img

শ্রেয়া ঘোষালের ‘এক্স’ ১৬ দিন ধরে হ্যাকারদের কবলে !

প্রকাশিত :  ০৬:৪৬, ০২ মার্চ ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৫৮, ০২ মার্চ ২০২৫

শ্রেয়া ঘোষালের ‘এক্স’ ১৬ দিন ধরে হ্যাকারদের কবলে !

ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের এক্স হ্যান্ডেল (টুইটার) হ্যাক হয়েছে। বিগত ১৬ দিন ধরে তার অ্যাকাউন্ট সাইবার হ্যাকারদের কবলে রয়েছে। বারবার চেষ্টার পরও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। 

অবশেষে হতাশা প্রকাশ করে ভক্তদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন এই কণ্ঠশিল্পী। তার এক্স হ্যান্ডেল অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা কোনো লিংকে যেন কেউ ক্লিক না করেন, সেই অনুরোধও করেছেন তিনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হ্যাক হয়েছে শ্রেয়া ঘোষালের এক্স অ্যাকাউন্ট। এই কণ্ঠশিল্পী জানিয়েছেন, সেদিন থেকে তার প্রোফাইলে তিনি ঢুকতে পারছেন না, এমনকি অ্যাকাউন্ট ডিলিটও করতে পারছেন না।

গত শনিবার শ্রেয়া ঘোষাল হতাশার স্বরে বলেন, ‘শ্রোতা বন্ধুরা আমার এক্স হ্যান্ডেল (টুইটার) গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হ্যাকড রয়েছে। এক্স টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমার সাধ্যমতো সমস্ত চেষ্টা করেছি। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃষ্ট কয়েকটা উত্তর পাওয়া ছাড়া আর কোনো সাড়া পাইনি। এমনকি আমার অ্যাকাউন্টটা ডিলিটও করতে পারছি না। কারণ লগ ইন-ই তো হচ্ছে না।’

এরপরই ভক্তদের সতর্ক করে শ্রেয়ার বলেন, ‘দয়া করে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো মেসেজ পেলে এড়িয়ে যাবেন। কিংবা কোনো লিংক গেলে, সেটাতে ক্লিক করবেন না। ওগুলো সব স্প্যাম। অ্যাকাউন্ট ঠিক হলে আমি ব্যক্তিগতভাবে ভিডিও বার্তায় জানিয়ে দেব।’

img

কারাগারে ৮০ শতাংশ মহিলাই নির্দোষ: কারাবাসের অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আনলেন রিয়া

প্রকাশিত :  ০৬:০২, ২৬ মার্চ ২০২৫

অভিনেত্রী রিয়ার বিরুদ্ধে ছিল একাধিক অভিযোগ। মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা। ২৭ দিন কারাবাসেও ছিলেন তিনি।

ছাড়পত্র পেয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। সিবিআই তার অন্তিম রিপোর্টে জানিয়ে দিয়েছে, আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। রিয়ার বিরুদ্ধে ছিল একাধিক অভিযোগ। মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা। ২৭ দিন কারাবাসে ছিলেন তিনি।

কারাবাসের অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন রিয়া। কারাবাসের অন্দরের সঙ্গে বাইরের জগতের কোনও মিল নেই বলে জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “কারাগারের মধ্যে কোনও সমাজ নেই। তাই বাকি দুনিয়ার থেকে পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা। তবে কারাগারের অন্দরে সমতা রয়েছে। ওখানে আলাদা করে কোনও পরিচিতি নেই কারও। সবাই এক একটা সংখ্যা সেখানে।”

তদন্ত চলাকালীন যে মহিলারা কারাবাসে থাকেন, তাঁদের বেশির ভাগই নির্দোষ বলে দাবি রিয়ার। অভিনেত্রীর কথায়, “আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, অভিযুক্ত মহিলাদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ নির্দোষ ছিলেন। বাকি ২০ শতাংশ স্বীকার করতেন যে তাঁরা অপরাধ করেছেন। হয় নিজেকে বাঁচানোর জন্য অপরাধ করেছেন বা অন্য কোনও কারণে।”

রিয়া আরও বলেন, “বিচার পেতে অনেকটা সময় লাগে। তাই এই নির্দোষ মহিলাদেরও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় কারাবাসে কাটাতে হয়। কেউ কেউ দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগেই সাত-আট বছর কারাবাসে কাটিয়ে দেন।”

কারাগারের ভিতরে কী কী অসুবিধা হয় সেগুলিও জানিয়েছেন রিয়া। অভিনেত্রীর কথায়, “কারাগারের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যায় না। বাইরের জগতের সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ নেই। কেউ হয়তো পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে ফেলেছেন দীর্ঘ দিন কারাবাসে থাকতে থাকতে। প্রতি দিন কারাবাসে টিকে থাকাই কঠিন। এক একটা দিন এক একটা বছরের মতো মনে হয় কারাগারের মধ্যে। আমিও কঠিন সময় কাটিয়েছিলাম। অবশ্যই কারাগারের মধ্যে অবসাদ রয়েছে। সেই অন্ধকার জগতের সাক্ষী আমিও।”