img

হঠাৎ জ্বরের কবলে পড়লে কী করবেন

প্রকাশিত :  ০৯:৫৪, ২২ অক্টোবর ২০২৫

হঠাৎ জ্বরের কবলে পড়লে কী করবেন

আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে হঠাৎ জ্বরের কবলে পড়ছেন অনেকেই। অনেক রোগের কারণে জ্বর হতে পারে। অটোইমিউন সমস্যা, প্রদাহ বা ক্যান্সার আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু সংক্রমণ হলো সবচেয়ে সাধারণ কারণ যার জন্য জ্বর হতে পারে।

ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবাণু নির্দিষ্ট শরীরের তাপমাত্রায় বাস করে এবং যখন তারা সংক্রমণ ঘটায়, তখন শরীর তাদের ধ্বংস করার জন্য তার তাপমাত্রা বাড়ায়। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রচেষ্টার কারণেই জ্বর দেখা দেয়। যার ফলে আপনি দুর্বল, ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং সাধারণত অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। সুস্থ হওয়ার জন্য বাড়িতে নিজের কিছু যত্ন প্রয়োজন হতে পারে।

অসুস্থতার কারণে কাজ থেকে দূরে থাকা স্বাভাবিক। এসয় শরীরকে বিশ্রাম এবং আরাম দেওয়া জরুরি। এতে জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া এবং দ্রুত সুস্থ বোধ করা সহজ হবে।

জ্বরের কারণে ঘাম, বমি বা ডায়রিয়া হলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসময় প্রচুর পানি, মধু, তাজা ফলের জুস বা ঝোল সহ ডিক্যাফিনেটেড চা পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। মুরগি এবং গরুর মাংসের ঝোল লবণ এবং প্রোটিনযুক্ত থাকে, যা ইলেক্ট্রোলাইট এবং পুষ্টির সঙ্গে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ঠান্ডা বোধ করতে পারেন। এসময় হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিতে পারেন। জ্বরের কারণে আপনার গোসল করতে ইচ্ছা না-ও করতে পারে, তবে এসময় হালকা গরম পানিতে গোসল আপনাকে দ্রুত সেরে উঠতে অনেকটাই সাহায্য করবে।

জ্বরের কারণে শরীরে ঠান্ডা লাগলে ভারী কম্বলের নিচে স্তরে স্তরে পোশাক পরে শুয়ে থাকা স্বাভাবিক মনে হতে পারে, তবে এটি শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে এবং অতিরিক্ত গরমের কারণ হতে পারে। জ্বর হলে ঢিলেঢালা পোশাক পরে যতটা সম্ভব শরীরকে উন্মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। এসময় ভারী কম্বল এড়িয়ে চলুন।

জ্বরের কারণে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে শরীরকে লড়াই করার শক্তি জোগানোর জন্য খাবার খাওয়া জরুরি। এসময় খেতে কষ্ট হলেও খাবারের দিকে মনোযোগী হতে হবে। তাজা ফলমূল, শাক-সবজি, প্রচুর তরল খাবার খাওয়ার পাশাপাশি খাবারের তালিকায় রাখুন ভেষজ উপাদানও। আদা ও রসুন এক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে। আদা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অপরদিকে রসুনের অ্যান্টি-ভাইরাল উপকারিতা রয়েছে।

img

পপকর্ন কী ওজন কমাতে সাহায্য করে?

প্রকাশিত :  ০৭:৪৬, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৫৩, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

অতিরিক্ত খাওয়ার ফলস্বরূপ আমাদের ওজন বাড়ে! কিন্তু আপনি যদি নাস্তা খেয়েও ওজন কমাতে চান তাহলে বেছে নিন বিশেষ কিছু খাবার। যেগুলো পেট ভরে খেলেও ওজন বাড়বে না। এমনই একটি খাদ্য পপকর্ন।

অন্যান্য নাস্তার চেয়ে পপকর্নে ক্যালোরির পরিমাণ কম। যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। পপকর্নে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা হজম শক্তি বাড়ায়। 

পুষ্টিবিদ লিউক কুটিনহো সম্প্রতি ওজন কমানোর ডায়াটে পপকর্ন রাখার ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘পপকর্ন একটি অত্যন্ত স্মার্ট পানিয়খাবার। যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তারা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পপকর্ন রাখতে পারেন। তবে পপকর্ন কীভাবে খাচ্ছেন তা মাথায় রেখে খেতে হবে।’

তবে বাজারে বিক্রি হয় এমন কিছু পপকর্ন ওজন কমানোর বদলে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানান তিনি।

কোন পপকর্ন খাবেন, কোনটি খাবেন না? সেগুলো জেনে নিন....

ফ্লেভার্ড পপকর্ন

ইদানীং নানা স্বাদের পপকর্ন কিনতে পাওয়া যায় মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল এবং শপিং মলের ফুড জয়েন্টে। কোনোটি ক্যারামেলে মাখানো তো কোনোটি স্ট্রবেরি ফ্লেভার্ড, চিজ, চিলি, চকলেট, বাটার, বারবিকিউ, নানা ধরনের হার্বের গন্ধে ভরা পপকর্নও পাওয়া যাচ্ছে আজকাল। যা স্বাদে সাধারণ পপকর্নের থেকেও ভাল। কিন্তু পুষ্টিবিদ লিউক বলছেন, এই মিষ্টি অথবা মশলাদার পপকর্নগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। এতে ওজন কমার চেয়ে বেড়ে যেতে পারে।

ক্লাসিক পপকর্ন

গরম হাওয়ায় ভুট্টার দানাকে ভাপিয়ে যে পপকর্ন তৈরি করা হয় সেই পপকর্নেরও স্বাদ কম নয়। পুষ্টিবিদ বলছেন, যদি কেউ ওজন কমানোর পরিকল্পনা করেন তাহলে লবণ ছাড়া এবং মাখন ছাড়া ক্লাসিক পপকর্নটি খেতে পারেন। 

ক্লাসিক পপকর্ন কীভাবে ওজন কমতে পারে তার ব্যাখ্যা করেছেন পুষ্টিবিদ লিউক কুটিনহো।

১. এক কাপ ক্লাসিক পপকর্নে ক্যালোরির মাত্রা থাকে অত্যন্ত কম। সব মিলিয়ে ৩০-৩৫ কিলো ক্যালোরি রয়েছে।

২. ক্লাসিক পপকর্নে ফাইবারের মাত্রা বেশি। এটি হজমের জন্য উপকারী। এমনকি, যখন তখন এটা-সেটা খাওয়ার ইচ্ছেও হয় না এই পপকর্ন খেলে। যা ওজন কমানোর জন্য জরুরি।

৩. যেহেতু ভুট্টার দানা থেকে তৈরি, তাই পপকর্নে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজ। যা হার্টের স্বাস্থ্যে ভালো রাখে। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী এই পপকর্ন।

ওজন কমাতে পপকর্ন কীভাবে খাবেন?

১. স্বাদের জন্য পপকর্নে সামান্য বিট লবণ, গোলমরিচ এবং পছন্দের স্বাস্থ্যকর মশলা বা হার্ব মিশিয়ে খেতে পারেন।

২. দৈনিক ২-৩ কাপ মাপের পপকর্ন খাওয়া যেতে পারে। তবে খুব বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো কারণ ক্লাসিক পপকর্নও বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে। 

৩. পেটফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা অথবা আইবিএসের সমস্যা থাকলে পপকর্ন না খাওয়াই ভালো। কারণ এতে থাকা ফাইবার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

তবে খেয়াল রাখবেন এটা কীভাবে ভাজা হচ্ছে। ভাজার সময় পপকর্নে অতিরিক্ত লবণ, বাটার, চকলেট মেশাবেন না। এগুলো মিশিয়ে পপকর্ন ভাজলে লাভের চেয়ে বরং ক্ষতিই হবে। বাড়বে ওজন।