img

ফোরজিতে সর্বনিম্ন ডাউনলোড গতি ১০ এমবিপিএস

প্রকাশিত :  ০৬:২৩, ৩১ আগষ্ট ২০২৫

ফোরজিতে সর্বনিম্ন ডাউনলোড গতি ১০ এমবিপিএস

টেলিযোগাযোগ খাতে সেবার মান উন্নয়নে বিটিআরসি নতুন কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা অনুমোদন করেছে। বিশেষজ্ঞ পরামর্শের ভিত্তিতে তৈরি এই বেঞ্চমার্ক সম্প্রতি কমিশন বৈঠকে মোবাইল অপারেটর, এনটিটিএন এবং আইএসপি সেবাদাতাদের জন্য পাস হয়েছে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ফোরজি নেটওয়ার্কে সর্বনিম্ন ডাউনলোড গতি ১০ এমবিপিএস নির্ধারণ করা হয়েছে। তদারকির জন্য বিটিআরসি প্রতি মাসে নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স ও হেলথ চেক করবে, যা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

নতুন কিউওএস নীতিমালায় অপারেটরদের মাসিক রিপোর্ট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এসব সূচক মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে—অ্যাক্সেসিবিলিটি, রিটেইনেবিলিটি এবং নেটওয়ার্ক ইন্টিগ্রিটি। সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করা ৫০টি সেল আলাদা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে দুর্বল এলাকাগুলো দ্রুত চিহ্নিত ও সমাধান করা যায়।

ফিক্সড ইন্টারনেট ও টেলিফোনি ক্ষেত্রে কলড্রপ সর্বাধিক ১%, কল সেটআপ সাফল্য ৯৯%-এর বেশি এবং সংযোগ সময় ৬ সেকেন্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

ইন্টারনেটে লোকাল ট্র্যাফিক সংযোগ সময় সর্বোচ্চ ২৫ এমএস, ডেটা হারানোর হার ১%-এর মধ্যে এবং নেটওয়ার্কের প্রাপ্যতা ৯৯% বা তার বেশি রাখতে হবে।

গ্রাহকসেবা মানদণ্ডও কঠোর করা হয়েছে। নেটওয়ার্ক-সংক্রান্ত নয় এমন অভিযোগ ২৮ দিনের মধ্যে সমাধান করতে হবে। গ্রাহকসেবা সেন্টারে আসা ৯০% কল ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে এবং সব কল ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে গ্রহণ করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ও তথ্য-প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফাইজ তাইয়েব আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ এ খবর নিজেই নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘নতুন  নীতিমালার মাধ্যমে অপারেটরদের জবাবদিহি নিশ্চিত হবে এবং দেশের গ্রামীণ ও শহরতলিসহ সব অঞ্চলে সেবার মান উন্নয়ন সম্ভব হবে।’


img

ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন: দেশে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা

প্রকাশিত :  ১২:০৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

মার্কিন সংস্থা ফ্রিডম হাউস জানিয়েছে, বিশ্বে অনলাইনের স্বাধীনতা কমে গেলেও বাংলাদেশে এর উন্নতি হয়েছে । আজ প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর মূল্যায়নে থাকা ৭২টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে।

এ গবেষণায় ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।

ফ্রিডম হাউস বলছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া অভ্যুত্থানে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারায়। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক সংস্কার আনে। এর ফলেই বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১০০-এর মধ্যে ৪৫ হয়েছে। গত বছর এই স্কোর ছিল ৪০। এটি গত সাত বছরের সেরা অবস্থান।

তবে এত উন্নতির পরও বাংলাদেশ এখনো ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবে তালিকায় রয়ে গেছে—যে অবস্থানে ২০১৩ সাল থেকে রয়েছে।

ফ্রিডম হাউস তিনটি বড় বিষয় দেখে স্কোর নির্ধারণ করে—

(১) ইন্টারনেটে প্রবেশের বাধা,

(২) অনলাইনে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ,

(৩) ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘন।

এই তিনটি বিভাগে মোট ২১টি সূচক ব্যবহার করে প্রতিটি দেশের অনলাইন স্বাধীনতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কিছু বড় পরিবর্তন হলো—২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুহাম্মদ এমদাদ-উল-বারীকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। তিনি ইন্টারনেট বন্ধ না করার নীতি গ্রহণ করেন এবং ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে দেখার কথা বলেন।

২০২৫ সালের মে মাসে সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল করে। এর বদলে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ (সিএসও) জারি হয়।

এতে কিছু ভালো দিক যেমন অনলাইন হয়রানি ও যৌন নির্যাতনবিরোধী সুরক্ষা রয়েছে, তবে আগের মতোই কিছু উদ্বেগজনক বিষয়—যেমন অনলাইনে বক্তব্যের জন্য শাস্তি ও নজরদারি রয়ে গেছে।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পেছনে রয়েছে। পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ৫৩ ও ভারত ৫১ পয়েন্ট পেয়ে দুটোই ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে রয়েছে।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর