
শ্রীলঙ্কাকে হারালে ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ, যে রেকর্ড প্রেরণা যোগাচ্ছে টাইগারদের

সপ্তাহ না ঘুরতেই এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দুই দলের এবারের লড়াইয়ে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে বাড়তি অনুপ্রেরণা। শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলেই যে সামনে অপেক্ষা করছে ‘ফাইনাল’!
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আজ রাতেই মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ২০১৮ সালের নিদহাস ট্রফি থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার প্রতিদ্বন্দ্বিতা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন ‘নাগিন ডার্বি’ নামে পরিচিত।
তবে এইবার বাংলাদেশের সমর্থকরা হয়তো আগের মতো বিরূপ অনুভব করছেন না। কারণ, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার জয়ই বাংলাদেশকে সুপার ফোরে পৌঁছানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
দুই দিন আগেও শ্রীলঙ্কা ছিল বাংলাদেশের ‘পরম বন্ধু’। আফগানদের বিপক্ষে তাদের জয়েই লিটনদের সুপার ফোরে খেলার পথ তৈরি হয়েছিল। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের সমর্থকরা সমর্থন দিয়েছিল লঙ্কানদের। গ্রুপ পর্বে দুই জয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের সহজ সমীকরণ ছিল আফগানিস্তানকে হারাতে হবে শ্রীলঙ্কাকে।
লঙ্কানদের সেই জয়েই বাংলাদেশ স্বপ্নপূরণ করেছে। সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে টাইগাররা। তবে এক দিনের ব্যবধানেই সুপার ফোরের ম্যাচে আবারও শ্রীলঙ্কা তাদের প্রতিপক্ষ।
সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে দুই দল।
এশিয়া কাপের ইতিহাসে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৪ হারের মধ্যে মাত্র ৩টি জয় পেয়েছে—২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে। উল্লেখ্য, এই তিন বারই বাংলাদেশ ফাইনালে পৌঁছেছিল।
এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের একমাত্র হারও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার মাটিতে হওয়া দুই দলের সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি সিরিজটা জিতেছিল বাংলাদেশ।
টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সংখ্যাতেও বড় ব্যবধানে এগিয়েই আছে শ্রীলঙ্কা।
২১ ম্যাচের ৮টিতে কেবল জিতেছে বাংলাদেশ। তবে শেষ ৫ ম্যাচের তিনটিতেই জয় পাওয়াটা আত্মবিশ্বাস জোগাবে লিটন দাসের দলকেও।
তবে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ দল প্রতিশোধের সঙ্গে খেলবে। সুপার ফোরে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যোগ করা এবং অতীতের ট্রেন্ড অনুযায়ী ফাইনালে পৌঁছানোর আশা লিটন দাস ও তার দলের মোটিভেশনকে দ্বিগুণ করবে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রাতের এই মুখোমুখি লড়াই বাংলাদেশের জন্য হবে এক চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের মিশ্রণ।