img

পারমাণবিক অস্ত্র না বানানোর চুক্তি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে ইরান

প্রকাশিত :  ১৩:২৮, ১৬ জুন ২০২৫

পারমাণবিক অস্ত্র না বানানোর চুক্তি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে ইরান

বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে গঠিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ‘নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটি)’ থেকে সরে যাচ্ছে ইরান। আজ সোমবার (১৬ জুন) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এনপিটি চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে তারা। খবর রয়টার্সের।

তেহরান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাঈ হামানে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে এবং পরবর্তী ধাপে সরকার ও পার্লামেন্ট একযোগে কাজ করবে।’

১৯৭০ সালে ইরান এনপিটি স্বাক্ষর করে, যা বেসামরিক পরমাণু শক্তির অধিকার নিশ্চিত করলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) ইরানের বিরুদ্ধে এনপিটি চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে।

ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে—এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে ইরানে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায় তেলআবিব।

তবে ইরান শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এমনকি দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান সোমবার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ইসলামি শরিয়াহ ও সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির ফতোয়ার পরিপন্থি।’

তবে একই দিন দেশটির পার্লামেন্টে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে গঠিত আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার প্রস্তাবকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, চুক্তি থেকে বের হওয়ার মাধ্যমে ইরান আসলে তারে পরমাণু শক্তি প্রকাশ্যে আনার পথ উন্মুক্ত করছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরান তার পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

তেহরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এনপিটি থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এবং সংসদে বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

ইরান মনে করে, আইএইএ-এর সাম্প্রতিক প্রস্তাবনা ইসরায়েলের হামলার পথ সুগম করেছে। মুখপাত্র বাঘাঈ বলেন, ‘যারা এই প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে, তারাই মূলত ইসরায়েলের হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে।’

উল্লেখ্য, ইসরায়েল কখনোই এনপিটি-তে যোগ দেয়নি এবং তাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র থাকার ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ধারণা থাকলেও, দেশটি কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তা স্বীকার বা অস্বীকার করেনি।

ইরানের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র গণবিধ্বংসী অস্ত্রের অধিকারী হচ্ছে জায়নিস্ট শাসকগোষ্ঠী।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান যদি সত্যিই এনপিটি থেকে বেরিয়ে যায়, তবে তা হবে পরমাণু কূটনীতিতে এক নতুন উত্তাল অধ্যায়ের সূচনা, যা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়—বিশ্ব রাজনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।


img

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ১৭:১২, ১৮ জুলাই ২০২৫

 আমেরিকার ভিসাপ্রার্থীরা ভুয়া নথিপত্র দাখিল বা তথ্য গোপন করলে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।এমনকি হতে পারে ফৌজদারি মামলাও।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে বলা হয়, এই গল্প আমরা আগেও শুনেছি। কনস্যুলার অফিসাররা সবসময় ভিসা জালিয়াতি, ভুয়া নথিপত্র এবং প্রতারণার নতুন কৌশল সম্পর্কে অবহিত। তথ্য গোপন করা বা মিথ্যা উপস্থাপন গুরুতর অপরাধ।

দূতাবাস জানায়, কেউ যদি ভিসা আবেদন ফরমে (ডিএস-১৬০) ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দেন বা গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট গোপন করেন, তাহলে শুধু তাৎক্ষণিক ভিসা প্রত্যাখ্যান নয়, ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার অযোগ্যতা তৈরি হতে পারে।

গত ১০ জুলাই দূতাবাসের অন্য একটি পোস্টে জানানো হয়েছিল, ডিএস-১৬০ ফরমে গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীনাম বা হ্যান্ডেল উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীরা নিজে থেকেই সমস্ত তথ্য সত্য বলেই স্বীকার করে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর দেন ও জমা দেন।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ভুয়া নথিপত্র বা তথ্য গোপনের মাধ্যমে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।