আল জাজিরার প্রতিবেদন

img

এক ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল ইরান

প্রকাশিত :  ১৯:২১, ১৪ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৪৫, ১৪ জুন ২০২৫

এক ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল ইরান

মাত্র এক ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইরান। এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ।

খাতাম আল-আম্বিয়া বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটির এক কমান্ডারের বরাত দিয়ে এই খবরে বলা হয়, গত এক ঘণ্টায় ইরানের বিভিন্ন এলাকায় ১০টি ইসরায়েলি সামরিক বিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলের আয়রন ডোম আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ব্যর্থ করে তেল আবিবে অবস্থিত প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানে দফায় দফায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পর তেহরানের এই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ শুরু হয়। খবর এনডিটিভি।

ইসরাইলের সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নাম ‘আয়রন ডোম’। মূলত এটা এমন একধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম। বড় ক্ষেপণাস্ত্র তো বটেই, ক্ষুদ্র রকেটও ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলের আয়রন ডোম। ইহুদিদের কাছে তাদের এই আয়রন ডোম জাতীয় নিরাপত্তা আর গৌরবের প্রতীক। ইসরায়েলের সেই গর্বকে এবার চূর্ণ করে দিল ইরান।

সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের যাচাই করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তেল আবিবের একেবারে কেন্দ্রস্থলে আঘাত হানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, যেখানে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরসহ বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা অবস্থিত। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

১৯ সেকেন্ডের ওই ক্লিপে দেখা যায়, ইসরায়েলের আয়রন ডোম একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ওই আয়রন ডোম ভেঙে চোখের পলকে প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরে আঘাত হানে। ক্লিপটি শুরু হয় বিকট শব্দে বেরিয়ে আসা প্রজেক্টাইল দিয়ে। তারপর আলোর ঝলক এবং আগুনের একটি গোলা বিকট শব্দে ভবনটিতে আঘাত করে।

img

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ১৭:১২, ১৮ জুলাই ২০২৫

 আমেরিকার ভিসাপ্রার্থীরা ভুয়া নথিপত্র দাখিল বা তথ্য গোপন করলে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।এমনকি হতে পারে ফৌজদারি মামলাও।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে বলা হয়, এই গল্প আমরা আগেও শুনেছি। কনস্যুলার অফিসাররা সবসময় ভিসা জালিয়াতি, ভুয়া নথিপত্র এবং প্রতারণার নতুন কৌশল সম্পর্কে অবহিত। তথ্য গোপন করা বা মিথ্যা উপস্থাপন গুরুতর অপরাধ।

দূতাবাস জানায়, কেউ যদি ভিসা আবেদন ফরমে (ডিএস-১৬০) ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দেন বা গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট গোপন করেন, তাহলে শুধু তাৎক্ষণিক ভিসা প্রত্যাখ্যান নয়, ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার অযোগ্যতা তৈরি হতে পারে।

গত ১০ জুলাই দূতাবাসের অন্য একটি পোস্টে জানানো হয়েছিল, ডিএস-১৬০ ফরমে গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীনাম বা হ্যান্ডেল উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীরা নিজে থেকেই সমস্ত তথ্য সত্য বলেই স্বীকার করে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর দেন ও জমা দেন।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ভুয়া নথিপত্র বা তথ্য গোপনের মাধ্যমে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।