img

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে সহজ ৭ উপায়

প্রকাশিত :  ০৮:১৭, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে সহজ ৭ উপায়

আপনি মোটা না রোগা, সেটা জরুরী বিষয় নয় যদি আপনার থাকে আকর্ষণীয় ফিগার। অনেক মোটা মেয়েদেরও দেখবেন ঢেউ খেলানো চমৎকার ফিগার থাকে, আবার অনেকের ওজন কম হলেও দেখা যায় ফিগারের শেপ সুন্দর নয়। সুন্দর আকর্ষিণীয় ফিগার চাই? জিমে গিয়ে কঠোর ব্যায়াম কিংবা ক্রাশ ডায়েটের কথা ভুলে যান। আপনার ওজন যেমনই হোক না কেন, মেনে চলুন এই ৭টি টিপস।

শরীরের বাড়তি মেদ যাদের, তাঁদের মেদ ঝরে গিয়ে ফিগার হয়ে উঠবে দারুণ। যারা বেশী রোগা বা ফিগারের শেপ সুন্দর নয়, তাঁদের ফিগারও হয়ে উঠবে পারফেক্ট!

১) দিনে একবার ঘর মুছুন। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন/ যে কাজটি আপনার বাড়ির কাজের বুয়া করে সেটি আপনি করুন। কেবল এই ঘর মোছাই আপনার ফিগারের শেপকে করে তুলবে আকর্ষণীয়, আর কিচ্ছু করতে হবে না! বিশেষ করে হাতের ও পেটের মেদ একদম থাকবে না।

২) ঘরদোর ঝাড়ামোছার কাজটিও প্রতিদিন নিজে করুন। বারান্দার গ্রিল থেকে শুরু করে জানালা, সিলিং কিচ্ছু বাদ দেবেন না। ঘরের কাজ তো হবেই, আপনার শরীরটা দারুণ হয়ে উঠবে।

৩) নিজের কাপড় গুলো নিজে ধুয়ে ফেলুন। ওয়াশিং মেশিনে নয়, হাতে। দেখবেন ওজন কমার পাশাপাশি শরীরটাও দারুণ হয়ে উঠছে। হাতের ভালোই ব্যায়াম হবে।

৪) দিনে একবার লাঞ্চ কিংবা ডিনার করুন সালাদ দিয়ে। পছন্দের ফল ও সবজির সাথে টক দই মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর সালাদ বানিয়ে নিন। এটা আপনার শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে আপনাকে রাখবে ঝরঝরে ও সুন্দর।

৫) লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন। দিনে অন্তত কয়েকবার সিঁড়ি ভাঙুন। এটি হিপস ও কোমরের শেপ সুন্দর করতে খুবই কার্যকর। সিঁড়ি ভাঙা না হলে গান ছেড়ে দিয়ে ইচ্ছামত নাচুন।

৬) দড়ি লাফ বা স্কিপিং খেলতে পারেন সুযোগ পেলেই। আপনার সম্পূর্ণ শরীরের মাসল টোন করার পাশপাশি এটি ওজন কমায় ও শরীরের সর্বত্রই কাজ করে ফিগারের শেপকে সুন্দর করে তোলে।

৭) যত যাই করুন না কেন, অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাবেন ও বিশ্রাম নেবেন। বিশ্রামের অভাবে আমাদের শরীরের নানান জায়গায় বিচ্ছিরি মেদ জমতে থাকে। তবে বিশ্রাম নেয়া মানে দিনরাত বসে থাকা নয়, সেটাও খেয়াল রাখবেন। সেই সাথে পান করবেন প্রচুর পানি। মেদ কমাতে ও ফিগারকে আকর্ষিণীয় করতে এর জুড়ি মেলা ভার। একই সাথে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কমিয়ে প্রোটিন বেশী খাওয়া শুরু করুন।


img

পপকর্ন কী ওজন কমাতে সাহায্য করে?

