img

ফেসওয়াশ নাকি ক্লিনজার, ত্বকের জন্য কোনটি ভালো?

প্রকাশিত :  ১১:১০, ২২ আগষ্ট ২০২৩

ফেসওয়াশ নাকি ক্লিনজার, ত্বকের জন্য কোনটি ভালো?

মুখ পরিষ্কার করতে বেশিরভাগ মানুষ ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ বেছে নেন। এই দুটো জিনিসই মুখে জমে থাকা ময়লা, জীবাণু পরিষ্কার করে দেয়। কিন্তু দুটো সম্পূর্ণ আলাদা পণ্য। ফেসওয়াশ ও ক্লিনজার মুখ পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার হলেও এই দুটি কিন্তু এক জিনিস নয়। একটু খেয়াল করলে নিজেই এই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

ফেসওয়াশ হল এক প্রকার তরল সাবান। ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে মুখে ফেনা উৎপন্ন হয়, ক্লিনজারে তা হয় না। এই ক্রিম আকারে পাওয়া যায় এবং এতে ফেনা তৈরি হয় না। ফেসওয়াশ ও ক্লিনজার ব্যবহারের পদ্ধতিও একটু আলাদা। ফেসওয়াশ মুখে লাগিয়ে একটু ঘষেই ধুয়ে ফেলা যায়। এতেই সব ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু ক্লিনজারের ক্ষেত্রে তা হয় না। মুখে হালকা পানির ঝাপ্টা দিন। এরপর মুখে ক্লিনজার লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলোর বল দিয়ে মুখ মুছে নিন। তারপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখ থেকে সমস্ত ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

যেহেতু প্রসাধনী দুটি আলাদা তাই এর প্রভাবও ত্বকের উপর ভিন্ন। ফেসওয়াশ ব্যবহারে ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও অপসারণ হয়। ক্লিনজার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বজায় রেখেই মুখ পরিষ্কার করে দেয়। সেনসিটিভ, শুষ্ক ও ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বকের ক্ষয়ের সম্ভাবনা কম।

img

হঠাৎ জ্বরের কবলে পড়লে কী করবেন

প্রকাশিত :  ০৯:৫৪, ২২ অক্টোবর ২০২৫

আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে হঠাৎ জ্বরের কবলে পড়ছেন অনেকেই। অনেক রোগের কারণে জ্বর হতে পারে। অটোইমিউন সমস্যা, প্রদাহ বা ক্যান্সার আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু সংক্রমণ হলো সবচেয়ে সাধারণ কারণ যার জন্য জ্বর হতে পারে।

ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবাণু নির্দিষ্ট শরীরের তাপমাত্রায় বাস করে এবং যখন তারা সংক্রমণ ঘটায়, তখন শরীর তাদের ধ্বংস করার জন্য তার তাপমাত্রা বাড়ায়। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রচেষ্টার কারণেই জ্বর দেখা দেয়। যার ফলে আপনি দুর্বল, ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং সাধারণত অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। সুস্থ হওয়ার জন্য বাড়িতে নিজের কিছু যত্ন প্রয়োজন হতে পারে।

অসুস্থতার কারণে কাজ থেকে দূরে থাকা স্বাভাবিক। এসয় শরীরকে বিশ্রাম এবং আরাম দেওয়া জরুরি। এতে জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া এবং দ্রুত সুস্থ বোধ করা সহজ হবে।

জ্বরের কারণে ঘাম, বমি বা ডায়রিয়া হলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসময় প্রচুর পানি, মধু, তাজা ফলের জুস বা ঝোল সহ ডিক্যাফিনেটেড চা পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মুরগি এবং গরুর মাংসের ঝোল লবণ এবং প্রোটিনযুক্ত থাকে, যা ইলেক্ট্রোলাইট এবং পুষ্টির সঙ্গে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ঠান্ডা বোধ করতে পারেন। এসময় হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিতে পারেন। জ্বরের কারণে আপনার গোসল করতে ইচ্ছা না-ও করতে পারে, তবে এসময় হালকা গরম পানিতে গোসল আপনাকে দ্রুত সেরে উঠতে অনেকটাই সাহায্য করবে।

জ্বরের কারণে শরীরে ঠান্ডা লাগলে ভারী কম্বলের নিচে স্তরে স্তরে পোশাক পরে শুয়ে থাকা স্বাভাবিক মনে হতে পারে, তবে এটি শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে এবং অতিরিক্ত গরমের কারণ হতে পারে। জ্বর হলে ঢিলেঢালা পোশাক পরে যতটা সম্ভব শরীরকে উন্মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। এসময় ভারী কম্বল এড়িয়ে চলুন।

জ্বরের কারণে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে শরীরকে লড়াই করার শক্তি জোগানোর জন্য খাবার খাওয়া জরুরি। এসময় খেতে কষ্ট হলেও খাবারের দিকে মনোযোগী হতে হবে। তাজা ফলমূল, শাক-সবজি, প্রচুর তরল খাবার খাওয়ার পাশাপাশি খাবারের তালিকায় রাখুন ভেষজ উপাদানও। আদা ও রসুন এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে। আদা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অপরদিকে রসুনের অ্যান্টি-ভাইরাল উপকারিতা রয়েছে।