ট্রাম্পের সঙ্গে বাকযুদ্ধের জের

img

নিজের রাজনৈতিক দল গড়ছেন ইলন মাস্ক!

প্রকাশিত :  ১৮:৩৬, ০৭ জুন ২০২৫

নিজের রাজনৈতিক দল গড়ছেন ইলন মাস্ক!

আমে‌রিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। পাল্টাপাল্টি ব্যক্তিগত আক্রমণের মধ্যেই এবার নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের আভাস দিলেন টেসলা সিইও।

শুক্রবার নিজের নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করেন মাস্ক। দলের নাম ‘দ্য আমেরিকা পার্টি’। তবে এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনমত যাচাই করতে একটি ভোটের আয়োজন করেন তিনি।

সেখানে মাস্ক জানতে চান—যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন জরুরি কি না। ভোটে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ মানুষ তাতে সম্মতি জানান।
এর পরই মাস্ক পোস্ট করেন, “জনতা রায় দিয়েছে। নতুন একটি পার্টির প্রয়োজন আছে যা ৮০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে। এটাই নিয়তি।”

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সাময়িকী দ্য হিল জানিয়েছে, ভোটের ফলাফল শেয়ার করে মাস্ক তার দলের নামও জানিয়ে দেন। যদিও দল গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা।
অনেকে বলছেন, মাস্ক সত্যিই রাজনীতিতে আসছেন, না কি এটি তার কৌশলগত চমক—তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
দীর্ঘদিনের দ্বিদলীয় রাজনৈতিক কাঠামোয় তৃতীয় শক্তি হিসেবে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন, তা নিয়েও সন্দিহান বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রে মূলত রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর বাইরে গিয়ে মাস্ক কীভাবে রাজনীতিতে পা রাখবেন, সেটি পরিষ্কার নয়।
তবে মাস্কের এমন ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনা তুঙ্গে।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে গিয়ে মাস্ক ব্যয় করেছিলেন প্রায় ২৭ কোটি ডলার। ট্রাম্পও নির্বাচনের পর তাকে পুরস্কৃত করেন একটি নতুন দপ্তর দিয়ে—‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)’। এর কাজ ছিল প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে সাশ্রয় নিশ্চিত করা।
তবে মাসখানেক আগে কর ও ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধে জড়ান মাস্ক। বিলটি পাস হওয়ার পর ট্রাম্প একে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নাম দেন। পরে সেটিকে মাস্ক ‘জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করেন।
এরপরই দুইজনের মধ্যে প্রকাশ্যে বিবাদ শুরু হয়।
ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি বন্ধু ইলন মাস্ককে বহু উপকার করেছেন। মাস্ক পাল্টা বলেন, তার সহায়তা ছাড়া ট্রাম্প কখনো প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না।
তীব্র হয় বিবাদ। ট্রাম্প হুমকি দেন, মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা যেন আর সরকারি ভর্তুকি না পায়। পাশাপাশি আর্থিকভাবে অবরোধ করার ইঙ্গিতও দেন।
অন্যদিকে মাস্কও রুখে দাঁড়ান। ট্রাম্পের বিলকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি আখ্যা দিয়ে বলেন, দেশকে দেউলিয়া করে দিতে পারে এই পদক্ষেপ। এমনকি ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাবও দেন মাস্ক।

img

খামেনির অবস্থান শনাক্ত ও ইরানের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি ট্রাম্পের

প্রকাশিত :  ১৯:০১, ১৭ জুন ২০২৫

ইরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অবস্থান শনাক্ত করার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে তিনি কোথায় খামেনি লুকিয়ে রয়েছেন তা শনাক্ত করার দাবি করেছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, তিনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদে আছেন- আমরা তাকে হত্যা করছি না, অন্তত এখন নয়।

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমরা চাই না ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর হামলা হোক। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের ধৈর্য কমে আসছে।

অন্য একটি পোস্টে ট্রাম্প বড় হাতের অক্ষরে লিখেছেন, ‘শর্তহীন আত্মসমর্পণ!’ এটি তার আগের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি, যেখানে তিনি ইরানের কাছে ‘পূর্ণ আত্মসমর্পণ’ দাবি করেছিলেন। তবে এ বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইরানের আকাশে আমরা এখন পূর্ণ ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছি। মার্কিন বাহিনী এই সংঘাতে সরাসরি জড়িত থাকার কথা ঘোষণা করেনি। ফলে তিনি তার বিবৃতিতে ‘আমরা’ বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন, তা স্পষ্ট নয়।

ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ইরানের কাছে ভালো আকাশ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ছিল। এগুলো পরিমাণেও প্রচুর। কিন্তু আমেরিকান তৈরি, পরিকল্পিত ও উৎপাদিত সরঞ্জামের সঙ্গে এর তুলনা হয় না। আমেরিকার চেয়ে ভালো কেউ এটা করতে পারে না।