img

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা নিয়ে অবস্থান জানাল ইরান

প্রকাশিত :  ১০:৪১, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা নিয়ে অবস্থান জানাল ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে তেহরানের কোনো তাড়া নেই বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।

আজ সোমবার (০৩ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আব্বাস আরাগচি বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক স্বার্থ ও সমতার ভিত্তিতে কথা বলতে চায়, তবে ইরান পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে শর্তগুলো দিয়েছে তা হলো সরাসরি আলোচনা, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণ বন্ধ, ক্ষেপণাস্ত্র মজুতে সীমা আরোপ এবং আঞ্চলিক মিত্রদের প্রতি ইরানের সমর্থন বন্ধ করা।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশটির আরোপ করা এসব শর্ত অযৌক্তিক ও অন্যায্য। এই কারণেই আলোচনা বর্তমানে ‘অসম্ভব’। তারা যেমন তাড়াহুড়ো করছে না, আমরাও তেমন তাড়াহুড়ো করছি না।

আল জাজিরা জানিয়েছে, জাতিসংঘের পুনর্বহাল করা নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক চাপের মধ্যেও ইরানের এই অবস্থান এসেছে। আরাগচি বলেন, বর্তমান আঞ্চলিক পরিস্থিতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঘুরে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি মাঝে মাঝে আমার সহকর্মীদের বলি, নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধী হলেও, তিনি একটি কাজ ভালো করেছেন—তিনি পুরো অঞ্চলকে প্রমাণ করে দিয়েছেন, ইসরায়েলই মূল শত্রু, ইরান নয়, অন্যকোনো দেশও নয়।

ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদির বক্তব্যের পর তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। বদর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার কট্টর ডানপন্থি সরকারকে কঠোর সমালোচনা করেন।

ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বহুদিন ধরেই জানি, ইসরায়েলই এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার প্রধান উৎস, ইরান নয়। তিনি যোগ করেন, গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) বছরের পর বছর ধরে ইরানকে বিচ্ছিন্ন হতে দিয়েছে, কিন্তু এখন সেই নীতি বদলানোর সময় এসেছে।


img

ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন: দেশে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা

প্রকাশিত :  ১২:০৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

মার্কিন সংস্থা ফ্রিডম হাউস জানিয়েছে, বিশ্বে অনলাইনের স্বাধীনতা কমে গেলেও বাংলাদেশে এর উন্নতি হয়েছে । আজ প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর মূল্যায়নে থাকা ৭২টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে।

এ গবেষণায় ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।

ফ্রিডম হাউস বলছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া অভ্যুত্থানে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারায়। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক সংস্কার আনে। এর ফলেই বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১০০-এর মধ্যে ৪৫ হয়েছে। গত বছর এই স্কোর ছিল ৪০। এটি গত সাত বছরের সেরা অবস্থান।

তবে এত উন্নতির পরও বাংলাদেশ এখনো ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবে তালিকায় রয়ে গেছে—যে অবস্থানে ২০১৩ সাল থেকে রয়েছে।

ফ্রিডম হাউস তিনটি বড় বিষয় দেখে স্কোর নির্ধারণ করে—

(১) ইন্টারনেটে প্রবেশের বাধা,

(২) অনলাইনে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ,

(৩) ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘন।

এই তিনটি বিভাগে মোট ২১টি সূচক ব্যবহার করে প্রতিটি দেশের অনলাইন স্বাধীনতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কিছু বড় পরিবর্তন হলো—২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুহাম্মদ এমদাদ-উল-বারীকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। তিনি ইন্টারনেট বন্ধ না করার নীতি গ্রহণ করেন এবং ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে দেখার কথা বলেন।

২০২৫ সালের মে মাসে সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল করে। এর বদলে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ (সিএসও) জারি হয়।

এতে কিছু ভালো দিক যেমন অনলাইন হয়রানি ও যৌন নির্যাতনবিরোধী সুরক্ষা রয়েছে, তবে আগের মতোই কিছু উদ্বেগজনক বিষয়—যেমন অনলাইনে বক্তব্যের জন্য শাস্তি ও নজরদারি রয়ে গেছে।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পেছনে রয়েছে। পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ৫৩ ও ভারত ৫১ পয়েন্ট পেয়ে দুটোই ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে রয়েছে।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর