img

৪ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্যের দ্বারপ্রান্তে অ্যাপল

প্রকাশিত :  ০৯:০৮, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

৪ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্যের দ্বারপ্রান্তে অ্যাপল

বিনিয়োগকারীদের আস্থার কারণে আইফোন বিক্রির মন্দাভাব কাটিয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ৩.৮৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারমূল্যে অবস্থান করছে এবং ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ঐতিহাসিক মাইলফলকের খুব কাছাকাছি।

নভেম্বরের শুরু থেকে অ্যাপলের শেয়ার মূল্য প্রায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে, যা কোম্পানির বাজারমূল্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলার যোগ করেছে। এই বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন আইফোন আপগ্রেডের প্রত্যাশা, যা ‘সুপারসাইকেল’ নামে পরিচিত।

অ্যাপল ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া এবং মাইক্রোসফটকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। এর আগে, কোম্পানিটি বিভিন্ন সময় এক, দুই এবং তিন ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্যের মাইলফলক অর্জন করেছিল। যদিও অ্যাপলকে পিলকে এআই কৌশল গ্রহণে কিছুটা ধীরগতি নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে, তবে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি, যেমন ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি, তাদের ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে শুরু করেছে। এর ফলে বাজারে প্রতিষ্ঠানটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৫ সালে আইফোনের চাহিদা পুনরুদ্ধার হতে পারে। অ্যাপলের শীর্ষস্থানীয় পণ্যগুলোর মধ্যে এআই ফিচার ও জিওগ্রাফিক উপস্থিতি বাড়ানো হলে আইফোনের চাহিদায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অ্যাপল বর্তমানে জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের প্রধান স্টক মার্কেটগুলোর সম্মিলিত বাজারমূল্যের চেয়েও বড়। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, ২০২৫ সালে কোম্পানির আয় বৃদ্ধি পাবে এবং এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়ে যাবে।

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর

img

প্রথমবার একযোগে তিন দেশে এইচআইভির টিকাদান শুরু

প্রকাশিত :  ০৬:৫৭, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:০১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রথমবারের মতো আফ্রিকার তিন দেশ ইসওয়াতিনি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জাম্বিয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এইচআইভি প্রতিরোধে নতুন ইনজেকশন ‘লেনাকাপাভির’ প্রয়োগ শুরু করেছে। মহাদেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি এইচআইভি আক্রান্ত মানুষ থাকায় এই উদ্যোগকে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বছরে মাত্র দুবার নেওয়া এই ইনজেকশন সংক্রমণের ঝুঁকি ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কার্যত একটি শক্তিশালী প্রতিরোধক টিকার মতো কাজ করবে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের একজন এইচআইভিতে আক্রান্ত। সেখানে উইটস ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণা দল পুরো কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করছে। এই প্রকল্পটি জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা ইউনিটেইডের অর্থায়নে চলছে।

ইউনিটেইড জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণই প্রথম নিয়মিত প্রতিরোধের অংশ হিসেবে লেনাকাপাভির ব্যবহার শুরু করেছেন। তবে কতজন প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে এই ওষুধের এক বছরের খরচ প্রায় ২৮ হাজার ডলার, যা অধিকাংশের নাগালের বাইরে।

জাম্বিয়া ও ইসওয়াতিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে ১ হাজার ডোজ পেয়েছে। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে এ ইনজেকশন সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে।

এদিকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিলিয়াড সায়েন্সেস আগামী তিন বছরে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ২০ লাখ মানুষকে লেনাকাপাভির বিনালাভে সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও সমালোচকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক দাতাদের দেওয়া ডোজ এখনো প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম, আর ওষুধের দামও অত্যন্ত বেশি। সূত্র : এনডিটিভি