প্রকাশিত :  ০৭:৪৬, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৫৩, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

অতিরিক্ত খাওয়ার ফলস্বরূপ আমাদের ওজন বাড়ে! কিন্তু আপনি যদি নাস্তা খেয়েও ওজন কমাতে চান তাহলে বেছে নিন বিশেষ কিছু খাবার। যেগুলো পেট ভরে খেলেও ওজন বাড়বে না। এমনই একটি খাদ্য পপকর্ন।

অন্যান্য নাস্তার চেয়ে পপকর্নে ক্যালোরির পরিমাণ কম। যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। পপকর্নে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা হজম শক্তি বাড়ায়। 

পুষ্টিবিদ লিউক কুটিনহো সম্প্রতি ওজন কমানোর ডায়াটে পপকর্ন রাখার ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘পপকর্ন একটি অত্যন্ত স্মার্ট পানিয়খাবার। যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তারা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পপকর্ন রাখতে পারেন। তবে পপকর্ন কীভাবে খাচ্ছেন তা মাথায় রেখে খেতে হবে।’

তবে বাজারে বিক্রি হয় এমন কিছু পপকর্ন ওজন কমানোর বদলে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানান তিনি।

কোন পপকর্ন খাবেন, কোনটি খাবেন না? সেগুলো জেনে নিন....

ফ্লেভার্ড পপকর্ন

ইদানীং নানা স্বাদের পপকর্ন কিনতে পাওয়া যায় মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল এবং শপিং মলের ফুড জয়েন্টে। কোনোটি ক্যারামেলে মাখানো তো কোনোটি স্ট্রবেরি ফ্লেভার্ড, চিজ, চিলি, চকলেট, বাটার, বারবিকিউ, নানা ধরনের হার্বের গন্ধে ভরা পপকর্নও পাওয়া যাচ্ছে আজকাল। যা স্বাদে সাধারণ পপকর্নের থেকেও ভাল। কিন্তু পুষ্টিবিদ লিউক বলছেন, এই মিষ্টি অথবা মশলাদার পপকর্নগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। এতে ওজন কমার চেয়ে বেড়ে যেতে পারে।

ক্লাসিক পপকর্ন

গরম হাওয়ায় ভুট্টার দানাকে ভাপিয়ে যে পপকর্ন তৈরি করা হয় সেই পপকর্নেরও স্বাদ কম নয়। পুষ্টিবিদ বলছেন, যদি কেউ ওজন কমানোর পরিকল্পনা করেন তাহলে লবণ ছাড়া এবং মাখন ছাড়া ক্লাসিক পপকর্নটি খেতে পারেন। 

ক্লাসিক পপকর্ন কীভাবে ওজন কমতে পারে তার ব্যাখ্যা করেছেন পুষ্টিবিদ লিউক কুটিনহো।

১. এক কাপ ক্লাসিক পপকর্নে ক্যালোরির মাত্রা থাকে অত্যন্ত কম। সব মিলিয়ে ৩০-৩৫ কিলো ক্যালোরি রয়েছে।

২. ক্লাসিক পপকর্নে ফাইবারের মাত্রা বেশি। এটি হজমের জন্য উপকারী। এমনকি, যখন তখন এটা-সেটা খাওয়ার ইচ্ছেও হয় না এই পপকর্ন খেলে। যা ওজন কমানোর জন্য জরুরি।

৩. যেহেতু ভুট্টার দানা থেকে তৈরি, তাই পপকর্নে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজ। যা হার্টের স্বাস্থ্যে ভালো রাখে। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী এই পপকর্ন।

ওজন কমাতে পপকর্ন কীভাবে খাবেন?

১. স্বাদের জন্য পপকর্নে সামান্য বিট লবণ, গোলমরিচ এবং পছন্দের স্বাস্থ্যকর মশলা বা হার্ব মিশিয়ে খেতে পারেন।

২. দৈনিক ২-৩ কাপ মাপের পপকর্ন খাওয়া যেতে পারে। তবে খুব বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো কারণ ক্লাসিক পপকর্নও বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে। 

৩. পেটফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা অথবা আইবিএসের সমস্যা থাকলে পপকর্ন না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে থাকা ফাইবার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

তবে খেয়াল রাখবেন এটা কীভাবে ভাজা হচ্ছে। ভাজার সময় পপকর্নে অতিরিক্ত লবণ, বাটার, চকলেট মেশাবেন না। এগুলো মিশিয়ে পপকর্ন ভাজলে লাভের চেয়ে বরং ক্ষতিই হবে। বাড়বে ওজন।