img

গ্রামীণফোন চালু করল দেশের প্রথম ফাইভজি—সব শহরে এখন ৫জি ইন্টারনেট

প্রকাশিত :  ১৭:২৬, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গ্রামীণফোন চালু করল দেশের প্রথম ফাইভজি—সব শহরে এখন ৫জি ইন্টারনেট

দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন দেশের সব বিভাগীয় শহরে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি সেবা চালু করেছে। দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে তারা বিস্তৃত পরিসরে পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি প্রবর্তন করল।

গ্রামীণফোন জানিয়েছে, ডিজিটাল অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করা এবং ভবিষ্যতের উপযোগী প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের ক্ষমতায়ন তাদের মূল লক্ষ্য। এই নতুন মাইলফলক অর্জন তাদের সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।

কোম্পানির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এই ঘোষণাটি দেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান। এটি বাংলাদেশের স্মার্ট নেশন হওয়ার পথে ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রায় এক নতুন অধ্যায়।  

গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, সব বিভাগীয় শহরে ফাইভজি সেবা চালু করতে পেরে গর্বিত গ্রামীণফোন; যা দেশের মানুষের হাতে পৌঁছে দেবে রূপান্তরমূলক প্রযুক্তি। ফাইভজি প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুততর ও আরও নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্কের সূচনা করছি আমরা; যা উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা গড়ে তোলা এবং স্মার্ট সেবার মাধ্যমে খুলে দেবে সম্ভাবনার দুয়ার, গড়ে তুলবে দেশের ভবিষ্যত। আমাদের মিশন হচ্ছে দেশের মানুষকে তাদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর সাথে যুক্ত করা, অগ্রগতি ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করা এবং দেশজুড়ে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেওয়া। এই মাইলফলক অগ্রগতির সেই মিশনকে আরও বেগবান করবে। এভাবে ভবিষ্যত নির্মাণের পথে অগ্রগামী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের অংশীদার হওয়ায় আমাদের গ্রাহকদেরও অভিনন্দন; কারণ আমরা যা কিছু করি, সবই তাদের জন্য। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার ও বিটিআরসিকে আন্তরিক ধন্যবাদ, যাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশের মানুষের জন্য এই আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।

img

ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন: দেশে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা

প্রকাশিত :  ১২:০৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

মার্কিন সংস্থা ফ্রিডম হাউস জানিয়েছে, বিশ্বে অনলাইনের স্বাধীনতা কমে গেলেও বাংলাদেশে এর উন্নতি হয়েছে । আজ প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর মূল্যায়নে থাকা ৭২টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে।

এ গবেষণায় ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।

ফ্রিডম হাউস বলছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া অভ্যুত্থানে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারায়। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক সংস্কার আনে। এর ফলেই বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১০০-এর মধ্যে ৪৫ হয়েছে। গত বছর এই স্কোর ছিল ৪০। এটি গত সাত বছরের সেরা অবস্থান।

তবে এত উন্নতির পরও বাংলাদেশ এখনো ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবে তালিকায় রয়ে গেছে—যে অবস্থানে ২০১৩ সাল থেকে রয়েছে।

ফ্রিডম হাউস তিনটি বড় বিষয় দেখে স্কোর নির্ধারণ করে—

(১) ইন্টারনেটে প্রবেশের বাধা,

(২) অনলাইনে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ,

(৩) ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘন।

এই তিনটি বিভাগে মোট ২১টি সূচক ব্যবহার করে প্রতিটি দেশের অনলাইন স্বাধীনতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কিছু বড় পরিবর্তন হলো—২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুহাম্মদ এমদাদ-উল-বারীকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। তিনি ইন্টারনেট বন্ধ না করার নীতি গ্রহণ করেন এবং ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে দেখার কথা বলেন।

২০২৫ সালের মে মাসে সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল করে। এর বদলে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ (সিএসও) জারি হয়।

এতে কিছু ভালো দিক যেমন অনলাইন হয়রানি ও যৌন নির্যাতনবিরোধী সুরক্ষা রয়েছে, তবে আগের মতোই কিছু উদ্বেগজনক বিষয়—যেমন অনলাইনে বক্তব্যের জন্য শাস্তি ও নজরদারি রয়ে গেছে।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পেছনে রয়েছে। পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ৫৩ ও ভারত ৫১ পয়েন্ট পেয়ে দুটোই ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে রয়েছে।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর