img

ব্যালন ডি’অরের নতুন রাজা উসমান দেম্বেলে

প্রকাশিত :  ০৭:১৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্যালন ডি’অরের নতুন রাজা উসমান দেম্বেলে

ব্যালন ডি’অরের ইতিহাসে দীর্ঘ সময়জুড়ে ছিল লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর রাজত্ব। ২০০৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত তাদের বাইরে কেউ খুব একটা জায়গা পাননি। গত বছর ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রি জিতে সেই আধিপত্যের অবসান ঘটান। অবশেষে বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামালকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ডি’অর জিতলেন পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড ২৮ বছর বয়সী উসমান দেম্বেলে। 

এ ছাড়া, টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়েদের ব্যালন দ’র জিতেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানো বনমাতি। প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে তিনবার বর্ষসেরার এই পুরস্কার জিতলেন তিনি। ছাড়িয়ে গেলেন দুইবার জেতা বার্সেলোনা ও স্পেনের আরেক ফুটবলার আলেক্সিয়া পুতেয়াসকে।

পিএসজির হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছেন উসমান দেম্বেলে। ফরাসি জায়ান্টদের ট্রেবল জয়ের পথে রেখেছেন অন্যন্য অবদান। তাতে ব্যালন ডি’অর জয়ের জন্য অনেকেই এগিয়ে রাখছিলেন দেম্বেলেকে। পুরস্কারটি তার ‘প্রাপ্য’ বলেও মনে করছিলেন কেউ কেউ। গত মৌসুমে পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লিগ আঁ ও ফরাসি কাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। এছাড়া এক ম্যাচের শিরোপা লড়াই ফরাসি সুপার কাপেও জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।

প্রথমবারের মতো পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী আসরে ৮টিসহ সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৫ গোল করেন তিনি ৫৩ ম্যাচ খেলে। সরাসরি গোলে সহায়তা করেন ১৬টিতে। অন্যদিকে, ফুটবলের আঙিনায় ইয়ামালও দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন গত মৌসুমে। সেবার বার্সেলোনার লা লিগা, কোপা দেল ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন তরুণ স্প্যানিশ উইঙ্গার। মৌসুমজুড়ে চোখধাঁধানো পারফরম্যান্সে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল করার পাশাপাশি ২৫টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি।

এ ছাড়া, ২৭ বছর বয়সী বনমাতি গত মৌসুমে বার্সেলোনা নারী দলের ঘরোয়া ট্রেবল জয়ে বড় অবদান রাখেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৬ গোল করার পাশাপাশি ১২টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি, নির্বাচিত হন উইমেন’স চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মৌসুম-সেরা খেলোয়াড়। প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে আর্সেনালের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যায় বার্সেলোনা।

প্রসঙ্গত, ব্যালন ডি’অর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মে পরিবর্তন আনা হয় ২০২২ সালে। আগে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে পুরো বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হলেও, এখন বিবেচনায় ধরা হয় ইউরোপিয়ান ফুটবলের একটি মৌসুমকে (আগস্ট থেকে জুলাই)। সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হন বিজয়ী।

সেরা ত্রিশ:
প্রথম: উসমান দেম্বেলে (পিএসজি)

দ্বিতীয়: লামিনে ইয়ামাল (বার্সেলোনা)

তৃতীয়: ভিতিনিয়া (পিএসজি)

চতুর্থ: মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল)

পঞ্চম: রাফিনিয়া (বার্সেলোনা)

ষষ্ঠ: আশরাফ হাকিমি (পিএসজি)

সপ্তম: কিলিয়ান এমবাপে (রেয়াল মাদ্রিদ)

অষ্টম: কোল পালমার (চেলসি)

নবম: জানলুইজি দোন্নারুম্মা (পিএসজি )

দশম: নুনো মেন্দেস (পিএসজি)

১১তম: পেদ্রি (বার্সেলোনা)

১২তম: খাভিচা কাভারাৎস্খেলিয়া (পিএসজি)

১৩তম: হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ)

১৪তম: দিজিরে দুয়ে (পিএসজি)

১৫তম: ভিক্তর ইয়োকেরেশ (আর্সেনাল)

১৬তম: ভিনিসিউস জুনিয়র (রেয়াল মাদ্রিদ)

১৭তম: রবের্ত লেভানদোভস্কি (বার্সেলোনা)

১৮তম: স্কট ম্যাকটমিনে (নাপোলি)

১৯তম: জোয়াও নেভেস (পিএসজি)

২০তম: লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান)

২১তম: সেরহু গিরাসি (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড)

২২তম: আলেক্সিস মাক আলিস্তের (লিভারপুল)

২৩তম: জুড বেলিংহ্যাম (রেয়াল মাদ্রিদ)

২৪তম: ফাবিয়ান রুইস (পিএসজি)

২৫তম: ডেনজেল ডামফ্রিস (ইন্টার মিলান)

২৬তম: আর্লিং হলান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি)

২৭তম: ডেকলান রাইস (আর্সেনাল)

২৮তম: ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল)

২৯তম: ফ্লোহিয়ান ভিয়েৎস (লিভারপুল)

৩০তম: মাইকেল ওলিসে (বায়ার্ন মিউনিখ)

img

বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত :  ১৬:৪৭, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর টানা তিন হারের তেঁতো স্বাদ পায় টাইগ্রেসরা। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে। এমন ম্যাচে অজিদের কাছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। 

এই জয়ে প্রথম দল হিসেবে চলমান নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচ খেলে এখনো অপরাজিত রয়েছে রেকর্ড শিরোপাজয়ীরা। 

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিশাখাপত্নমে বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে অজিদের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটি করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। সোবহানা মোস্তারির ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩২ রান যোগ করেন দুই ওপেনার রুবাইয়া ঝিলিক ও ফারজানা হক। ২৪ বলে মাত্র ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ফারজানা। 

এরপর ক্রিজে আসা শারমিনকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ঝিলিক। দলীয় ৭২ রানে ৫৯ বলে ৪৪ রান করে আউট হন এই ওপেনার। ঝিলিকের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।

তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন সোবহানা মোস্তারি। ৮০ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। অজিদের পক্ষে অ্যাশলে গার্ডনার, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড ও জর্জিয়া ওয়্যারহাম নেন ২টি করে উইকেট।     

১৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দুই অজি ওপেনার অ্যালিসা হিলি ও ফোবি লিচফিল্ড। বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন এই দুই ব্যাটার।

তাদের সামনে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের বোলাররা। টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাটিং করতে থাকেন দুই অজি ওপেনার। মারমুখি ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন হিলি। 

তাদের ব্যাটে ভর করে কোনো উইকেট না হারিয়েই ১৫১ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। হিলি ৭৭ বলে ১১৩ ও লিচফিল্ড ৭২ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন। এই হারে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ হলো বাংলাদেশের।