img

বেথনাল গ্রীন পুলিশ স্টেশনের ফ্রন্ট কাউন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে সফল হলো টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল

প্রকাশিত :  ২১:২২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ২১:২২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

বেথনাল গ্রীন পুলিশ স্টেশনের ফ্রন্ট কাউন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে সফল হলো টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল বেথনাল গ্রীন পুলিশ স্টেশনের ফ্রন্ট কাউন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে মেট্রোপলিটন পুলিশের সাথে সফলভাবে কাজ করেছে।

গত আগস্টে মেট্রোপলিটন পুলিশ লন্ডনের ৩৭টি ফ্রন্ট কাউন্টার কমিয়ে ২০টিতে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। বেথনাল গ্রীন পুলিশ স্টেশনই ছিল টাওয়ার হ্যামলেটসের একমাত্র পুলিশ স্টেশন যেখানে ফ্রন্ট কাউন্টার চালু রয়েছে। যদি এই বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হতো, তবে এলাকাবাসী ও অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের অপরাধের রিপোর্ট দিতে মুখোমুখি সাক্ষাতের জন্য পার্শ্ববর্তী বরাতে যেতে হতো।

এক্সিকিউটিভ মেয়র লুৎফুর রহমান এবং কাউন্সিলর কেবিনেট মেম্বার ফর পাবলিক প্রোটেকশন অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড এনফোর্সমেন্ট আবু তালহা চৌধুরী মেট্রোপলিটন পুলিশের বরো কমান্ডার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ম্যাট টুইস্টকে বেথনাল গ্রীন পুলিশ স্টেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে অনুরোধ করেন এবং গত সপ্তাহের ফুল কাউন্সিল মিটিংয়ে পুলিশকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। আবু তালহা কমিশনার ম্যাট টুইস্ট-এর সাথে সরাসরি মিটিং করেও একই অনুরোধ করেন।

আজ বুধবার মেট্রোপলিটন পুলিশ বেথনাল গ্রীন পুলিশ স্টেশনের ফ্রন্ট কাউন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে। এটি এখন সপ্তাহের কর্মদিবসে ১২ ঘণ্টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ১০ ঘণ্টা খোলা থাকবে।

এ প্রসঙ্গে টাওয়ার হ্যামলেটসের এক্সিকিউটিভ মেয়র লুৎফুর রহমান বুধবার ক‍্যাবিনেট মিটিং এ ব‍্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের বরোর একমাত্র ফ্রন্ট পুলিশ কাউন্টার বন্ধ করা টাওয়ার হ্যামলেটসের মানুষের জন্য অন্যায্য ছিল।এই কারণেই আমি ব্যক্তিগতভাবে কমিশনারকে চিঠি লিখেছি, এবং কয়েক মাস ধরে পুলিশের বিভিন্ন স্তরের সাথে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি যাতে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করা হয়। আমি আনন্দিত যে আমরা আমাদের বাসিন্দা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য এটি নিশ্চিত করতে পেরেছি।”

কাউন্সিলর কেবিনেট মেম্বার ফর পাবলিক প্রোটেকশন অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড এনফোর্সমেন্ট আবু তালহা চৌধুরী বলেন, “আমাদের প্রচেষ্টায় সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার হওয়ায় আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। যদি কেউ অপরাধের শিকার হন, অনেকেই ওয়েবসাইটের পরিবর্তে সরাসরি একজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চান।

আমাদের টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দাদের জন্য অন্য বরোতে গিয়ে অপরাধের রিপোর্ট করা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ছিল।আমরা আনন্দিত যে পুলিশ আমাদের উদ্বেগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে।”

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

প্রবাসীদের বৃহৎ বিনিয়োগ ও ব্যাংক পুনর্গঠনে অংশগ্রহণের আগ্রহকে স্বাগত জানাই: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

প্রকাশিত :  ০৮:২০, ২০ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:২৫, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আইএমএফ এর মিটিং উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডঃ আহসান এইচ মনসুরের সাথে সেন্টার ফর এনআরবি প্রতিনিধি দলের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । শনিবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সেন্টার ফর এনআরবি’র চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরী বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীদের দেশে থাকা সম্পদ রক্ষা ও ব্যাংকের সঞ্চিত অর্থের নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করেন। বিশেষ করে পুনর্গঠিত পাঁচটি ব্যাংকে জমা থাকা প্রবাসীদের অর্থের বিষয়টি তিনি উপস্থাপন করেন । তিনি অভিজ্ঞ প্রবাসীদের বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পদ্ধতিতে যুক্ত করার আহ্বান জানান । সেকিল চৌধুরী বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের জন‍্য পুনর্গঠিত ব‍্যাংকের শেয়ার ক্রয়ের সুযোগ বৃদ্ধি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় পুঁজিসংঠনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান যাতে প্রবাসীরা এখানে অংশগ্রহণ করতে পারে।

ইতিবাচক বাংলাদেশ, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যাপারে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচারণা করার ব্যাপারে সেকিল চৌধুরী গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। গভর্নর তার বক্তব্যে প্রবাসীদের নানামুখী বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি পুনর্গঠিত ব‍্যাংক কার্যক্রমে প্রবাসীদের অংশগ্রহণের আগ্রহকে স্বাগত জানান । এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যায়ক্রমে ইতিবাচক সহায়তা করবে বলে তিনি প্রবাসীদের আশ্বাস প্রদান করেন।

গভর্নর বলেন, দেশের সম্পদ রক্ষা ও পাচার রোধে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা অত্যন্ত কার্যকর সহায়তা প্রদান করতে পারেন। তিনি বলেন, পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে এ ব্যাপারে তিনি প্রবাসীদের সহায়তা কামনা করেন। গভর্নর বলেন, বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশের সম্পদ পাচারের মতো অসৎ কাজকে নিরোৎসাহিত করা এবং এ ব্যাপারে লুটকারীরা যাতে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে সে ভূমিকা রাখতে পারেন।

আইনের নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে । গভর্নর বলেন, ব‍্যাংকে সঞ্চিত প্রবাসীদের অর্থ নিরাপদ আছে এবং বাংলাদেশের ইতিবাচক বিষয ও ব‍্যাংকিং চ‍্যানেলে অর্থ প্রেরণের বিষয়ে দেশে-বিদেশে প্রচারণা চালানোর প্রস্তাবনার বিষয়ে গভর্নর ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন এবং এ ব্যাপারে ঢাকায় ফিরে আলোচনার জন‍্য তিনি এনআরবি সেন্টারকে আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে এনআরবি সেন্টারের যুক্তরাষ্ট্র সহায় গ্রুপের সদস্য সানোয়ার চৌধুরী ও নাদির খান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক রোকনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।


কমিউনিটি এর আরও খবর