img

বাংলাদেশ-হংকং লড়েইয়ে হামজার পানে তাকিয়ে সবাই

প্রকাশিত :  ০৯:৪০, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ-হংকং লড়েইয়ে হামজার পানে তাকিয়ে সবাই

ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ (৯ অক্টোবর) রাত ৮টায় শুরু হতে যাচ্ছে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের তৃতীয় রাউন্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে হংকং। গ্রুপ ‘সি’-তে প্রথম জয়ের স্বপ্ন দেখছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল, কিন্তু হার হলে পরের রাউন্ডে খেলার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে যাবে। তাই এই ম্যাচটিকে বলা যায় বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

এই হংকংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের অতীত পারফরম্যান্স স্বস্তির নয়। দুদলের চার দেখায় একবারও হাসতে পারেনি লাল-সবুজের দলটি। দুটিতে পরাজয়ের সঙ্গে সমান সংখ্যক ম্যাচে ড্র করেছে। হংকং চায়নার বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছিল ১৯ বছর আগে। ২০০৬ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত এএফসি কাপের সেই ম্যাচটি অবশ্য গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। তবে হংকংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবল লড়াইয়ের যাত্রাটা ছিল দুর্বিষহ। ১৯৭৫ সালের ১০ আগস্ট মারদেকা কাপে বাংলাদেশ হেরেছিল ৯-১ গোলে। অতীত পরিসংখ্যানের সঙ্গে র‍্যাঙ্কিংয়েও হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দলের চেয়ে এগিয়ে হংকং চায়না। বাংলাদেশের (১৮৪) চেয়ে ৩৮ ধাপ এগিয়ে হংকং (১৪৬)। 

ইতিহাস আর র‍্যাঙ্কিং হয়তো কথা বলছে হংকংয়ের পক্ষে। কিন্তু ম্যাচটি যখন হোমগ্রাউন্ডে আর দলে হামজা-শমিতের মতো উঁচু মানের ফুটবলার আছেন, তখন ম্যাচের আগে তো আর বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখা যায় না। যেমনটি অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া মনে করিয়ে দিলেন। গতকাল বুধবার ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ডেনমার্কপ্রবাসী এ মিডফিল্ডার রীতিমতো হংকংকে হুমকি দিয়ে রাখলেন, ‘সিঙ্গাপুর ম্যাচে আমরা ভুল করেছি বলে হেরেছি। হংকংয়ের বিপক্ষে সেটা চলবে না। ম্যাচটি আমাদের ঘরের মাঠে আর দল হিসেবে সবাই একতাবদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি, এবার হংকংকে হারাতে পারব।’ জামালের এই বিশ্বাস এসেছে গত কিছুদিন ধরে দলের অনুশীলন থেকে শুরু করে সব জায়গায় ফুটবলারদের জয়ের তীব্র ক্ষুধা দেখে।

হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার সবচেয়ে বড় ভরসা কিংবা আস্থার জায়গা হামজা চৌধুরী। ইংল্যান্ডপ্রবাসী এ তারকা আসার পর বাংলাদেশের ফুটবলের চেহারাটা বদলে গেছে। চোটের সঙ্গে লড়াই করা তপু বর্মণের আজকের ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। শেষ পর্যন্ত যদি না খেলেন, তাহলে তপুর পজিশন অর্থাৎ, রক্ষণে হামজাকে দেখা যেতে পারে। কারণ, হংকংয়ের আক্রমণভাগ বেশ শক্তিশালী। শুধু রক্ষণই নয়, হামজাকে আজ মধ্যমাঠের দায়িত্বও পালন করতে হবে। তাঁকে দ্বৈত ভূমিকায় চাওয়ার কথাটা কয়েক দিন আগে বলেছিলেন বাংলাদেশ কোচ ক্যাবরেরা। পুরো বাংলাদেশ যখন হামজার পানে তাকিয়ে, তখন প্রতিপক্ষ হংকং দলের কোচ অ্যাশলে ওয়েস্ট উডের একটি মন্তব্য আলোচনার জন্ম দিয়েছে। 

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তাঁর কাছে প্রশ্ন ছুটে যায় হামজার মতো ফুটবলার থাকলে কোন পজিশনে খেলাতেন? অবাক করার মতো উত্তর দেন হংকং কোচ, ‘আমার দলে সে সাইড বেঞ্চে থাকত।’ হয়তো নিজেদের ওপর থেকে চাপটা সরিয়ে নেওয়ার জন্যই এমন কৌশলী মন্তব্য হংকং কোচের। বাংলাদেশ কোচ ক্যাবরেরা প্রতিপক্ষের কোনো ফুটবলারকে নিয়ে সেভাবে বলেননি। 

বরং জয়ের আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠেছে এ স্প্যানিয়ার্ডের কণ্ঠে, ‘আমরা জানি, আমাদের সক্ষমতা আছে, ইতিহাস গড়তে পারি। স্কোয়াডের গুণগত মান নিয়ে আমি সব সময়ই সন্তুষ্ট। তবে সাম্প্রতিক কিছু নতুন সংযোজন আমাদের দলকে আরও শক্তিশালী করেছে। শুরু থেকেই আমরা বলেছি, গ্রুপের চারটি দলই সমমানের। যদিও তাদের খেলার ধরন বা স্টাইল ভিন্ন, কিন্তু সামগ্রিক মান খুব কাছাকাছি। হংকং দল সিঙ্গাপুরের মতোই শক্তিশালী। এটা ফলাফলেও দেখা গেছে।’

আজ হামজার সঙ্গে চোখ থাকবে কানাডাপ্রবাসী শমিত সোমের দিকেও। এ দুই তারকা আক্রমণের সুর বেঁধে দেবেন। ফরোয়ার্ড লাইনে ইতালিপ্রবাসী ফাহমিদুল, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসেনরা যদি মিস না করেন, তাহলে গোল খরাটা কাটবে বলে বিশ্বাস ফুটবলবোদ্ধাদের। আর শুরুতেই গোল করতে পারলে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলাটা সহজ হয়ে যাবে। তাতে মিলে যেতে পারে ঐতিহাসিক জয়। যে জয়টি বাঁচিয়ে দিতে পারে বাংলাদেশ কোচ ক্যাবরেরার চাকরি। টিকিয়ে রাখতে পারে বাংলাদেশের পরের রাউন্ডে খেলার স্বপ্ন।


img

ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ব্যাটিং কোচ আশরাফুল

প্রকাশিত :  ১০:০৮, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

মোহাম্মদ আশরাফুল জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দীর্ঘ মেয়াদে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হতে পারে তাঁকে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল আশরাফুলকে। তাঁর কাজের ধরন ভালো লাগায় জাতীয় দলের সঙ্গে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে আশরাফুলের নিয়োগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “সে জাতীয় দলের সঙ্গে ‘ক্যারি’ করবে।”

কয় বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে, তা বলতে রাজি হননি তিনি। জাতীয় দলের একটি সূত্রে জানা গেছে, আশরাফুলের সঙ্গে নাজমুল আবেদীনের কথা হয়েছে চট্টগ্রামে সিরিজ শেষে। সেখানে আশরাফুলের প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। আলোচনা শেষে উভয় পক্ষ ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুলের কোচিং ক্যারিয়ার বেশি দিনের না। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সে মিকি আর্থারের সহকারী ছিলেন তিনি। গ্লোবাল টি২০ টুর্নামেন্টে রংপুরের সহকারী কোচ ছিলেন তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পর এ বছর জাতীয় লিগে বরিশালের প্রধান কোচ ছিলেন।

জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও থাকছেন বলে জানান নাজমুল আবেদীন। এদিকে, ৬ ডিসেম্বর থেকে টি২০ এবং ওয়ানডে দলের ব্যাটারদের নিয়ে এক সপ্তাহের ক্যাম্প হবে মিরপুরে। প্রধান কোচ ফিল সিমন্স, সহকারী কোচ সালাউদ্দিন ও ব্যাটিং কোচ আশরাফুল থাকছেন ক্যাম্পে।