img

৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত :  ০৬:২৫, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৬, ২১ এপ্রিল ২০২৫

৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

নতুন অভিবাসন নীতির আওতায় এখন পর্যন্ত ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং একজন নারী রয়েছেন। শুধু বাংলাদেশি নয়, ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান এবং বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর তাদের ফেরত পাঠানো হয়।

ঢাকায় পৌঁছানো এসব নাগরিকদের মধ্যে তিনজনকে বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা। বাকিদের পাঠানো হয় বাণিজ্যিক এবং চার্টার্ড ফ্লাইটে। 

সর্বশেষ গত শনিবার একটি ফ্লাইটে পাঁচজন বাংলাদেশিকে দেশে পাঠানো হয়।

ফেরত আসা নোয়াখালীর এক বাসিন্দা গণমাধ্যমকে জানান, তাকে সম্মানের সঙ্গেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। কোনো ধরনের অসম্মানজনক আচরণ করা হয়নি বলেও তিনি জানান। 

তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন, যা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওই ব্যক্তি।

এ বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের যাতে সম্মানজনকভাবে ফেরত পাঠানো হয়, সেজন্য শুরু থেকেই কূটনৈতিক পর্যায়ে কাজ করেছে বাংলাদেশ সরকার। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে হাতকড়া কিংবা সামরিক বিমানের ব্যবহার এড়ানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে যারা অবৈধভাবে অবস্থান করছেন, তাদের তালিকা তৈরি করে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট তথ্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এরপর পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগ তা যাচাই-বাছাই করে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অভিবাসন-সংক্রান্ত নানা দিক বিবেচনায় নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো। ফিরিয়ে আনা ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাককে সম্পৃক্ত করার কথাও ভাবা হচ্ছে।

ব্র্যাকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে ফেরত আসা অভিবাসীদের জন্য সংস্থাটি বিমানবন্দরে সহায়তা প্রদান করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসা নাগরিকদের ক্ষেত্রেও তারা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অভিবাসন সংক্রান্ত নীতি কঠোর করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হয়।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

কবি আলিফ উদ্দিন ও কবি মুকুল চৌধুরী স্মরণে রেনেসাঁ সাহিত্য মজলিস ইউকের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত :  ১২:৩০, ২০ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪১, ২০ মে ২০২৫

যুক্তরাজ্য‍ে বসবাসরত কবি আলিফ উদ্দিন ও বাংলাদেশের বরেণ‍্য কবি মুকুল চৌধুরীর মৃত‍্যুতে  আজ ১৯মে সোমবার বিকাল ৭ টায় রেনেসাঁ সাহিত‍্য মজলিস ইউকের উদ‍্যোগে পূর্ব লণ্ডনের ভ‍্যলেন্স রোডের একটি কমিউনিটি হলে এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।

সংগঠণের সভাপতি কে এম আবুতাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক কবি শিহাবুজ্জামান কামালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী নেছারুল হক চৌধুরী উরফে বোস্তান চৌধুরী । কবি আলিফ উদ্দিন ও কবি মুকুল চৌধুরীর জীবন ও কর্মের উপর স্মৃতিচারনমূলক বক্তব‍্য রাখেন, বিশিষ্ট আইনজীবি ও সাবেক কাউন্সিলার ব‍্যারিষ্টার নাজির আহমদ, সাংবাদিক সাঈদ চৌধুরী, অধ‍্যাপক শায়েখ আব্দুল কাদের সালেহ ,কবি ও সাংবাদিক আবু সুফিয়ান চৌধুরী ,বিশিষ্ট লেখক সলিসিটর মোহাম্মদ ইয়াওর উদ্দিন, প্রবীন সাংবাদিক রহমত আলী , লেখক সাংবাদিক আব্দুল মুনিম জাহেদী ক‍্যারল, সাংবাদিক বদরুজ্জামান বাবুল ,মাওলানা আবুল হাসনাত চৌধুরী ,শেখ ফারুক আহমদ ,হাজী ফারুক মিয়া ,সাংবাদিক মাহবুবুল করিম শুয়েদ প্রমুখ ।

সভায় বক্তারা বলেন, কবি আলিফ উদ্দিন বৃটেনের ব‍্যস্ত জীবনেও কাব‍্য ও গ্রন্থ রচনায় অনন‍্য ভূমিকা পালন করেছেন । মরহুমের লেখা ১৮টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে । তিনি ইসলামী রেনেসাঁর একজন কবি ও লেখক ছিলেন। লেখার মাধ‍্যমেই তিনি বাংলাদেশী কমিউনিটিতে অমর হয়ে থাকবেন ।

কবি মন্জুরুল করিম চৌধুরী উরফে মুকুল চৌধুরী সম্পর্কে বক্তারা বলেন যে, তিনি কাব‍্য জগতে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন । তাঁর কবিতায় তিনি সমাজের চিত্র তুলে ধরেছেন। কবিতার শিল্পগুণ, ভাব, শব্দ চয়ন, উপমা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের দাবী রাখে। কবি তাঁর লেখার মাধ‍্যমের স্মরণীয় ও বরনীয় হয়ে থাকবেন ।

স্মরণসভায় পবিত্র কুরআন তেলাওত করা হয় ।পরে মরহুমদ্বয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন মাওলানা আব্দুল কাদের সালেহ ।

কমিউনিটি এর আরও খবর