img

আজ থেকে শুরু এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ-২০২৩, জেনে নিন নিয়মাবলি

প্রকাশিত :  ০৫:৫৫, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:১০, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

আজ থেকে শুরু এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ-২০২৩, জেনে নিন নিয়মাবলি

আজ থেকে শুরু এইচএসসি বোর্ড চ্যালেঞ্জ ২০২৩। বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার নিয়ম জেনে নিন এখান থেকে। ২৬ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের ফলাফল। এবার সারাদেশে গড় পাশের হার ৭৮.৬৪ শতাংশ । কিন্তু যারা এবার ভালো করতে পারেনি তাদের জন্যেই আমার আজকের এই আয়োজন।

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ কি?

জেএসসি, এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দিন থেকে বাংলাদেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ড ফলাফল আশানুরুপ না হওয়াতে শিক্ষার্থীদের মনে যদি অনিশ্চয়তা থাকে তাদের অনিশ্চয়তা দূর করতে খাতা পুনঃনিরীক্ষণ এর সুযোগ দিয়ে থাকে যা ‘ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ’, ‘বোর্ড চ্যালেঞ্জ’, ‘ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন’, ‘HSC Rescrutiny Process’ ইত্যাদি নামে পরিচিত। অনেকের ধারণা বোর্ড কর্তৃপক্ষ খাতা পুনঃমূল্যায়ন করে। কিন্তু আসলে এই প্রক্রিয়ায় বোর্ড থেকে যা করা হয় তা হলো, নম্বর গণনা কিংবা কোথাও নম্বর প্রদানে ভুল ভ্রান্তি হয়েছে কিনা সেসব বিষয় মিলিয়ে দেখা হয়।

কিভাবে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ করবেন?:

এইচএসসি ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ ২০২৩ করতে শিক্ষা বোর্ডে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। চাইলে ঘরে বসে মোবাইল থেকেই ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ এর জন্যে আবেদন করতে পারবেন। তার জন্যে যা যা লাগবেঃ

টেলিটক সংযোগ সহ একটি মোবাইল ফোন। ( শুধুমাত্র টেলিটক আপারেটর থেকেই ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন সম্ভব কিন্তু যাদের টেলিটক সিম নেই তাদের চিন্তার কিছু নেই, তারাও চাইলে অন্য কারো সিম ব্যাবহার করে অথবা ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এর আবেদন করে এ ধরণের কোন দোকান থেকেও আবেদন করতে পারবেন)

মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যালান্স ( প্রতিটি বিষয়ের আবেদনের জন্যে মোবাইল থেকে আবেদন ফি বাবদ ৩০০ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে।)

আপনার সাথে যোগাযোগ এর একটি ব্যাক্তিগত নম্বর (বাংলাদেশের যে কোন অপারেটর এর নম্বর দিতে পারবেন)

আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক আবেদনের পদ্ধতি…

এইচএসসি রেজাল্ট রিভিউ করতে এসএমএস করবেন যেভাবেঃ

মোবাইল এর ম্যাসেজ অপশন এ গিয়ে লিখবেন-

REV<স্পেস>আপনার বোর্ড এর নামের প্রথম ৩ অক্ষর<স্পেস>রোল নম্বর

উদাহরণঃ যশোর বোর্ড এর কোন শিক্ষার্থীর রোল নম্বর যদি হয় 259663 তার আবেদন করতে লিখতে হবে এভাবেঃ RSC<স্পেস>JES<স্পেস>259663

এর পর ম্যাসেজটি 16222 এই নম্বরে পাঠাতে হবে।

ফিরতি এসএমএস এ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে জানিয়ে আপনাকে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। আপনি রাজি থাকলে এর পর ম্যাসেজ অপশন এ গিয়ে লিখবেনঃ

REV<স্পেস>YES<স্পেস>পিন নম্বর<স্পেস>আপনার সাথে যোগাযোগের একটি নম্বর (যে কোন অপারেটর এর)

উদাহরনঃ ধরুন ফিরতি এসএমএস এ প্রদত্ত আপনার পিন নম্বর হল 12345 এবং আপনার মোবাইল নম্বর 01913XXXXXX সেক্ষেত্রে আবেদন করবেন এভাবেঃ

REV<স্পেস>YES<স্পেস>12345<স্পেস>01913XXXXXX

এর পর ম্যাসেজটি 16222 এই নম্বরে পাঠাতে হবে।

Send করার পর ফিরতি SMS এ আবেদন Confirmation সংক্রান্ত একটি বার্তা আসবে। সেখানে Track নম্বর দেয়া থাকবে; যা আপনার আবেদন গ্রহণ করার Reference হিসেবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

উপরের প্রক্রিয়াগুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে অনুসরণ করে থাকেন তাহলে সফলভাবে আপনার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

আবেদনের সময়সীমাঃ

এই প্রক্রিয়া সাধারণত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরদিন থেকে এক সপ্তাহব্যাপী চলে। ২০২৩ এইচএসসি সালের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ প্রক্রিয়া ২৭ নভেম্বর থেকে ০৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে।

আসলেই কি কোন কাজ হয় ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ করে?:

প্রতি বছর ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এ অনেককেই দেখি প্রথমে ফেইল করে ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করে পাশ করতে এবং গ্রেড উন্নয়ন হতে। চাইলে গত বছর যারা ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ করেছিলো এই লিঙ্ক https://lekhaporabd.net/archives/9866 থেকে তাদের ফলাফল দেখে আসতে পারেন।

তাই আমাদের পরামর্শ হল যেহেতু এইচএসসি আমাদের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা পরীক্ষা তাই যদি কোন কনফিউশন থাকে আপনার ফলাফলের ব্যাপারে কিংবা আপনি যদি নিশ্চিত থাকেন আপনার ফলাফল পরিবর্তনের ব্যাপারে তাহলে অবশ্যই ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করে দেখা উচিত।

ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ এর ফলাফল কবে কিভাবে দেবে?:

সাধারণত ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ এর ফলাফল মূল ফলাফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যেই প্রতি শিক্ষা বোর্ড এর নিজ নিজ ওয়েবসাইটে পিডিএফ আকরে প্রকাশ করে থাকে। এছাড়া আবেদনকারীর আবেদন করার সময় প্রদান করা ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরেও কেন্দ্রীয়ভাবে ফলাফল এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের এইচএসসি ফলাফল রিভিউ এর ফলাফল মার্চ মাসের শেষ ভাগে করা হতে পারে। প্রকাশ হওয়া মাত্র সকল শিক্ষা বোর্ড এর ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এর বিস্তারিত ফলাফল দেখা যাবে এই লিঙ্ক https://lekhaporabd.net/archives/9866 থেকে। 

শিক্ষা এর আরও খবর

img

পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি এখনো চূড়ান্ত হয়নি

প্রকাশিত :  ০৮:১৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আর মাত্র সাড়ে ৩ মাস পর শুরু হতে যাচ্ছে নতুন শিক্ষাবর্ষ । তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি ও টেন্ডার প্রক্রিয়া। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, মে-জুনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রুফ রিডিং করা হয়। তবে এবার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চলতি মাসের শুরুতে আসে বই সংশোধনের ঘোষণা।

 আগামী শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে কী কী সংশোধন ও পরিমার্জন করা যায়, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। এ বছর স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই কোটি শিক্ষার্থীর জন্য ৩৪ কোটি বিনামূল্যের বই ছাপানোর কথা। মুদ্রণসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরের মতো টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলে বছরের শুরুতে কিছু বই পৌঁছানো সম্ভব হলেও সব বই ছাপা শেষ হতে মার্চ পর্যন্ত সময় লাগবে।

বিগত সরকারের আমলে এনসিটিবির কিছু অসৎ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে নিম্নমানের মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে বই ছাপানোর কাজ দেওয়া হতো। এতে বইয়ের মান ও ছাপা নিয়ে বেশ বিতর্ক ওঠে। এবারও এনসিটিবির সাবেক চেয়ারম্যান বিতর্কিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়েছেন। এর মধ্যে অগ্রণী প্রেস অন্যতম। তাদের ছাপানো বই এত নিম্নমানের যে শিক্ষাবর্ষের ৬ মাসও টেকেনি। পৃষ্ঠাগুলোও অনেক পাতলা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উলটাতে গিয়ে প্রায় সব বই ছিঁড়ে গেছে। এবারও তারা প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আরও কয়েকটি বিতর্কিত প্রেসের কাজ পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানান, আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে ৯ কোটি বই আর মাধ্যমিকে ২৫ কোটি বই শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ছাপানো হবে। নতুন কারিকুলামে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বিষয় পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আগামী শিক্ষাবর্ষে কারিকুলাম পরিমার্জন ও সংশোধন হলে বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা বাড়বে। এর ফলে বইয়ের ফর্মার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে এবং ছাপাতেও সময় বেশি লাগবে। বিতর্কিত ও নিম্নমানের মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে ভালোমানের অধিকসংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হলে দ্রুত বই ছাপানো সম্ভব। এতে সময় কম লাগবে। যথাসময়ে বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো যাবে। এতে খরচও কমবে। এজন্য স্বনামধন্য মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বিতর্কিত প্রেসের টেন্ডার বাতিল করে দ্রুত এ প্রক্রিয়া শেষ করার কথা জানান তারা।

শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ২৩ দিনের মাথায় নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তাই ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে তা পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে। এর আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্বের ২০১২ সালের প্রণীত সৃজনশীল কারিকুলাম ধাঁচের পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। এতে পাঠ্যবইয়ের পরিমার্জন ও সংশোধন করে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বইয়ের কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। এসব শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের।

এছাড়া অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সৃজনশীল কারিকুলামের বই থাকবে বলে খসড়া হলেও এসব বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে কন্টেন্টে নানা পরিমার্জন করা হবে। আর নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে বিভাগ বিভাজন। এতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ আবার চালু হওয়ায় বাড়ছে বইয়ের সংখ্যাও।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান  বলেন, চলতি মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগের শিক্ষাক্রমের আদলের শিক্ষায় ফিরে গিয়ে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এজন্য চলমান শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ও প্রশ্ন ধরন তৈরি করা কাজে একটু ব্যস্ত ছিলাম। একই সঙ্গে আগামী শিক্ষাবর্ষের বই ছাপানোর কার্যক্রমও অব্যাহত ছিল। এখন পাণ্ডুলিপি সংশোধন ও পরিমার্জন নিয়ে কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই পাণ্ডুলিপি তৈরির কাজ শেষ হবে। এরপর ছাপানোর কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি বই ছাপানো ও স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দায়িত্বে যারা থাকবেন, তাদের সমন্বয় জরুরি। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে সময়মতো বই পৌঁছাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। মুদ্রণসংশ্লিষ্টরা সচেষ্ট হলে এ সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব।

বাংলাদেশ মুদ্রণ সমিতির সাবেক সভাপতি বলেন, আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য যারা টেন্ডার পেয়েছেন, তারা যথাসময়ে বই দিতে পারবেন না। এনসিটিবির সাবেক বিতর্কিত কর্মকর্তাদের কাছে বিভিন্ন তদবির করে তারা এই ছাপানোর কাজ পেয়েছেন। তাই বছরের শুরুতে বই দিতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। এছাড়া প্রতিবছর কিছু প্রেস যথাসময়ে বই দেয় না। এনসিটিবির হাতে এখন পর্যাপ্ত সময় নেই। তাই বেশি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে হবে। তাহলে দ্রুত কাজ শেষ হবে। এছাড়া কারিকুলামের যে সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ রয়েছে, তা দ্রুত শেষ করতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া সময়মতো শেষ করতে পরিমার্জনের পাশাপাশি পাণ্ডুলিপি দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত করার পরামর্শ মুদ্রণশিল্প সমিতির এ নেতার।

বৃহস্পতিবার বই বাঁধাই শিল্পে সিন্ডিকেট বিলুপ্ত করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতি। দীর্ঘদিন ধরে তারা কর্মক্ষেত্রে সীমাহীন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। স্বাধীনতা-উত্তর জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক বোর্ড বই টেন্ডারের মাধ্যমে তালিকাভুক্তি অবস্থায় বই বাঁধাই করে আসছেন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান তাদের এ সংগঠনটিকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে একচেটিয়াভাবে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এনসিটিবি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের শুরতেই শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এনসিটিবি ভবন পরিদর্শন করেন। সেসময় এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে সম্প্রতি কারিকুলাম সংশোধন সংক্রান্ত যে পরিপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয় জারি করেছে, সেটি সংশোধন করে পুনরায় প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন। বৈঠক সূত্র জানায়, শিক্ষাক্রম সংশোধনসহ দরপত্র বাতিলের বিষয়ে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা দায়িত্ব গ্রহণের পর জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের বই দৃষ্টিনন্দন হবে। জানুয়ারিতে সব পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিতে হবে। এবারের বইগুলো দেখতে দৃষ্টিনন্দন হবে, কাগজ ভালো হবে। এক্ষেত্রে কোনো আর্থিক অনিয়ম হবে না। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘পরীক্ষা দিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে।