্বসমূহ ঝুঁকিতে ছিল।
উন্নয়ন: স্থায়ী নিয়োগ ও স্ট‍্যাচুটারি কর্মকর্তাদের জন্য ব্যক্তিগত পরামর্শ-সহ (বেস্পোক মেন্টরিং) নেতৃত্বের স্থায়িত্ব জোরদার করা হয়েছে। স্থায়ী সেকশন ১৫১ অফিসারের নিয়োগ প্রক্রিয়া পরামর্শকদের সমর্থনে চলছে, এবং অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করছে।
৮. অডিট কমিটি কার্যকারিতা (অডিট কমিটি এফিক্টিভনেস্)
সমস্যা:
 তদারকি ও স্বাধীনতায় দুর্বলতা চিহ্নিত হয়েছিল।
উন্নয়ন: কাউন্সিল একজন স্বাধীন চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছে এবং সদস্যদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কার্যক্রম ট্র্যাকিং উন্নত করা হয়েছে, এবং কমিটি স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে বার্ষিকভাবে ফুল কাউন্সিলকে রিপোর্ট করবে।
৯. সর্বোত্তম মান পরিদর্শন (বেস্ট ভ্যালু  ইন্সপেকশন)
সমস্যা:
 ২০২৪ সালে সুশাসন ও কালচারাল দুর্বলতা চিহ্নিত করা হয়েছিল।
উন্নয়ন: আমরা মন্ত্রি পর্যায়ের নির্দেশাবলী আমাদের সিআইপি-এ অন্তর্ভুক্ত করেছি, যা এখন চারটি প্রোগ্রামের আওতায় ৪০টির বেশি প্রকল্প নিয়ে গঠিত: ভিশন ও অংশীদারিত্ব (ভিশন এন্ড পার্টনারশীপস), শাসন ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি (গভর্নেন্স এন্ড পলিটিক্যাল কালচার), সংস্কৃতি ও কর্মীশক্তি (কালচার এন্ড ওয়ার্কফোর্স), এবং একক কর্পোরেট দল (ওয়ান কর্পোরেট টিম)। এলজিএ পিয়ার রিভিউ দ্বারা বাহ্যিক যাচাই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নিশ্চিত করে।
১০. সামাজিক আবাসন (সোশ্যাল হাউজিং)
সমস্যা: 
পূর্ববর্তী আর্মস লেংথ ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজেশন সংক্ষেপে এএলএমও (টাওয়ার হ্যামলেটস হোমস) থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত চ্যালেঞ্জগুলো ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে কাউন্সিল যখন এই সেবা নিজস্বভাবে পরিচালনায় নেয়, তখন প্রকাশিত হয়।
উন্নয়ন: উন্নতি ত্বরান্বিত করতে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে \'টাওয়ার হামলেটস হোমস\'কে কাউন্সিল নিজের তত্ত্বাবধানে আনার সিদ্ধান্ত নেয়।
কাউন্সিল ইতিমধ্যে বিদ্যমান বাড়িগুলোর উন্নয়নে £১৪০ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করেছে এবং একটি স্বাধীন পর্যালোচনা পরিচালনা করেছে। অন্যান্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতো, আমরা এই বছর সোশ্যাল হাউজিং নিয়ন্ত্রকের (রেগুলেটর অব সোশ্যাল হাউজিং) কাছে স্ব-রেফারেল (সেল্ফ-রেফারেল) করেছি যাতে স্বাধীন তত্ত্বাবধান এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।
সোশ্যাল হাউজিং নিয়ন্ত্রকের (রেগুলেটর অব সোশ্যাল হাউজিং) সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি আমাদের “আপনার কণ্ঠ, আমাদের পদক্ষেপ” (ইওর ভয়েস, আওয়ার একশন) উন্নয়ন পরিকল্পনা আরও ভালো শাসন ব্যবস্থা এবং ভাড়াটিয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। স্বচ্ছতা ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে মাসিক যোগাযোগ এবং দ্বি-মাসিক ক্যাবিনেট তদারকি পরিচালনা করা হচ্ছে।


কমিউনিটি এর আরও খবর

নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা

img

দেশের উদ্দেশে আজ লন্ডন ছাড়বেন তারেক রহমান

প্রকাশিত :  ০৫:৪৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেড় দশকের বেশি সময় পর দেশে ফিরছেন। নেতার দেশে ফেরা ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বসিত দলের নেতাকর্মীরা।

আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য সময়  সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে তার। সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা নাগাদ দেশের মাটিতে পা রাখবেন তারেক রহমান। 

এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।

এদিকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। 

দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাকে বরণ করে নিতে ঢাকায় স্মরণকালের অন্যতম বড় গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজধানীর কুড়িল সংলগ্ন পূর্বাচল হাইওয়ে এক্সপ্রেস এলাকায় যাবেন তিনি। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

বিএনপি নেতাদের আশা, এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হবেন। 

ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসছেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বলা যায়, তারেক রহমানের ঘরে ফেরা নিয়ে চারদিকে সাজ সাজ রব।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। তার আগমনকে কেন্দ্র করে পূর্বাচল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করতে কাজ করছেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতিও পেয়েছে বিএনপি। মঞ্চ নির্মাণসহ সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে দফায় দফায় দলের শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করে প্রস্তুতির অগ্রগতি দেখছেন।

ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান।

এরপর দীর্ঘ সময় তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন। তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান একাধিকবার দেশে এলেও এতদিন তার দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। 

দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার সেই প্রত্যাবর্তন বাস্তব হতে যাচ্ছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর