img

তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন ও ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ, কড়া প্রতিক্রিয়া চীনের

প্রকাশিত :  ১৯:১৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন ও ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ, কড়া প্রতিক্রিয়া চীনের

মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস হিগিন্স এবং যুক্তরাজ্যের ফ্রিগেট এইচএমএস রিচমন্ড গতকাল শুক্রবার তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করার পর চীন কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) পূর্ব থিয়েটার কমান্ড এই ঘটনাকে ‘উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল শি ই এক বিবৃতিতে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের এই যৌথ সামরিক পদক্ষেপ তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে ভুল বার্তা দিয়েছে।

শি ই আরও জানান, এই দুই যুদ্ধজাহাজের ট্রানজিটের পুরো সময়জুড়ে পিএলএ\'র পূর্ব থিয়েটার কমান্ড পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। এ সময় চীনা নৌ ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিলো, যা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য প্রস্তুত ছিলো।

মুখপাত্র শি বলেন, \"থিয়েটার কমান্ডের বাহিনী সর্বদা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে, দৃঢ়ভাবে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করছে।\" এই ঘটনা তাইওয়ান প্রণালীর কৌশলগত গুরুত্ব এবং এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনাকে আবারও সামনে এনেছে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

লন্ডনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি আপসানা নতুন বিতর্কে

প্রকাশিত :  ০৫:৪১, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৫, ০২ নভেম্বর ২০২৫

আবারও নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত পপলার–অ্যান্ড–লাইমহাউস এলাকার সংসদ সদস্য আপসানা বেগম । প্রচুর আয় থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনও কাউন্সিলের ঘরে থাকেন—এমন অভিযোগ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে স্থানীয় রাজনীতি ও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী একজন অভিযোগ করেন, এলাকার হাজারো মানুষ এখনও সরকারি বাসস্থানের জন্য অপেক্ষায়, গৃহহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে; অথচ একজন উচ্চ আয়ের জনপ্রতিনিধি দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ঘর ব্যবহার করছেন।

পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ার পর একদল নাগরিক এই অভিযোগকে সমর্থন দিয়ে আপসানা বেগমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে আরেকদল তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা বলেন, তিনি ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যে দাঁড়িয়েও সমাজের বঞ্চিত শ্রেণির পক্ষে কাজ করছেন।

তারা আরও বলছেন, তিনি ঘরোয়া নির্যাতনের শিকার ছিলেন। সংখ্যালঘু নারী হিসেবে রাজনীতিতে বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। সাধারণ মানুষের মতো সরকারি সুবিধা নেওয়ায় আপসানা বেগমের ভুল নেই বলেও মস্তব্য করেছেন তারা।

সমালোচকরা বলছেন, উচ্চ আয়ের ব্যক্তি হয়েও দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ বাসায় থাকা অনৈতিক।

প্রসঙ্গত, আপসানা বেগম বেড়ে উঠেছেন টাওয়ার হ্যামলেটসে। তার প্রয়াত বাবা এলাকাটির সাবেক জনপ্রতিনিধি ছিলেন। চলতি বছর পারিবারিক সহিংসতা নিয়ে সংসদে আবেগঘন বক্তৃতা দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। সমাজে নির্যাতিত নারীদের পক্ষে তার অবস্থান প্রশংসিত হয়।

আপসানা বেগমের পারিবারিক শিকড় সিলেটের সুনামগঞ্জে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর