img

গুগল ট্রান্সলেট এবার দ্রুত বা নির্ভুল অনুবাদ বেছে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে

প্রকাশিত :  ০৭:৪৭, ২৫ আগষ্ট ২০২৫

গুগল ট্রান্সলেট এবার দ্রুত বা নির্ভুল অনুবাদ বেছে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে

এবার গুগল ট্রান্সলেটে যুক্ত হচ্ছে এমন এক ফিচার। এতে ব্যবহারকারীরা চাইলে দ্রুত অনুবাদ অথবা আরও নির্ভুল অনুবাদের মধ্যে নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন। মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল জানিয়েছে, অনুবাদ অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে নতুন এ সুবিধা ।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি জানিয়েছে, নতুন ফিচারে থাকবে দুটি মডেল—‘ফাস্ট এআই’ এবং ‘অ্যাডভান্সড’। ‘ফাস্ট এআই’ মডেল গতি ও কার্যকারিতাকে অগ্রাধিকার দেবে, যা চলতি কাজ বা দ্রুত কোনো তথ্য অনুবাদের জন্য উপযোগী। অন্যদিকে, ‘অ্যাডভান্সড’ মডেল গুগলের জেমিনাই এআই-চালিত, যা অনুবাদকে আরও নির্ভুল ও প্রাসঙ্গিক রাখবে। বর্তমানে ‘অ্যাডভান্সড’ মোডে ইংরেজি-স্প্যানিশ ও ইংরেজি-ফরাসি ভাষা জুটির অনুবাদ সুবিধা চালু হয়েছে।

গুগল ট্রান্সলেটের সর্বশেষ সংস্করণে (৯.১৫.১১৪) আরও কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন এনেছে কোম্পানিটি। ভয়েস ইনপুট বাটন ছোট করে স্ক্রিনের ডান পাশে সরানো হয়েছে। মাইক্রোফোন, হাতের লেখা ও পেস্ট টুলকে একত্রিত করে নিচে নতুন টুলবারে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, কনটেন্ট সংরক্ষণের জন্য যুক্ত হয়েছে বুকমার্ক বোতাম।

শুধু অনুবাদ নয়, ভাষা শেখার অভিজ্ঞতাকেও নতুন মাত্রা দিতে গুগল চালু করছে ‘প্র্যাকটিস মোড’। এটি এক ধরনের গেইমভিত্তিক অনুশীলন ব্যবস্থা, যা সরাসরি প্রতিযোগিতা করবে জনপ্রিয় ভাষা শেখার প্ল্যাটফর্ম ডুওলিঙ্গোর সঙ্গে। ব্যবহারকারীরা এখানে প্রাথমিক, মধ্যম ও উন্নত পর্যায়ের মতো বিভিন্ন স্তর বেছে নিতে পারবেন। খাবার, শুভেচ্ছা বিনিময় বা দিকনির্দেশনার মতো নানা পরিস্থিতিতে অনুশীলনের সুযোগও থাকবে। চাইলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টম প্র্যাকটিস দৃশ্য তৈরি করতে পারবেন, যেখানে শুনে বোঝা বা বলার চর্চার বিকল্প থাকবে।

২০০৬ সালের এপ্রিলে যাত্রা শুরু করা গুগল ট্রান্সলেট প্রথমে ছিল পরিসংখ্যানভিত্তিক একটি অনুবাদ টুল। সময়ের সঙ্গে এটি এখন নিউরাল মেশিন ট্রান্সলেশন সিস্টেমে রূপ নিয়েছে, যা বর্তমানে ১৩০টিরও বেশি ভাষা সমর্থন করে এবং প্রতিদিন শত শত কোটি অনুবাদের কাজ করে। অন্যদিকে, ২০১১ সালে চালু হওয়া ডুওলিঙ্গো এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভাষা শেখার অ্যাপ, যেখানে গেইমের মতো পাঠদান ও এআই-চালিত ফিচারের মাধ্যমে ভাষা শেখা আরও সহজ ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।



img

ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন: দেশে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা

প্রকাশিত :  ১২:০৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

মার্কিন সংস্থা ফ্রিডম হাউস জানিয়েছে, বিশ্বে অনলাইনের স্বাধীনতা কমে গেলেও বাংলাদেশে এর উন্নতি হয়েছে । আজ প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর মূল্যায়নে থাকা ৭২টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে।

এ গবেষণায় ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।

ফ্রিডম হাউস বলছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া অভ্যুত্থানে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারায়। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক সংস্কার আনে। এর ফলেই বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১০০-এর মধ্যে ৪৫ হয়েছে। গত বছর এই স্কোর ছিল ৪০। এটি গত সাত বছরের সেরা অবস্থান।

তবে এত উন্নতির পরও বাংলাদেশ এখনো ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবে তালিকায় রয়ে গেছে—যে অবস্থানে ২০১৩ সাল থেকে রয়েছে।

ফ্রিডম হাউস তিনটি বড় বিষয় দেখে স্কোর নির্ধারণ করে—

(১) ইন্টারনেটে প্রবেশের বাধা,

(২) অনলাইনে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ,

(৩) ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘন।

এই তিনটি বিভাগে মোট ২১টি সূচক ব্যবহার করে প্রতিটি দেশের অনলাইন স্বাধীনতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কিছু বড় পরিবর্তন হলো—২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুহাম্মদ এমদাদ-উল-বারীকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। তিনি ইন্টারনেট বন্ধ না করার নীতি গ্রহণ করেন এবং ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে দেখার কথা বলেন।

২০২৫ সালের মে মাসে সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল করে। এর বদলে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ (সিএসও) জারি হয়।

এতে কিছু ভালো দিক যেমন অনলাইন হয়রানি ও যৌন নির্যাতনবিরোধী সুরক্ষা রয়েছে, তবে আগের মতোই কিছু উদ্বেগজনক বিষয়—যেমন অনলাইনে বক্তব্যের জন্য শাস্তি ও নজরদারি রয়ে গেছে।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পেছনে রয়েছে। পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ৫৩ ও ভারত ৫১ পয়েন্ট পেয়ে দুটোই ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে রয়েছে।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর