img

ইরানকে ৬০ দিনের সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আজ ৬১তম দিন: ট্রাম্প

প্রকাশিত :  ১৮:১৮, ১৩ জুন ২০২৫

ইরানকে ৬০ দিনের সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আজ ৬১তম দিন: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের আমার কথা শোনা উচিত ছিল। আমি তাদের ৬০ দিনের সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আজ ৬১তম দিন। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের মাটিতে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার পর এ কথা বললেন তিনি।

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের শুরুতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লেখা এক চিঠিতে ট্রাম্প পরমাণু আলোচনা সফল করার জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তাদের এখন আলোচনার টেবিলে এসে চুক্তিতে পৌঁছানো উচিত, অনেক দেরি হওয়ার আগেই। তাদের জন্য অনেক দেরি হয়ে যাবে।

ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ কমান্ডারদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, \'আমি যাদের সাথে কথা বলছিলাম তারা মারা গেছে।\'

সাংবাদিক প্রশ্ন করেন গত রাতে ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে কি এটা হয়েছে? জবাবে ট্রাম্প ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেন, \'তারা রোগ-বালাইয়ে মারা যায়নি; তারা কোভিডের কারণেও মারা যায়নি।\'

ট্রাম্প ইরানের ওপর হামলাকে \'অত্যন্ত সফল আক্রমণ\' বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ইসরায়েলকে সমর্থন করি। স্পষ্টতই এবং এমনভাবে সমর্থন করেছি, যেমনভাবে কেউ কখনো সমর্থন করেনি।

ট্রাম্প যে ৬০ দিনের সময়সীমা উল্লেখ করছেন, সেটি কী?

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ১২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে প্রথম দফা আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে ঘড়ির কাঁটা শুরু হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার ৬০ দিনের সীমা অতিক্রম করেছে।

ট্রাম্প ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খামেনির কাছে লেখা চিঠির কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, \'আমি তাদের একটি চিঠি লিখেছি, যেখানে বলা হয়েছে, আমি আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন। কারণ, যদি আমাদের সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তবে এটি তাদের জন্য একটি ভয়াবহ বিষয় হবে। আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন, কারণ এটি ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।\'

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ইরান চুক্তি আলোচনা ৬০ দিনের সময়সীমার পরেও অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এখন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে ইসরায়েলের হামলার পর আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এখনো চাপ দিচ্ছেন।


img

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ১৭:১২, ১৮ জুলাই ২০২৫

 আমেরিকার ভিসাপ্রার্থীরা ভুয়া নথিপত্র দাখিল বা তথ্য গোপন করলে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।এমনকি হতে পারে ফৌজদারি মামলাও।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে বলা হয়, এই গল্প আমরা আগেও শুনেছি। কনস্যুলার অফিসাররা সবসময় ভিসা জালিয়াতি, ভুয়া নথিপত্র এবং প্রতারণার নতুন কৌশল সম্পর্কে অবহিত। তথ্য গোপন করা বা মিথ্যা উপস্থাপন গুরুতর অপরাধ।

দূতাবাস জানায়, কেউ যদি ভিসা আবেদন ফরমে (ডিএস-১৬০) ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দেন বা গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট গোপন করেন, তাহলে শুধু তাৎক্ষণিক ভিসা প্রত্যাখ্যান নয়, ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার অযোগ্যতা তৈরি হতে পারে।

গত ১০ জুলাই দূতাবাসের অন্য একটি পোস্টে জানানো হয়েছিল, ডিএস-১৬০ ফরমে গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীনাম বা হ্যান্ডেল উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীরা নিজে থেকেই সমস্ত তথ্য সত্য বলেই স্বীকার করে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর দেন ও জমা দেন।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ভুয়া নথিপত্র বা তথ্য গোপনের মাধ্যমে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।