img

মেয়র প্রার্থী হিসেবে নিউহ্যাম বারায় লেবার পার্টির মনোনয়ন পেলেন ফরহাদ হোসেন

প্রকাশিত :  ১১:৫৯, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নিউহ্যামে প্রথমবারের মতো একজন বাঙালি নির্বাহী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা

মেয়র প্রার্থী হিসেবে নিউহ্যাম বারায় লেবার পার্টির মনোনয়ন পেলেন ফরহাদ হোসেন

লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের পার্শ্ববর্তী বারা নিউহ্যামে এই প্রথমবারের মতো একজন বাঙালি নির্বাহী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বারার আসন্ন মেয়র নিবা‍র্চনে লেবার পার্টির প্র‍র্থী মনোনীত হয়েছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি ফরহাদ হোসেন। নিউহ্যামের বর্তমান লেবার দলীয় নির্বাহী মেয়র রুখসানা ফাইয়াজ ৮ বছর দায়িত্ব পালন করে পদ থেকে সরে দাড়াচ্ছেন এবং তিনি আর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।

আগামী বছরের ৭মে লন্ডনের ৩২টি বারায় কাউন্সিলার নিবা‍র্চন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ৪টি কাউন্সিলে জনসাধারণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন নিবা‍র্হী মেয়র। এগুলো হচ্ছে টাওয়ার হ্যামলেটস, হ্যাকনি, লুইশাম ও নিউহ্যাম। প্রতি চার বছর পর পর এই নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। লেবার পার্টির প্রার্থী ফরহাদ হোসেন নির্বাচিত হলে তিনি হবেন যুক্তরাজ্যে  ব্রিটিশ বাংলাদেশি দ্বিতীয় নির্বাহী মেয়র এবং নিউহ্যাম বারায় প্রথম। যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ বাংলাদেশি ও প্রথম মুসলমান মেয়র হচ্ছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের ইন্ডিপেন্ডেন্ট মেয়র লুতফুর রহমান।

গত সোমবার "লেবার ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ" আয়োজিত এক মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফরহাদ হোসেন। লন্ডনের নিউহ্যাম হচ্ছে এমন একটি বারা যেখানে দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নানা কমিউনিটির লোকজন বাস করেন। ১৯৬৪ সালে নিউহ্যাম কাউন্সিল গঠনের পর থেকে প্রায় প্রত্যেক নির্বাচনেই এটি ছিল লেবার পার্টির বিজয়ি কাউন্সিলার ও মেয়রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত। বারায় বর্তমানে মোট ৬৬ জন কাউন্সিলারের মধ্যে কয়েকজন বাঙালি কাউন্সিলারও আছেন। প্রায় ১৫ হাজার ব্রিটিশ বাংলাদেশি ভোটার রয়েছেন নিউহ্যামে। এছাড়া পাকিস্তানি, ভারতীয়, শ্রীলংকান, সোমালী কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক ভোটার রয়েছেন। 

নিউহ্যামের প্ল্যাষ্টো এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন প্রায় আট বছর কাউন্সিলার হিসাবে এবং কেবিনেট মেম্বার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং নিউভিক কলেজে এ লেভেল করার পরে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে এরোনোটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। তিনি এন্এইচএস, এডুকেশন, লোকাল অথরিটি ও বিভিন্ন চ্যারিটিতে কাজ করেছেন। 

ফরহাদ হোসেন মেয়র নির্বাচিত হলে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের তুলে ধরেন। তিনি বলেন, " আমার প্রতিপক্ষরা যেখানে বিভাজন, নেতিবাচকতা ও বিশৃংখলার রাজনীতি অনুসরণ করছেন, এমনকি সমস্যা হলে তা উদযাপন করছেন, আমি সেখানে সম্পুর্ণ ভিন্ন কিছুর ওপর মনোযোগ দিচ্ছি। নির্বাচিত হলে আমি নিউহ্যামের সবার জন্য মেয়র হবো। আমি এমন একটি কর্মসূচী দিচ্ছি যা আশাবাদী, বাস্স্তবসম্মত এবং এখানকার বাসিন্দাদের দৈনন্দিন উদ্বেগের সাথে গভীরভাবে যুক্ত। আমি বর্তমান সমস্যাগুলোর সমাধান করে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো" 

ফরহাদ হোসেন তার পরিকল্পনার মধ্যে স্থানীয় রাস্তাঘাট পরিষ্কার, ন্যায্য আইনপ্রয়োগ, কার্যকর পার্কিং ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক স্তিতিশীলতার উপর গুরুত্ব দিবেন বলে জানান।

ফরহাদ হোসেন বর্তমানে লন্ডনের বৃহত টানেল প্রজেক্ট লোয়ার থেমস ক্রসিংয়ে প্রিন্সিপাল কনসালট্যান্ট হিসাবে কাজ করছেন। অবসর সময়ে ইসিবি লেভেল ২ কোচ হিসাবে তৃণমুল ক্রিকেট প্রশিক্ষন দিয়ে থাকেন। 

মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে লন্ডনের আরও বেশ কয়েকটি কাউন্সিলের শীর্ষস্থানীয় কাউন্সিলাররা উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে ছিলেন ব্রেন্ট কাউন্সিলের সাবেক মেয়র ও বর্তমান কাউন্সিলার পারভেজ আহমদ, রেডব্রিজ কাউন্সিলের কাউন্সিলার জামাল উদ্দিন আহমদ, ওয়েষ্টমিনিষ্টার কাউন্সিলের কাউন্সিলার আব্দুল আজিজ তকি, নিউহ্যাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার সৈয়দ আবুল বাসার ও কাউন্সিলার খলিল কাজী এবং মানচেষ্টার কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি লীডার লুতফুর রহমান। তারা সবাই নিউহ্যামের সকল বাসিন্দাদের প্রতি লেবার পার্টির মেয়র প্রার্থী ফরহাদ হোসেনকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।

কমিউনিটি এর আরও খবর

নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা

img

দেশের উদ্দেশে আজ লন্ডন ছাড়বেন তারেক রহমান

প্রকাশিত :  ০৫:৪৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেড় দশকের বেশি সময় পর দেশে ফিরছেন। নেতার দেশে ফেরা ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বসিত দলের নেতাকর্মীরা।

আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য সময়  সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে তার। সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা নাগাদ দেশের মাটিতে পা রাখবেন তারেক রহমান। 

এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।

এদিকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। 

দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাকে বরণ করে নিতে ঢাকায় স্মরণকালের অন্যতম বড় গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রাজধানীর কুড়িল সংলগ্ন পূর্বাচল হাইওয়ে এক্সপ্রেস এলাকায় যাবেন তিনি। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।

বিএনপি নেতাদের আশা, এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হবেন। 

ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসছেন দলটির তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বলা যায়, তারেক রহমানের ঘরে ফেরা নিয়ে চারদিকে সাজ সাজ রব।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। তার আগমনকে কেন্দ্র করে পূর্বাচল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করতে কাজ করছেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতিও পেয়েছে বিএনপি। মঞ্চ নির্মাণসহ সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরই মধ্যে দফায় দফায় দলের শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করে প্রস্তুতির অগ্রগতি দেখছেন।

ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান।

এরপর দীর্ঘ সময় তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন। তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান একাধিকবার দেশে এলেও এতদিন তার দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। 

দীর্ঘ অপেক্ষার পর এবার সেই প্রত্যাবর্তন বাস্তব হতে যাচ্ছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর